নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিঃ নারায়ণগঞ্জ জেলায় পুলিশ বাহিনীতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ইতোমধ্যে চরম ব্যর্থতা ও অবনতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে ! রাজধানীর সন্নিকটে “নারায়ণগঞ্জ জেলা” বর্তমানে একটি ব্যাপরোয়া ক্রাইমজোন হিসেবে জনসাধারণের কাছে পরিচিতি লাভ করেছে। এই জেলাটিতে বর্তমানে প্রকাশ্যে হত্যা-খুন, চাঁদাবাজি, ভূমি দস্যুতা, প্রতারণা যেন অতীব সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি কামরুল ফারুকের বিভিন্ন অপকর্ম, অপরাধ ও দুর্নীতির বিষয়ে ইতোপূর্বে পুলিশ মহা-পরিদর্শক বরাবর অভিযোগ করেও মিলেনি কোনো প্রতিকার। ওসি কামরুল ফারুকের চাঁদাবাজি ও মাদক বাণিজ্যের সংবাদ স্থানীয় ও জাতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার পরেও তার দায়িত্বে বহাল রয়েছেন।
‘এরপরে গত কোরবানির ঈদের দিন রাতে সিদ্ধিরগঞ্জ পাঠানটুলী এলাকায় মাদক বাণিজ্যকে কেন্দ্র করে শুভ নামের স্থানীয় এক যুবককে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করে, এই হত্যার ডকুমেন্ট সিসি টিভির ফুটেজ থাকা সত্ত্বেও সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি কামরুল ফারুক আসামিদের গ্রেফতার করতে ব্যর্থ হচ্ছেন। তিনি এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকে নিজস্ব গ্রেফতার বাণিজ্যে পরিণত করেছেন। পাঠানটুলির হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকে পুঁজিকরে স্থানীয় নিরীহ যুবকদের গ্রেফতার করে হাতিয়ে নিচ্ছেন নগদ অর্থ।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ কর্তৃক মাদক অভিযানে জব্দকরা ফেনসিডিল, ইয়াবা জব্দতালিকায় নামমাত্র পরিমানে দেখিয়ে ওসি কামরুল ফারুক এলাকার মাদক ডিলারদের কাছে বিক্রিকরে হাতিয়ে নেন কোটিকোটি টাকা। এই এলাকায় যত্রতত্র যেখানে সেখানে হাত বাড়ালেই পাওয়া যায় মাদক ! ওসি সিদ্ধিরগঞ্জ তার চাঁদাবাজি ও মাদক বাণিজ্যের বিষয় আড়াল করার জন্য স্থানীয় হলুদ সাংবাদিকদের টুপাইস অর্থের বিনিময়ে নিজের সুনাম ছড়ানো সংবাদ প্রকাশ করে যাচ্ছেন। এই দুর্নীতিবাজ ওসির অবস্থাদৃষ্টে দেখাযায় যেনো আরেক ওসি প্রদীপের ছায়া।
নাম প্রকাশ নাকরার শর্তে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার একজন এসআই আমাদের প্রতিনিধিকে জানান, ওসি কামরুল ফারুক প্রতিমাসে অন্তত কুড়ি লাখ টাকা জেলা এসপি এবং ডিআইজিকে মাসোহারা হিসেবে প্রদান করেন। এই কারণে তার বিরুদ্ধে এতো অভিযোগ থাকার পরেও উর্ধতন কর্মকর্তারা কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না, কারণ দুধ দেওয়া গাইকে সবাই একটু আদর সমীহ করে। আর এর ফল স্বরূপ গত ৮ আগস্ট পুলিশের ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি হাবিবুর রহমান নারায়ণগঞ্জে এসে এতো ঘটনা ঘটার পরেও সন্তোষ প্রকাশ করে গেছেন !
নারায়ণগঞ্জ জেলায় যে হারে পুলিশ প্রশাসনের অনিয়ম ব্যর্থতা লক্ষ্যকরা যাচ্ছে, তাতেকরে এই জেলায় অপরাধ, দুর্নীতি, মাদক বাণিজ্য ও চাঁদাবাজি মহামারী আকার ধারণ করবে বলে মনে করছেন স্থানীয় জনসাধারণ। স্থানীয়দের অভিযোগ, রক্ষকই এখানে ভক্ষকের ভূমিকায় রয়েছে। জেলায় অপরাধ, দুর্নীতি, মাদক বাণিজ্য ও চাঁদাবাজির সঙ্গে সরাসরি পুলিশের সম্পৃক্ততার কারণে ব্যাপরোয়া হয়ে উঠেছে চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী ও মাদককারবারীরা। উক্ত বিষয়ে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করে এই প্রতিকূল পরিস্থিতে নিরাপত্তা ও পরিত্রান কামনা করেন স্থানীয় জনতা।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply