এম শহিদুল ইসলাম, টায়্গাইল প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলে চার দফা বন্যার তান্ডবের রেশ না কাটতেই আবারও পঞ্চমবারের মতো যমুনার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নতুন করে প্লাবিত হচ্ছে কৃষকের বীজতলাসহ ফসলি জমি।
ভূঞাপুরে যমুনা নদীর পানি পঞ্চম দফায় আবারও নতুন করে বাড়তে শুরু করেছে। আর এই পানি বৃদ্ধির শুরুতেই তলিয়ে যাচ্ছে শত শত একর ফসলের জমিসহ কৃষকের ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন ।
চতুর্থ দফা বন্যার রেশ না কাটতেই আবারো বন্যা দেখা দিয়েছে। উজানের ঢলে যমুনা নদীতে নতুন করে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় তলিয়ে গেছে উপজেলার গাবসারা ইউনিয়নসহ তীরবর্তী ইউনিয়নের নিম্ননাঞ্চলের ফসলের জমি। ইতিমধ্যে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে চরাঞ্চলসহ বেশকিছু এলাকার লোকজন। এছাড়াও পঞ্চম দফার এ বন্যায় ভেস্তে গেছে কৃষকের স্বপ্ন। হাজার হাজার একর জমির রোপা আমন, বীজতলা ও সবজি বাগান পানির নীচে চলে গেছে। চতুর্থ দফা বন্যা শেষে বুকভরা আশা নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যাশায় চরা দামে চারা ক্রয় করে যে রোপা আমন কৃষক লাগিয়েছিলেন তা এখন পানির নীচে দোল খাচ্ছে। সরজমিনে এমন চিত্র দেখা গেছে উপজেলার গাবসারা, নিকরাইল ও অর্জুনা ইউনিয়নের বেশ কিছু এলাকায়। হাজার হাজার কৃষকের স্বপ্ন এখন দুঃস্বপ্নে রুপান্তরিত হয়েছে।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, এবছর চার ধাপে বন্যা হয়েছে। আর এই বন্যায় আমরা সর্বসান্ত হয়ে গেছি। অনেক কষ্ট করে চরা দামে চারা ক্রয় করে রোপা আমন লাগিয়েছিলাম। হঠাৎ করে আবার যমুনার পানি বেড়ে যাওয়ায় আমাদের সব ধান খেত পানির নীচে তলিয়ে গেছে। এখন আমরা পরিবার-পরিজন নিয়ে সারা বছর কি খেয়ে বাঁচবো। পথে বসা ছাড়া আমাদের আর কোন রাস্তা নেই। এখন আমাদের একমাত্র ভরসা মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর সুদৃষ্টি।
এবিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল মামুন রাসেল বলেন, হঠাৎ করে যমুনার পানি বেড়ে যাওয়ায় উপজেলার গাবসারা চরাঞ্চলসহ নদী তীরবর্তী নি¤œাঞ্চচলের বেশ কিছু এলাকার রোপা আমন ও বীচতলা’সহ অন্যান্য ফসলের জমি পানির নীচে তলিয়ে গেছে। আমরা উপজেলা কৃষি অফিস থেকে কৃষকদেরকে বার বার সতর্ক করেছি, তারা যেন সেপ্টেম্বর মাসের পর থেকে চারা রোপন শুরু করে। কৃষি অফিস থেকে প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বীজ, সার ও কৃষি উপকরণ সহ বিভিন্ন প্রণোদনা দিয়ে আসছি। সরকারিভাবে আমারা যদি কোন অনুদান বা সহযোগীতা পাই তবে সেটা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে বিতরন করা হবে।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply