নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে স্বামীকে বেঁধে রেখে গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনার নয়জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। ঘটনার প্রায় এক মাস পর রবিবার রাতে, মামলা করেন নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ।
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে গৃহবধূকে বিবস্র করে নির্যাতন; ৯ জনকে আসামি করে মামলা গ্রেপ্তার ৪
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে এক নারীকে (৩৭) বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানোর ঘটনার প্রধান আসামি বাদলকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এ ছাড়া এই ঘটনায় দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ারকেও অস্ত্রসহ নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ সোমবার সকালে র্যাবের গণমাধ্যম শাখার পক্ষ থেকে এই তথ্য জানানো হয়।
এর আগে এই ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তারের কথা আজ সকালে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ হারুন অর রশীদ চৌধুরী। গতকাল রোববার রাত ১০টার দিকে রহমত উল্লাহ (৪১) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। আর গতকাল বিকেলে আবদুর রহিম (২০) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
থানা সূত্র জানায়, নির্যাতনের শিকার ওই নারী গতকাল বেগমগঞ্জ থানায় দুটি মামলা করেন। দুই মামলাতেই নয়জনকে আসামি করা হয়।
গত সেপ্টেম্বর মাসের শুরুর দিকে বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নে এই ঘটনাটি ঘটে।
বেগমগঞ্জের ওসি মুহাম্মদ হারুন অর রশীদ চৌধুরী আজ গণমাধ্যমকে বলেন, নির্যাতনের শিকার নারী বাদী হয়ে বেগমগঞ্জ থানায় গতকাল দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে পৃথক দুটি মামলা করেন। একটি মামলা করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে। অন্যটি পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে।
মামলার এজাহারের নারী উল্লেখ করেন, তাঁর স্বামীকে বেঁধে রেখে আসামিরা তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। তাঁরা এ ঘটনার ভিডিওচিত্র ধারণা করেন। গত এক মাস ধরে তাঁরা এই ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে তাঁকে অনৈতিক প্রস্তাব দেন। অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তাঁরা এই ভিডিও ছেড়ে দেন।
এ ঘটনায় দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার দুইজন হলেন, জয়কৃষ্ণপুর গ্রামের আবদুর রহিম ও রহমতউল্লাহ। মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ২ সেপ্টেম্বর স্বামীকে পাশের ঘরে বেঁধে রেখে ওই নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে স্থানীয় বখাটে বাদল, দেলোয়ার, কালাম ও তার সহযোগীরা। বাধা দিলে গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে বেধড়ক মারধর করে মোবাইলে ভিডিও চিত্র ধারণ করে।
ঘটনার পর থেকে নির্যাতিতা গৃহবধূর পুরো পরিবারকে বাড়ি ছাড়তে বাধ্য করে অভিযুক্তরা। ঘটনার ৩২দিন পর গৃহবধূকে নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ পেলে তা ভাইরাল হয়। এতে টনক নড়ে স্থানীয় প্রশাসনের। পরে, বাড়ি ছাড়া গৃহবধূকে তার এক আত্মীয়ের বাসা থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply