নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বাকলিয়া থানায় ০৫ অক্টবর সোমবার জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ হতে একজন তরুনী ফোন করে জানান যে, তাকে এবং তার ফুফাত বোনকে বাকলিয়া থানাধীন একটি বাসায় বন্দি করে রাখা হয়েছে। কিন্তু সে বাসার নাম-নাম্বার কোন কিছুই জানেনা। জাতীয় জরুরি সেবা উক্ত তরুনীর কলটি বাকলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ এর সরকারি নাম্বারের সাথে সংযোগ ঘটিয়ে দিলে তিনি উক্ত ভিকটিমদের সহিত কথা বলেন। কিন্তু ভিকটিমরা কোন সুনিদিষ্ট ঠিকানা দিতে পারছিল না। তারা শুধু কল্পলোক আবাসিক এর একটি বাসায় তাদের আটকে রাখা হয়েছে বলে জানাতে পারে।
বাকলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মেয়েটির সাথে কথা বলে তাকে জানালা দিয়ে বাইরের দৃশ্যের বর্ণনা দিতে বলেন। সেই বর্ণনার সূত্র ধরে বাকলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ এর নেতৃত্বে বাকলিয়া থানার চৌকস অফিসার দ্বারা উক্ত ভিকটিমদের বাকলিয়া থানাধীন কল্পলোক আবাসিক এলাকাস্থ এমিরেটার্স প্যালেস ব্লক-জি, প্লট-৩১, ৫ম তলার ৪ বি-ফ্ল্যাটটি সনাক্ত করা হয়
এরপর ঐ বাসা থেকে ভিকটিমদের উদ্ধার করা হয় এবং জড়িত ব্যক্তি ১। মোঃ দেলোয়ার(২৫) এবং ২। শাহীন আকতার(২৪)’দ্বয়কে আটক করা হয়। ভিকটিমদ্বয়ের সাথে কথা বলে জানা যায় তারা পতেঙ্গা থানাধীন কর্ণফুলী ইপিজেড কেনপার্ক বাংলাদেশ এ্যাপারেল প্রাইভেট লিমিটেডে চাকরি করতো।
করোনা ভাইরাস সংক্রমন এর কারনে কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়াতে ঐ গার্মেন্টস এর রেখা নামের একজন সহকর্মী অন্য গার্মেন্টসে চাকরি দেওয়ার নাম করে মোঃ রাকিব(২৫) এর সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করিয়ে দেয়। সেই সুবাদে গার্মেন্টসে চাকুরী দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে মোঃ রাকিব(২৫), তার বন্ধু শওকত আলী খাঁন(৩৩) ও শাহিনা আক্তারগন পরস্পর যোগসাজসে ভিকটিম বিউটি ও সুইটি (ছদ্মনাম) দ্বয়কে উপরোল্লিখিত ঘটনাস্থলের বাসায় গত ০৩/১০/২০২০ ইং তারিখ রাত অনুমান ১১.৪৫ ঘটিকার সময় নিয়ে আসে।
ঘটনাস্থলের বাসায় নিয়ে আসার পর ভিকটিমদ্বয় ধৃত ব্যক্তি ১। মোঃ দেলোয়ার(২৫) এবং ২। শাহীন আকতার(২৪) দ্বয়কে দেখতে পায়। তারা ভিকটিম বিউটি ও সুইটি (ছদ্মনাম) দ্বয়কে ঘটনাস্থলে অন্যায়ভাবে আটক করে জোরপূর্বক দেহ ব্যবসা করতে বাধ্য করে। আসামী শওকত এবং রাকিব সাম্প্রতিক কালে বাসাটি ভাড়া নিয়ে অসহায় তরুনীদের টার্গেট করে কৌশলে নিয়ে এসে জোর পূর্বক দেহ ব্যবসার কাজে লিপ্ত ছিল।
আসামীদের বিরুদ্ধে বাকলিয়া থানার মামলা নং- ১৬, ধারা- মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন ২০১২ এর ১১ ধারা রুজু করা হয়েছে। জড়িত পলাতক আসামীদের গ্রেফতারের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply