রাকিব হোসেন, শরীয়তপুর জেলা প্রতিনিধিঃ ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি সার্ভিস ৯৯৯-এর কল পেয়ে শরীয়তপুর সদর উপজেলার স্বর্ণঘোষ গ্রামের এক প্রসূতির চিকিৎসায় এগিয়ে এলো পালং মডেল থানা পুলিশ। গত শনিবার ৫ ডিসেম্বর দিবাগত রাত দেড়টার দিকে শরীয়তপুর শহরের নার্সিং হোম নামের একটি ক্লিনিকে এ ঘটনা ঘটে। প্রসূতির নাম মোসা. লিমা আক্তার (২৫)। তিনি সদর উপজেলার স্বর্ণঘোষ গ্রামের আব্দুল লতিফ সরদারের স্ত্রী।
শরীয়তপুর সদরের পালং মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আমিনুর রহমান বলেন, থানার ডিউটি অফিসারের সরকারি মুঠোফোনে শনিবার রাত দেড়টার দিকে ৯৯৯-এ ফোন আসে। ফোনে জানায়, জেলা শহরের নার্সিং হোম ক্লিনিকে এক প্রসূতিকে ভর্তি নিচ্ছে না। প্রসূতির জীবন সংকটাপন্ন। এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিন।
‘তখন থানার নৈশ মোবাইল টিমের একজন বিষয়টি আমাকে জানান। পরে তাৎক্ষণিক ওই ক্লিনিকে গিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলি। তারা জানান, চিকিৎসক না থাকায় তারা ভর্তি করেননি।’
এদিকে প্রসূতি তীব্র প্রসব বেদনায় কাতরাচ্ছিলেন। প্রচুর রক্তপাতও হচ্ছিল। কোনো উপায় না দেখে হাসপাতালের এক কর্মচারীকে নিয়ে শরীয়তপুর সদরের পালং মডেল থানার পুলিশের পিকআপ ভ্যানে করে পাঁচ কিলোমিটার দূরে সদরের স্বর্ণঘোষ এলাকায় চিকিৎসক বোরহানের বাসায় যাই। চিকিৎসককে সঙ্গে করে ক্লিনিকে নিয়ে আসি। পরে চিকিৎসক প্রসূতি নারীকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে সিজারের মাধ্যমে ডেলিভারি করান।
গত ৬ ডিসেম্বর রোজ রোববার ভোর ৫টার দিকে লিমার কোলজুড়ে আসে এক ফুটফুটে ছেলে সন্তান।
লিমার স্বামী আব্দুল লতিফ সরদার (২৭) বলেন, আমার দুই ছেলে। ছোট ছেলে গতকাল ক্লিনিকে জন্ম নিয়েছে। আমার স্ত্রী গতকাল রাতে প্রসব বেদনায় কাতর ছিল। তবুও নার্সিং হোম ক্লিনিকের লোক ভর্তি নিচ্ছিলেন না। পরে পুলিশের সহযোগিতায় আমার স্ত্রী সন্তান প্রসব করেন। আমি পুলিশ বাহিনীর কাছে চিরদিন ঋণী থাকবো।
শরীয়তপুর সদরের পালং মডেল থানার ওসি (তদন্ত) এসএম আতিক উল্লাহ বলেন, ডিউটিকালীন মানবিক হিসেবে পুলিশ এ রকম অসংখ্য ভালো কাজ করে অসহায় মানুষের সেবা দিয়ে আসছে। আমরা সব সময় সেবা দিয়ে যাব।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply