টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের মির্জাপুর ও বাসাইল থানা পুলিশের বিরুদ্ধে এক যুবকের লাশ উদ্ধারে প্রায় ৮ ঘণ্টা গড়িমসির অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা। বুধবার ২৬ আগস্ট এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, নিখোঁজের তিন দিন পর সোলাইমান মিয়া (২৩) নামের এক যুবকের লাশ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে পাওয়া যায় টাঙ্গাইলের বাসাইল ও মির্জাপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী হাবলা পূর্বপাড়া ও ভাতকুড়া এলাকায়। নিহতের পরিবারের লোকজন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি শনাক্ত করেন। এরপর স্থানীয়রা মির্জাপুর থানার পুলিশকে বিষয়টি জানালে তারা গিয়ে লাশ উদ্ধার না করে ফেরত যায়। তখন পুলিশ স্থানীয়দের জানায় এটা বাসাইল থানার আওতায়। বাসাইল থানার পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করবে। এরপর বাসাইল থানার পুলিশ সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছে। পুলিশ তখন দেখতে পায় এটা মির্জাপুর থানার আওতায়। পরে বাসাইল থানা পুলিশ মির্জাপুর থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করেন।
নিহত সোলাইমান জেলার মির্জাপুর উপজেলার আদাবাড়ী গ্রামের গর্জন মিয়ার ছেলে। নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সোলাইমান গত রবিবার রাতে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেনি। এরপর থেকে সোলাইমান নিখোঁজ। পরে এ ঘটনায় মির্জাপুর থানায় একটি নিখোঁজ সংক্রান্ত সাধারণ ডায়েরি করা হয়। সোলাইমানকে হত্যার পর তার লাশ বিলের মধ্যে ফেলে রাখা হয়েছে বলে নিহতের পরিবারের দাবি।
মির্জাপুর উপজেলার মহেড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাদশা মিয়া বলেন, ‘নিহত সোলাইমানের পরিবার মঙ্গলবার মির্জাপুর থানায় নিখোঁজ সংক্রান্ত একটি সাধারণ ডায়েরি করে। শুনেছি এক প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে তার অবৈধ সম্পর্ক ছিল।’
মির্জাপুর থানার ওসি (তদন্ত) গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘খবর পেয়ে দুপুরে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। ঘটনাস্থলে পৌঁছে তারা দেখতে পায় এটা বাসাইল থানার আওতায়। এজন্য তারা চলে আসে। স্থানীয় চেয়ারম্যান-মেম্বারদের সঙ্গে কথা বলে আবার পুলিশ পাঠানো হবে।’
বাসাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হারুনুর রশিদ বলেন, ‘সন্ধ্যায় খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তারা দেখতে পায় এটা মির্জাপুর থানার আওতায় পড়েছে। এজন্য মির্জাপুর থানার পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
ঘটনাস্থলে থাকা বাসাইল থানার ওসি (তদন্ত) জাহাঙ্গীর আলম রাত সাড়ে ৮টার দিকে বলেন, আমরাও ঘটনাস্থলে রয়েছি। এটা মির্জাপুর থানায় পড়েছে। লাশটি বিলের মাঝখানে রয়েছে। মির্জাপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসেছে। তারা লাশটি নিয়ে যাবে বলে জানান তিনি
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply