সাহিদা পারভীন, কালুখালী (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি : রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার বোয়ালিয়া ইউপি সহকারী ভ‚মি কর্মকর্তা একজনের বসতবাড়ীর ঘরকে অন্যের রান্না ঘর হিসেবে চালিয়ে দিয়ে অসম্ভব কেরামতি দেখিেেয়ছেন। শুধু তাই নই ৫৬ বছরের দখলীয় ও রেকর্ডকৃত জমির অবৈধ্য
দখলদার হিসেবে অখ্যা দিয়েছেন জমির মালিককে।
রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের পাইকারা মৌজায় । সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, কালুখালীর বোয়ালিয়া ইউপির পাইকারা গ্রামের মৃত ইয়াদ আলীর পুত্র আলাউদ্দিন খান দীর্ঘ ৫৬ বছর ধরে পাইকারা মৌজার বিএস ৭৩২ নং দাগে বসতবাড়ী তৈরি করে বসবাস করছে।
প্রতিবেশি ওসমান একই দাগের একাংশ তার স্বত্ত দাবী করায় এ নিয়ে একাধিকবার গ্রাম্য শালিস অনুষ্ঠিত হয়। শালিসে ওসমানের বাড়ীতেও আলাউদ্দিন খানের স্বত্ত লক্ষনীয় হয়। পরে শালিসদারগন এলাকার শান্তি ও শৃখলার লক্ষে
উভয় পক্ষের জমি ভাগ করে দখল বুঝে দেয়। সে থেকে শান্তিতেই চলছিলো উভয়ের বসবাস।
এরই মাঝে পুনরায় বেকে বসে ওসমান। সে রাতের আঁধারে আবারও দখল নেওয়ার চেষ্টা করে আলাউদ্দিনের বসতবাড়ীর ৭৩২ দাগ। ৫৬ বছরের সমঝোতার সম্পতী ভেঙ্গে গড়তে চায় বাড়ীর মাঝে বাড়ী। এ অবস্থায় আলাউদ্দিন আদালতে মামলা
দায়ের করে। মামলা নং মিস পি ৪৩৪/২০২০। ধারা ১৪৪/১৪৫ ফো:কা:বিধি। ফলে আপাতত থেমে থাকে সেই দখল প্রক্রিয়া।
আদালত ওই অভিযোগের তদন্তের জন্য কালুখালী উপজেলার বোয়ালিয়া ইউপি সহকারী ভ‚মি কর্মকর্তা মো: আনোয়ার উদ্দিন খানের উপর দায়িত্ব দেন।তদন্তেও দিন নির্ধারন হয়। শান্তির জন্য প্রতিবেশিরাও চায় সুষ্ঠু তদন্ত। তাই তদন্তের সহযোগীতার জন্য প্রতিবেশি সহ শালিসদারগন উপস্থিত হন। কিন্তু কারো কোন কথা শোনের না বোয়ালিয়া ইউপি সহকারী ভূমি কর্মকর্তা ও তদন্তকারী মো: আনোয়ার উদ্দিন খান। তিনি নিজ খেয়াল খুশিমতই দাখিল করেন তদন্ত প্রতিবেদন। ৭৩২ নং দাগের উত্তরপূর্ব কোনে আলাউদ্দিনের বসতবাড়ী থাকলেও তদন্ত কর্মকর্তা লিখেছেন এটি ওসমানের
পাটকাঠি নির্মিত রান্না ঘর। এছাড়া ওসমান মন্ডল জমিটি জোরপূর্বক দখল করে ঘর উত্তোলনের চেষ্টার নমুনা রাখলেও তদন্তে তা উল্লেখ করেনি তদন্তকারী। এসব দেখে হতাশ আলাউদ্দিন। তিনি সুষ্ঠু তদন্ত দাবী করেন। (ছবির ক্যাপশন। রাস্তার সামনের আলাউদ্দিন এর বসত ঘরটি তদন্তে লিখেছে ওসমানের রান্নাঘর।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply