মাহমুদুল হাসান,যশোর : যশোরের শার্শা উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের ধান্যখোলা গ্রামে অবস্থিত ধান্যখোলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর এর তত্বাবাধনে নব নির্মিত চারতলা ভবন নির্মাণে অনিয়ম ও নিন্মমানের সরঞ্জাম ব্যাহারের অভিযোগ তুলে নির্মাণ কাজ বন্ধ সহ ভবনটির লিনটন,ব্যালকনি,ড্রপছাদ ও পিলারের কিছু অংশ ভাংচুর করেছে স্থানীয় গ্রামবাসী।
তাদের অভিযোগ বিগত ১বছর পূর্বে ভবনের নির্মান কাজ শুরুর প্রথম হতেই বেজমেন্ট, কলম ঢালাই কাজে অনিয়ম পরিলক্ষিত হলে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক ও এলাকাবাসীর বাধার মুখে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান আর অনিয়ম করবে না বলে আস্বস্ত করে পুনরায় ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করেন।গত বৃহষ্পতিবার (১৭ই ডিসেম্বর) সকালে আবারো নির্মাণ কাজে অনিয়ম ধরা পড়লে বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যত নিরাপত্তা চিন্তায় ভবনের অনেকাংশ ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়। অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে বিদ্যালয়টির সহকারী লাইব্রেরীয়ান মিনহাজুর ইসলাম মিন্টু সাংবাদিক দের জানান,ভবন নির্মানের জন্য নকশা অনুয়ায়ী নির্ধারীত রড ও অন্যান্য সরঞ্জাম ব্যাবহার না হওয়ায় আমি নিজেই কাজ বন্ধ করিয়ে ছয়টি পিলার ভেঙ্গে ফেলি।বিষয়টি নিয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুভাস চন্দ্র মন্ডলের মুঠো ফোনে কল দিয়ে সংযোগ না মেলায় বিবৃতি নেওয়া সম্ভব হয়নী।ঘটনার সত্যতা যাচায়ে শুক্রবার সকালে সরেজমিনে ধান্যখোলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গেলে বেনাপোল পোর্টথানা পুলিশের এস আই রিয়েল এর নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যদের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে দেখা যায়।প্রকল্পটির দায়িত্বপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার জহির রায়হান মুঠোফোনে সংবাদকর্মীদের জানান,গ্রামবাসী কর্তৃক অনিয়ম করে নির্মিত ভবনের কয়েকটি অংশ ভেঙ্গে ফেলার কথা তিনি জানেন। নিয়োজিত ঠিকাদার কামাল আহমেদ কে ঘটনা স্থলে যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ভাংচুরের খবরে ডজন খানিক সংবাদকর্মী ঘটনা স্থলে গিয়েও অনিয়ম -দূর্নিতীর সংবাদ প্রকাশ না করায় ইঞ্জিনিয়ার ও ঠিকাদার প্রচুর অর্থের বিনিময়ে গনমাধ্যম কর্মীদের ম্যানেজ করেছে বলে অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় নাসির,আমেনা, ওয়াসিম অন্যান্য গ্রামবাসী । অন্য দিকে ভবন র্নিমাণ কাজের অনিয়ম-দূর্নিতীর ঘটনাটি ধামা চাপা দিতে ঠিকাদার স্থানীয় একটি মহলের সাহায্যে তদবির মিশনে নামায় এলাকাবাসীর মধ্যে জনরোস সৃষ্টি হয়েছে।এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট মহলের উর্দ্ধতনদের দৃষ্টি আকর্ষন করে ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যত জীবন হুমকির মুখে ফেলা সরকারী কর্মকর্তা সহ ঐ ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের শাস্তি দাবী করেছেন।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply