গুরুদাসপুর উপজেলার ২ নং বিয়াঘাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রভাষক মো. মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ করেছেন ওই ইউনিয়নের ৭ জন ইউপি সদস্য। তালাবদ্ধ পরিষদের বাড়ান্দায় বসে তারা এই অভিযোগ করেন।
প্যানেল চেয়ারম্যান বেলাল হোসেন, সংরক্ষিত আসনের সদস্য মনোয়ারা খাতুন, সূর্য্য খাতুন, আব্দুল মালেক, আবুল কালাম আজাদ,স্বপন, সমজান আলীসহ ৭ ইউপি সদস্য অভিযোগ করেন- মোজাম্মেল হক চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই পরিষদে একক আধিপত্য বিস্তার করেছেন। সামাজিক বেষ্টনিসহ উন্নয়নমূলক কাজে সদস্য পাত্তা না দিয়ে এককভাবে সম্পাদন করছেন। এছাড়া কেয়ারের নিয়োগ দেওয়াসহ বিভিন্ন কাজে তার বিরুদ্ধে এসব কাজে অর্থ হাতিয়ে নেওয়াসহ ব্যাপক অনীয়মের প্রমাণও আছে।
তারা বলেন- এসব বিষয় নিয়ে সম্প্রতি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হকের সঙ্গে সদস্যদের টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়। সেসময় স্ব স্ব ওয়ার্ডের কাজ সদস্যদের মাধ্যমে করার প্রতিশ্রুতি দেন চেয়ারম্যান। কিন্তু আশ্বাসেই শেষ হয়। চলমান সংকট নিরশনে সপ্তাহখানেক আগে চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক আজ মঙ্গলবার সদস্য নিয়ে একটি সভা ডাকেন। কিন্তু সোমবার রাতে এক সদস্যকে ফোন করে পরিষদের সভায় না যাওার জন্য হুমকি দেন চেয়ারম্যান। চেয়ারম্যানের হুমকি উপেক্ষা করে মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে তারা পরিষদে গিয়ে দেখেন পরিষদের সকল কক্ষ তালাবদ্ধ।
এ ব্যাপারে বিয়াঘাট ইউনিয়ন পরিষদের সচিব জালাল উদ্দিন সভার বিষয়টির সতত্যা নিশ্চিত করে বলেন- ইউপি সদস্যের সভা থাকলেও চেয়ারম্যান তাকে কিছু জানাননি। তিনি ছুটিতে থাকায় পরিষদে আসেননি।
বিয়াঘাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রভাষক মো. মোজাম্মেল হক বলেন-তিনি বেশ কয়েকদিন ধরে অসুস্থ। সদস্যদের সভার ব্যপারে তিনি জানেন না। এছাড়া পরিষদে দায়িত্বেরত গ্রাম পুলিশ থানায় হাজিরা দিতে যাওয়ায় কিছুটা সময় পরিষদ বন্ধ থাকতে পারে
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply