ভালুকা প্রতিনিধিঃ ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলা কৃষকলীগের যুগ্নসম্পাদকসহ ৮ জনের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। বুধবার ওই ব্যক্তিদের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ময়মনসিংহের আদালত।
পরোয়ানা প্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন,ভালুকা সাবরেজিস্ট্রি কার্যালয়ের দলিল লেখক সমিতির সহসভাপতি শফিকুল ইসলাম।ভালুকা উপজেলা কৃষকলীগের যুগ্নসম্পাদক জাকির হোসেন জুয়েল ,রফিকুল ইসলাম হিরা, সাইদুল ইসলাম ,সাইফুল ইসলাম,আব্দুল করিম, মোঃ মোস্তফা এবং কাচিনা ইউনিয়ন পরিষদের ৪,৫ও ৬ ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের নারী সদস্য হাজেরা খাতুন। তাদের বাড়ি উপজেলার কাচিনা ইউনিয়নে।
মামলার বাদি ও কাগজপত্র ঘেঁটে দেখা যায়, উপজেলার কাদিগড় মৌজার ৯ একর জমির পৈত্রিক সূত্রে মালিক হন আতাউর রহমান,শামসুল হক, মোতাহার হোসেন ও সমর আলী। আতাউর ও শামসুল ২০০৪ সনে মারা যান। মৃত ওই দুই জনসহ চার জনের নামে ভুয়া ওয়ারিশান সনদ ও আইডি কার্ড তৈরি করেন উপজেলা কৃষকলীগের যুগ্ন সম্পাদক জাকির হোসেন জুয়েল ও সংরক্ষিত আসনের নারী সদস্য হাজেরা খাতুনসহ আরও কয়েকজন।পরে তারা ৯ একর জমি স্থানীয় নায়েবের মাধ্যমে কৌশলে ২১৬৮ ও ২১৬৯ নম্বরের দুটি নামজারী করেন। এরপর এসব কাগজ পত্র দিয়ে ২০১৯ সালের ১৩ মে ঢাকার ম্যাক্স নাহার ইন্টারন্যাশনালের মালিক মাহমুদুর রহমান চৌধুরীর নামে ৯ একর জমির আমমোক্তা ও বন্ধকী দলিল করেন ভালুকা সাবরেজিস্ট্রার জাহাঙ্গীর আলম। এই দলিল দুটির সনাক্তকারী ছিলেন দলিল লেখক সমিতির সহসভাপতি শফিকুল ইসলাম।
বিষয়টি কিছু দিন পর এক ইউপি সদস্যের মাধ্যেমে জানতে পারেন জমির প্রকৃত মালিক হাফিজুল ইসলাম। এরপর তিনি একই বছরের ১৫ অক্টোবর ১২ জনকে আসামি করে জাল-জালিয়াতিসহ আরও কয়েকটি ধারায় মামলা করেন হাফিজুল ইসলাম। মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)কে তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত । পিবিআই তদন্তের পর ১২ জনের মধ্যে ১০ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
জানতে চাইলে এ বিষয়ে বাদি পক্ষের আইনজীবী কবির হোসেন মন্ডল মোঠো ফোনে বলেন, পিবিআই তদন্তের প্রতিবেদনে ১০ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের পর বিজ্ঞ সিনিয়র ৮নং আমলী আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট ইমাম হাসান ৮ জনের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply