মাহমুদুল হাসান,যশোর : যশোরের শার্শা উপজেলার বেনাপোল ভূমি অফিস সহ একাধিক ভূমি অফিসে খাজনা পরিশোধের দাখিলা বই সংকটে ভূমি অফিসে খাজনা পরিশোধ করতে আসা জনসাধারনের দূর্ভোগ চরমে।ভূক্তভোগীরা সপ্তাহের পর মাস পেরিয়ে অনেকেই খাজনা পরিশোধ করতে না পেরে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন।
তাদের দাবী অফিস কর্তৃপক্ষ খাজনা গ্রহনের জন্য নির্দিষ্ট দিন তারিখ বেধে দিলেও কাঙ্খিত দিন অফিস গিয়ে রশিদ বই শেষ হওয়ার অজুহাতে ফিরে আসতে হচ্ছে।জমি ক্রয়,বিক্রয়ের ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রি বিলম্বিত হওয়ায় অনেকে রয়েছেন শঙ্কায়। কাকমারী গ্রামের মাসুদ খান,বেনাপোলের রাসেল সহ একাধিক ব্যাক্তি জানান,তারা দীর্ঘ ২০/২৫দিন যাবৎ বেনাপোল ভূমি অফিসে খাজনা পরিশোধ করতে যেয়ে রশিদ সঙ্কটে ফিরে আসছেন।এতে তাদের সময়,শ্রম ও আর্থিক ক্ষতির সন্মূখীন হতে হচ্ছে।এখানে সেবা প্রত্যাশীদের খাজনা পরিশোধের জন্য সিরিয়াল মেনটেন্স করা হচ্ছে না।
ভূক্তভোগীর নাম ঠিকানা লিপিবদ্ধ না করায় ও মৌখিক ভাবে খাজনা গ্রহনের দিন জানানোর ক্ষেত্রে কর্মরতরা অনিয়ম করছেন বলে আরো জানান।বেনাপোল ভূমি অফিসের নায়েব আবু সাইদ মোল্লা জানান উপজেলার প্রত্যেকটি ভূমি অফিসে দাখিলা বই সঙ্কট।পর্যাপ্ত রশিদ না থাকায় খাজনা গ্রহন প্রক্রিয়া ব্যাহত হচ্ছে।সপ্তাহে বা ১০দিনে ১টা করে বই পাচ্ছি চাহিদা অনেক বেশী,বিষয়টি আমরা উর্দ্ধতনদের জানিয়েছি।
এ বিষয়ে শার্শা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাসনা শারমিন মিথি মুঠো ফোনে উপজেলার সব কয়টি ভূমি অফিসে রশিদ বই সঙ্কটের সত্যতা স্বীকার করে জানান,আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যেএ সমস্যা সমাধান সম্ভব হবে। অনিয়ম প্রশ্নে তিনি বলেন কোন ভাবেই এটা সম্ভব নই। বেনাপোল স্থল বন্দর এলাকা হওয়ায় এই এলাকায় জনসংখ্যার আধিক্যে খাঁজনা পরিশোধ কারীর সংখ্যাও বেশী।বই সঙ্কট কে পুঁজি করে বিশেষ তদবিরে খাঁজানা পরিশোধের কবলে ভূমি সেবা প্রত্যাশীদের অনিয়মের কবলে পড়া অভিযোগের সত্যতা মিলেছে।
উপজেলাবাসী দ্রুত দূর্ভোগ লাঘবে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply