ঋতম্ভরা বন্দোপাধ্যায় , কলকাতা : কোলকাতার ঐতিহ্যপূর্ণ নলিনী গুহ সভাগৃহে গত ৮ মে তথা ২৫ বৈশাখ বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩ তম জন্মবার্ষিকী উদযাপিত হলো।
রবীন্দ্র জয়ন্তী উপলক্ষ্য করে একটি বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।রবীন্দ্র সংগীত , রবীন্দ্র নৃত্য (নাচ) , কবিতা আবৃতি, নাটক পরিবেশনের মধ্য দিয়ে । বর্ণাঢ্য এই অনুষ্ঠানকে আলোকিত করতে বিখ্যাত মানুষরা উপস্থিত ছিলেন। বুধবার, ৮ মে ২০২৪ এ নলিনী গুহ হলে পরিবেশন করা হয় “হৃদয় মাঝে রবি ২৫ বৈশাখ “।
রবীন্দ্র জয়ন্তী নিয়ে। সেখানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর প্রতিকৃতি তে মাল্যদান করলেন সঙ্গীতশিল্পী এবং সাংবাদিক ঋতম্ভরা বন্দোপাধ্যায়। তাঁর সাথে ছিলেন এই অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা এবং সঞ্চালিকা চৈতালি মল্লিক । তিনিও বিশ্ব বরেণ্য কবির প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করলেন। চৈতালি মল্লিক এই অনুষ্ঠান কে তুলে ধরার জন্য বিখ্যাত গুনী সংগীতশিল্পী দের কে আহ্বান জানান। সেখানে বিভিন্ন স্তরের সঙ্গীতশিল্পী দের আমন্ত্রন জানানো হয়েছিল। সেখানে শুধু সঙ্গীতই নয় অনেকেই কবিতা পাঠও করেছেন কেউ বা নাচ। খুব ভালো ভাবে এই অনুষ্ঠানটিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বিভিন্ন সঙ্গীত শিল্পীদের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের সুন্দর সুন্দর রবীন্দ্র সঙ্গীত আর কবিতা শুনিয়ে।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শিল্পী , আবৃত্তিকারের অপূর্ব পরিবেশনার পর বিভিন্ন সঙ্গীত শিল্পীদের ও আবৃত্তিকারদের হাতে স্মারক পুরস্কার তুলে দেওয়া হয় বিভিন্ন গুণীজনদের হাত দিয়ে। আমরা ও গানে অংশগ্রহণ করেছি। সুন্দর সুন্দর দুটো রবীন্দ্র সঙ্গীত দিয়ে শ্রদ্ধা জানাই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কে । সাথে ছিলেন স্বয়ং গুরুজী সঙ্গীত শিল্পী ব্রহ্মতোষ চট্টোপাধ্যায় ও । আমাদের গ্রূপ ” গীত ও রবি” এর ছাত্রীরা ও গান করেছি । সেখানে আরেক টা ও গানের গ্রূপ ছিল। ‘নবগিতীকা’ গ্রুপের কর্তৃত্বে ছিলেন গুরুজী মিনু মাদুলী । তাঁরা ও গেয়েছেন । সেখানে সোলো ভাবে ও পারফর্ম করেছেন কিছু সঙ্গীত শিল্পীরা। আলাদা করে কবিতা আবৃতি , নাটক আর গান দিয়ে । সত্যিই অসাধারণ একটি মনোরম মুহূর্ত তৈরি হয় সেখানে । নতুন প্রজন্মের এক কিশোর আবৃতিকার সম্বোধি পাল চৌধুরী কবিতা শুনিয়ে মুগ্ধ করলেন আর শুধু আবৃতি দিয়ে নয় গান শুনিয়ে ও মাতিয়ে দিলেন তিনি । আমাদের গুরুজী সঙ্গীত শিল্পী ব্রহ্মতোষ চট্টোপাধ্যায়। তিনি রাজ্য সরকারের পুরস্কারপ্রাপ্ত জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী। তিনি ও গান পরিবেশন করেছেন। খুব ভালো লেগেছে । আমাদের গ্রূপের এক নতুন প্রজন্মের ছাত্রী মাম্পির হাতে সম্মাননা পত্র তুলে দেওয়ার জন্য স্বয়ং গুরুজী ব্রহ্মতোষ চট্টোপাধ্যায় লোকসভার প্রেস এড্ভাইজরি কমিটির মেম্বার ও দক্ষিণ এশিয়ার প্রেস ক্লাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং সাংবাদিক ডাঃ মানস বন্দোপাধ্যায়কে অনুরোধ করেন। তারপর এই রবীন্দ্র জয়ন্তী নিয়ে কিছু বক্তব্য রাখলেন ডাঃ মানস বন্দোপাধ্যায়। তারপর একজন সঙ্গীতশিল্পী কে সম্মাননা পত্র দেওয়ার জন্য স্বয়ং সঞ্চালিকা চৈতালি মল্লিক কলকাতার হাই কোর্টের উকিল এবং সাংবাদিক অনুরাধা বন্দোপাধ্যায় কে আমন্ত্রন জানান।
এই অভিনব কায়দায় ও কৌশলে উপস্থাপনা করায় সত্যিই একসময় অনুষ্ঠানটি খুবই উপভোগ্য হয়ে উঠেছিল।সামাজিক ভাবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান গুলোকে যেন সারাজীবন চৈতালী ম্যাডাম ধরে রাখতে পারেন এমন করে সুন্দর ভাবে । রবীন্দ্রনাথের কবিতা আবৃতি, গান, নাটক, নাচ এগুলো মানুষের মধ্যে নতুন এবং সুন্দর কিছু করতে প্রেরণা যোগায় এই ধরণের অনুষ্ঠানগুলি।। এগুলো মানুষের মধ্যে দীর্ঘদিন দর্শকদের মধ্যে স্মরণীয় ও স্থায়ী হয়ে থাকবে, এই রবীন্দ্র চর্চার মাধ্যমে এটাই আমরা কামনা করি । সশ্রদ্ধ প্রণাম জানাই এমন একজন মানুষকে যিনি তার সৃষ্টির সম্ভার নিয়ে সারা বিশ্বে আলোর সঞ্চার করেছেন। উদ্ভাসিত করেছেন আবাল, বৃদ্ধ, বনিতাকে। সারা বিশ্বকে আলোকিত করে তিনি আজ বিশ্ব কবি। সারা বিশ্বকে আলোকিত করে তিনি আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন, কিন্তু তার সৃষ্টির অমূল্য সম্পদ আজও তাঁকে অবিস্মরণীয় করে রেখেছে। তিনি হলেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
আজ সেই প্রনম্য গুরুদেবকে শ্রদ্ধা জানিয়ে গাইতে ইচ্ছে করে ” আলোকের এই ঝর্ণা ধারায় ধুইয়ে দাও,আপনাকে এই লুকিয়ে থাকা ধূলায় ঢাকা”.
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply