মনিরুল ইসলাম, কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ
কচুয়ায় গ্রাম্য সালিশ বৈঠকে ছেলেকে পেটানো দেখে বাবা নিবাশ সরকার (৭০) মারা গেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
শুত্রুবার রাত ৯টার দিকে কড়ইয়া ইউনিয়নের বাসাবাড়িয়া গ্রামের সরকার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানায়, নিবাশের ৩ ছেলে দিলিপ সরকার, রিপন ও নয়ন সরকার। দিলিপ ও রিপন বাবার ভরণ পোষণ দেয় না বিদায় তার কিছু সম্পত্তি ছোট ছেলে নয়ন সরকারকে লিখে দেন। এনিয়ে গত শুত্রুবার সন্ধ্যায় সালিশ বৈঠক বসে।
এক পর্যায়ে সম্পত্তি রেজিষ্ট্রি করে দেওয়ার বিষয়ে নয়নকে দায়ী করে সালিশের মোড়লরা নয়নকে বেধড়ক পেটানো শুরু করে। ছেলেকে নির্মমভাবে পেটানো দেখে বাবা নিবাশ সরকার অসুস্থ হয়ে পড়েন। দ্রুত গ্রাম্য ডাক্তার ডেকে এনে তাকে দেখানো হয়। গ্রাম্য ডাক্তার তাকে কচুয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যেতে বললে তাৎক্ষনিক ভাবে তাকে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে।
এ বিষয়ে স্থানীয় মেম্বার মানিক মিয়া জানান, কিছু সম্পত্তি দুই সন্তানকে না দিয়ে এক ছেলে নয়নকে লিখে দেয়। এ বিষয়ে শুত্রুবার সালিশ বৈঠক বসে। সালিশ বৈঠকে মুরুব্বীদের সাথে খারাপ আচারন করায় নয়নকে মারধর করা হয়েছিল। তবে মারধর বেধড়ক ছিলনা। সালিশ বৈঠকে বৃদ্ধ নিবাশ সরকার হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন।
কচুয়া থানার অফিসার ইনর্চাজ মোঃ মহিউদ্দিন জানান, প্রাথমিক ভাবে জেনেছি ছোট ছেলেকে জায়গা সম্পত্তি দিয়েছে এনিয়ে সালিশ বৈঠকে হট্টগোল হয়। বৈঠকে নিবাশ হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে। ঘটনার স্থলে রাতেই পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্বার করে থানায় নিয়ে আসে। কচুয়া থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করে লাশ ময়না তদন্তের জন্য চাঁদপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে নিবাশ সরকার মারা যাওয়ায় তার স্ত্রী হাস্য রানী সরকার শোকে ভেঙ্গে পড়ে । তার আহাজারিতে আকাশ বাতাস ভারি হয়ে উঠে। কিন্তু ছোট ছেলে নয়ন ছাড়া বড় দুই ছেলের কেহউ সান্তানা দিতে মায়ের কাছে ছুটে য়ায়নি। বড় দুই ছেলের এ আচারনে এলাকাবাসী হতবাক।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply