গোল চিহ্নিত লেদার জ্যাকেট পরিহিত লোকটিকে খুব কম মানুষেই হয়তো চিনে। সেদিন নিয়াজির আত্বসমর্পন অনুষ্ঠানে আরোরা ও ভারতীয় অফিসারদের পাশাপাশি তিনিও ছিলেন মুক্তিযুদ্ধাদের প্রতিনিধি হিসেবে। বীরদর্পে নিয়াজিকে নিয়ে গিয়েছিলেন আত্বসমর্পন মঞ্চে। তিনি মেজর এটিএম হায়দার( পরবর্তী বীর উত্তম লেফট্যানেন্ট কর্ণেল এটিএম হায়দার), ২নং সেক্টর কমান্ডর।
এটিএম হায়দার কিশোরগঞ্জের বীর সন্তান। মাধ্যমিক পাস করেছেন রামানন্দ হাইস্কুল (পরবর্তীতে এটা কিশোরগঞ্জ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় হয়), উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছেন গুরুদয়াল সরাকারি কলেজ থেকে। লাহোরের ইসলামিয়া কলেজ থেকে বিএসসি শেষ করার পর পরবর্তীতে পাকিস্তান আর্মিতে যোগ দেন তিনি। স্পেশাল কমান্ডো ট্রেনিং প্রাপ্ত ছিলেন এই বীর যোদ্ধা।
মুক্তিযুদ্ধে ছিল তার অসামান্য বীরত্ব। এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময় তিনি ভারতীয় কমান্ডো ও ৬/৭ জন সৈন্য নিয়ে কিশোরগঞ্জে আসেন এবং কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ মহাসড়কের তারেরঘাট ব্রিজ, মুসুল্লি রেলওয়ে ব্রিজ ধ্বংস করে প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে সুসংহত করেন। ঢাকার ক্র্যাক প্লাটুনের গেরিলাদের ট্রেইনারও ছিলেন তিনি। তার হাতেই তৈরি হয়েছিল শহীদ জননী জাহানারা ইমামের ছেলে রুমির মতো দূদুর্ষ গেরিলা।
২নং সেক্টর কমান্ডার এই বীর মুক্তি যোদ্ধার সমাধি রয়েছে কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া এলাকায়।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply