এম শহিদুল ইসলাম, টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে দুই সন্তানসহ প্রথম স্ত্রীকে রেখে পরকিয়া প্রেমিকাকে বিয়ে ও প্রথম স্ত্রীকে যৌতুকের জন্য অমানবিক নির্যাতনের মামলায় কারাগারে গেলেন স্বামী জুয়েল রানা (৩২)। তিনি গ্রামীণ ব্যাংকের একজন কর্মী।
প্রথম স্ত্রীর করা মামলায় জামিনে থাকলেও গত বুধবার ৯ সেপ্টেম্বর তার জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আকরামুল ইসলাম।
কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শামীমুল আক্তার।
অভিযুক্ত জুয়েল রানা টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার বড়খালী গ্রামের শাহেদ আলীর ছেলে। তিনি বর্তমানে বগুড়ার নন্দীগ্রামে গ্রামীণ ব্যাংকের একটি শাখায় মাঠকর্মী হিসেবে কর্মরত।
২০০৮ সালে ভূঞাপুর উপজেলার রাউৎ বাড়ী গ্রামের মো. মিয়ার মেয়ে তাসলিমার সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় জুয়েল রানার। তাদের সংসারে দুজন সন্তানও রয়েছে। কিন্তু ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে প্রথম স্ত্রী তাসলিমাকে না জানিয়ে উপজেলার নলুয়া গ্রামের পরকীয়া প্রেমিকা হাসিকে বিয়ে করেন জুয়েল।
এর আগে প্রথম স্ত্রী তাসলিমা ও তার সন্তানদেরকে বিভিন্ন সময়ে যৌতুকের কারণে মারধর করতেন। ধাপে ধাপে তাসলিমার বাবার কাছ থেকে বিভিন্নভাবে টাকা নিয়েও তা ফেরত দেননি। বরং আরো টাকা পাওয়ার লোভে মারধর করতেন। পরে বাধ্য হয়ে ভুক্তভোগী তাসলিমা আদালতে মামলা করেন। মামলায় অন্তবর্তীকালীন জামিন নেন অভিযুক্ত জুয়েল রানা।
ভুক্তভোগী তাসলিমা জানান, দীর্ঘদিনের সংসারে আমার দুই সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে সব অত্যাচার নীরবে সহ্য করেছি। এখন দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। তাই বাধ্য হয়ে আইনের আশ্রয় নিয়েছি। এখন আদালতই উপযুক্ত বিচার করবেন। আমার এই চরিত্রহীন স্বামীর বিচার আইনগতভাবেই হবে।
এদিকে অভিযুক্ত জুয়েল রানার নাম্বারে ফোন দিলে তার একজন নারী নিজেকে জুয়েলের দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে পরিচয় দেন। তবে মামলার বিষয়ে কথা বলতে চাইলে ব্যস্ত আছেন বলে ফোন কেটে দেন তিনি
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply