বুধবার দিবাগত রাত দেড়টায় থানার কেওঢালা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ধৃতদের গ্রেফতার করে। গতকাল বৃহস্পতিবার র্যাব বাদী হয়ে মামলা দায়ের পূর্বক বন্দর থানায় হস্থান্তর করে।
র্যাব জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১১’র (সিপিসি) বন্দর থানার কেওঢালা এলাকায় অভিযান চালায়। উক্ত অভিযানে বন্দর এলাকার মোঃ আমিনুল ইসলাম @ শাহিন (৩৭), মোঃ সাদেক হোসেন (৩০), শ্রাবণ আকন (১৮), মোঃ ইয়াছিন আহম্মেদ @ জুনায়েদ (২২) , মোঃ আশিকুর রহমান শিকদার @ শাকিব (২২)কে গ্রেফতার করে। এ সময় তাদের দখল হতে ২’টি চাইনিজ কুড়াল, ২’টি স্টীলের চাকু, স্টীলের তৈরি ২’টি ছুরি, ১’টি রামদা, ১’টি তরবারী, ১’টি পিস্তলের কভার, ১’টি হাসুয়া এবং ৩’শ পিছ ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে র্যাব-১১’র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ জসিম উদ্দীন চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
তিনি জানান, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত আসামীরা দুর্ধর্ষ পেশাদার সন্ত্রাসী, অপহরণকারী ও চাঁদাবাজ চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা দীর্ঘদিন যাবৎ পরস্পর যোগসাজশে দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে সংঘবদ্ধভাবে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়, মাদক ব্যবসাসহ নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকান্ড চালিয়ে আসছিল।
গ্রেফতারকৃত দুস্কৃতিকারীদের অপরাধ সংঘটনের সুনির্দিষ্ট তথ্যসহ কিছু ছবি পাওয়ার পর দীর্ঘদিন যাবৎ গোয়েন্দা নজরদারীর মাধ্যমে এই সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী চক্রকে শনাক্ত করে র্যাব। অতঃপর র্যাব-১১’র একটি চৌকস আভিযানিক দল কর্তৃক গতকাল ১৭’সেপ্টেম্বর রাত দেড়টায় বন্দর থানাধীন কেওঢালা এলাকা হতে সংঘবদ্ধ অবস্থায় ৫’জন সন্ত্রাসীদের হাতে-নাতে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ ও প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ আমিনুল ইসলাম শাহিনের নেতৃত্বে একটি কিশোর গ্যাং চক্র মদনপুর এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসাসহ নানা ধরনের অপরাধমূলক কাজ করে আসছিল এবং তার বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply