এম শহিদুল ইসলাম, টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধিঃ ঢাকা-টাঙ্গাইল-আরিচা মহাসড়কে জোড়াতালি দিয়ে কোন রকম দায় সারা গোছে চলছে বেইলি সেতু মেরামতের কাজ। যান চলাচলে থেকেই যাচ্ছে ঝুঁকির আশংকা। প্রায় দই/এক মাস পর-পরই চলে, এসব বেইলি সেতু মেরামতের কাজ।ফলে বার বার বিড়ম্বনায় পড়ছে এই সড়কে যাতায়াতকৃত যাত্রী সাধারন। তাই টাঙ্গাইল-আরিচা সড়কের অপর নাম হয়ে দাড়িয়েছে দূর্ভোগের সড়ক।
টাঙ্গাইল সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ৫৫ দশমিক পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ টাঙ্গাইল-আরিচা আঞ্চলিক মহাসড়কের ৩৫ দশমিক পাঁচ কিলোমিটার টাঙ্গাইলে ও ২০ কিলোমিটার পড়েছে মানিকগঞ্জ জেলায়। আঞ্চলিক এই মহাসড়কটি টাঙ্গাইল শহর থেকে শুরু করে দেলদুয়ার, নাগরপুর উপজেলা সদর, মানিকগঞ্জের দৌলতপুর ও ঘিওর উপজেলা সদর হয়ে বরাংগাইল পয়েন্টে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে মিশেছে।
সরেজমিনে সড়কটি ঘুরে দেখা গেছে, টাঙ্গাইল- মানিকগঞ্জ আন্ত জেলার প্রায় ১২ টি বেইলি ব্রিজই ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে একেবারেই চলাচল অনুপযোগী সেতু গুলো হচ্ছে টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর উপজেলার ভালকুটিয়া বেইলী সেতু, তিরছা বেইলী সেতু, টেংরীপাড়া বেইলী সেতু, ভাদ্রা বেইলী সেতু ও চাষা ভাদ্রা বেইলী সেতু।
স্থানীয় জনসাধারণ ও যাত্রীদের সাথে কথা বলে জানা যায় প্রায় ১-২ মাস পরপর এইসব বেইলী সেতু মেরামত করা হয়। ফলে যাতাযাতে ক্ষেত্রে মাঝে মধ্যেই বিড়ম্বনায় পড়তে হয় এ রোডের যাত্রী সাধারনকে। তারা আরো বলেন, কয়েকদিন পরপর এভাবে ব্যবহার অনুপযোগী ব্রিজগুলো মেরামত না করে এখানে নতুন ব্রিজ নির্মান করলে এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে।
মেরামত কাজের সম্পৃক্তদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত ১৬ সেপ্টেম্বর বুধবার টেংরীাপাড়া বেইলী সেতু থেকে শুরু হয়েছে মেরামতের এই কাজ। তা চলবে ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ৮ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত চলে জীর্ণ বেইলি ব্রিজের কাজ।
রাস্তা ব্যবহারকারী পরিবহন শ্রমিক ও যাত্রীরা বলেন, বার বার মেরামতের টাকায় তো অনায়াসে বেশ কয়েটি সেতু নির্মান সম্ভব হতো। এতে আমাদের ভোগান্তি থেকে পরিত্রাণ পেতাম।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply