মাহমুদুল হাসান,যশোর জেলা প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ কাস্টমস হাউসের অন্যতম শাখা বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশান দিয়ে বৈশ্বিক করোনা প্রাদুর্ভাবেও থেমে নেই অসাধু ব্যাবসায়ীদের শুল্ক ফাঁকির অতিরিক্ত পন্য বহনের হিড়িক।
স্টেশনটিতে কর্মরত অসাধু কাস্টমস কর্মকর্তা,ইমিগ্রেশান পুলিশ, আনসার সদস্য,স্থানীয় ক্ষমতাসীন দলের নেতৃবৃন্দের যোগ সাজে গড়ে ওঠা শক্তিশালী সিন্ডিকেট এর কবলে সরকার নিয়ত রাজস্ব বঞ্চিত হলেও আঙ্গুল ফলে কলাগাছ বনছেন তারা। অতিরিক্ত পন্যের শুল্ক পরিশোধ না করেই ভারত হতে পাসপোর্ট যাত্রীর সহিত আনিত অতিরিক্ত পন্য (শুল্ক পরিশোধ যোগ্য) অনায়াসে ছাড় করাচ্ছেন এ চক্রটি ফলে এ পথে ভারত ভ্রমন ইচ্ছুক পাসপোর্ট যাত্রীদের আধিক্য বাড়ছে।
এ প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকলে করোনার সংক্রামন বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক নিয়োজিত বেনাপোল ইমিগ্রেশানে কর্তব্যরত স্বাস্থ্যকর্মীরা।কেননা বর্হিদেশ ভ্রমনে করোনা নেগিটিভ সনদের ক্ষেত্রেও দূর্নিতী পরিলক্ষিত হচ্ছে। বল প্রয়োগে মানা হচ্ছেনা অনলাইন কোভিড-১৯ সার্টিফিকেট। করোনা পরিস্থিতির শুরু হতে এ পর্যন্ত ভারত গমণাগমনে বেনাপোল-প্রেট্রাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশান দিয়ে রেকর্ড সংখ্যক যাত্রী পারাপার হয়েছে বলে ধারনা করছেন ইমিগ্রেশানে যাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষায় নিয়োজিত মেডিকেল টিম ইনচার্জ হাসানুজ্জামান।
কেবলমাত্র ট্যুরিস্ট ভিসা ব্যাতিত অন্য সকল ভিসা চালু থাকার সুবাধে বিজনেজ ভিসার পাসপোর্ট যাত্রীরা জড়িয়ে পড়ছেন অতিরিক্ত পন্য বহন কাজে। অতিরিক্ত পন্য শুল্ক মুক্ত সুবিধায় পার করিয়ে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে কথিত সিন্ডিকেট সদস্যরা।অভিযোগ ওঠলে ইতিমধ্যে বেনাপোল কাস্টমস হাউসের ইমিগ্রেশানে দ্বায়িত্বরত দুই কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।প্রত্যাহারকৃত সদস্যরা হলেন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা শামিম হোসেন ও আমিনুর রহমান।
গত শুক্রবার সন্ধ্যায়( ২৭নভেম্বর) তাদের কে চেকপোস্ট কাস্টমস তল্লাশী কেন্দ্র হতে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে চেকপোস্ট কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা আলমগীর কবির গনমাধ্যম কর্মীদের নিশ্চিত করেন।এটি শাস্তি যোগ্য না স্বাভাবিক বদলী তা জানা যাইনী এখনো। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইমিগ্রেশানটিতে কর্মরত এক কর্মকর্তা জানান,ইমিগ্রেশান পুলিশ মনির,কর্তব্যরত কালাম,আনছার সদস্য দেলোয়ার ও ইমিগ্রেশান ওসির ব্যাক্তিগত সহকারী সোহেলের তৎপরতায় করোনা কালীন ল্যাগেজ ব্যাবসা রমরমা। যাত্রীর ব্যাগ প্রতি ৫হতে ৭হাজার টাকা গ্রহন করে বিনা শুল্কে পাসপোর্ট যাত্রীদের পন্য ছাড় করিয়ে দিচ্ছে এ চক্রটি।
অসাধু ভারত ফেরত প্রতি যাত্রীর সাথে থাকে কম্বল, মোবাইল, কসমেটিক্স, শুস্ক খাদ্যপন্য,মেডিসিন,শাড়ী-থ্রিপিচ,শার্ট,প্যান্ট,জুতা ও অন্যন্য পন্য ভর্তি ৬/৭টি ব্যাগ। সুত্রটির দাবী বিগত তিন মাসের ইমিগ্রেশান চত্তরে সিসি ফুটেজ দেখলে সব খোলসা হবে। এ সবই চলছে উর্দ্ধতনদের ইশারায়, পত্র- পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হলেও বন্ধ হয়না বেনাপোল ইমিগ্রেশনটির অনিয়ম।
বিষয়টি জানতে বেনাপোল কাস্টমস হাউসের কমিশনারের অফিসিয়াল নাম্বারে যোগাযোগ করলে সংযোগ না মেলায় বিবৃতি নেওয়া সম্ভব হয়নী। সরকার ঘোষিত করোনার সেকন্ড ওয়েব রোধে গৃহিত পদক্ষেপ স্বচ্ছ ও সঠিক ভাবে ইমিগ্রেশানটিতে বাস্তবায়ন হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। করোনা পরিস্থিতিরি ভয়াবহতা রোধে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করে আশু হস্তক্ষেপ চেয়েছেন বেনাপোলের সচেতন মহল।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply