চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের অফিস সহায়ক জয়নাল আবেদিন অর্থের বিনিময়ে এ পর্যন্ত এক হাজার ৮০০ রোহিঙ্গাকে ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) তৈরি করে দিয়েছেন।
রোববার আদালতে দেয়া ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে এমন তথ্যই দিয়েছেন জয়নাল। তবে তার দেয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করছে তদন্ত সংস্থা কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। শনিবার রাতে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু ছালেহ মোহাম্মদ নোমানের আদালতে জবানবন্দিতে জয়নাল আবেদিন রোহিঙ্গাদের ভোটার করার এ দুষ্কর্মে জড়িত ঢাকা-চট্টগ্রামসহ কয়েকটি জেলার নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নামও প্রকাশ করেছেন। এদিকে রোববার দুপুরে একজন নারীসহ চট্টগ্রাম নির্বাচন অফিসের ৪ ডাটা এন্ট্রি অপারেটরকে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তারা হলেন কোতোয়ালি থানা নির্বাচন অফিসের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর ফাহমিদা ও শাহীন, পাঁচলাইশ নির্বাচন অফিসের পাভেল বড়–য়া, বন্দর নির্বাচন অফিসের জাহেদ।
সূত্র জানায়, নারীসহ ৪ অপারেটরকে রোববার দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর লাভ লেনে অবস্থিত আঞ্চলিক সার্ভার স্টেশন থেকে নিয়ে যাওয়া হয়। সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের উপকমিশনার মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, ‘জয়নাল আবেদিন আদালতে যেসব জবানবন্দি দিয়েছেন, আমরা তা যাচাই-বাছাই করছি। রিমান্ডে তাকে জিজ্ঞাসাবাদে যেসব তথ্য পেয়েছি, জবানবন্দিতেও সেসব তথ্য জয়নাল প্রকাশ করেছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পরিদর্শক রাজেশ বড়–য়া বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে এবং জবানবন্দিতে অনেক তথ্য এসেছে। এনআইডি জালিয়াতির সঙ্গে আরও অনেকে যুক্ত থাকার তথ্য পেয়ে এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছি।’ একটি এনআইডি করিয়ে দেয়ার বিনিময়ে জয়নাল আবেদিন প্রায় ৫০ হাজার টাকা করে হাতিয়ে নিতেন।
১৬ সেপ্টেম্বর রাতে জয়নালসহ তিনজনকে আটক করে নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তারা। চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের কর্মকর্তারা তাদের আটক করে কোতোয়ালি থানা পুলিশের হাতে দেন। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় নির্বাচন অফিসের গায়েব হওয়া একটি ল্যাপটপও। এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় পাঁচজনকে আসামি করে পরিচয়পত্র নিবন্ধন ও ডিজিটাল আইনে মামলা করেন ডবলমুরিং থানা নির্বাচন কর্মকর্তা পল্লবী চাকমা।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply