নিজস্ব প্রতিবেদকঃ নারায়ণগঞ্জের জেলা ভূমি অফিসে টাকা ছাড়া ফাইল নড়েনা ! অনুসন্ধানে জানা যায়, ভূমি মালিকরা নামজারী করতে গেলে সরকার নির্ধারিত ফি ছাড়াও বাড়তি ঘুষ না দিলে কাজ হয়না বলে ভুক্তভোগী জমির মালিকগণ অভিযোগ করেন। ভূমি অফিসগুলোতে ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড ঝুলানো রয়েছে, যেন কেউ কোনো ঘুষ বা বাড়তি টাকা লেনদেন না করেন। কিন্তু সরেজমিনে তদন্তে জানাজায় যে, ভূমি কর্মকর্তা থেকে শুরুকরে পিওন পর্যন্ত ঘুষ বাণিজ্যের দালালির সঙ্গে সম্পৃক্ত। জানা যায়, নামজারীর সকল ফাইলের পেছনে বিশেষ চিহ্ন দিয়ে বুঝানো হয় কোন ফাইল কোন অফিসের, এবং এর হিসাব রাখার জন্য এসিল্যান্ড অফিসে খাতা রাখা হয়। প্রতি ফাইলের জন্য জেলার সকল ভূমি অফিসগুলোর পিওন থেকে কর্মকর্তা পর্যন্ত সকলেই এই ঘুষের হিস্যা পায়। তদন্তে বেরিয়ে আসে একটি নামজারীর জন্য ১১৫০/- এগারোশত পঞ্চাশ টাকা সরকারি নির্ধারিত ফি এর পড়িবর্তে জমির মালিকদের গুনতে হয় পাঁচ হাজার টাকা থেকে শুরুকরে ত্রিশ হাজার টাকা পর্যন্ত। তদন্তে আরো একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসে। নারায়ণগঞ্জ সিও অফিসের প্রধান প্রকৌশলীর প্রধানফটকে ৪৫০ তালুকদারের মীর ময়ালের সম্পত্তির বিবরণের একটি সাইনবোর্ড ছিলো। কিন্তু বর্তমানে সেই সাইনবোর্ডটি এখন আর যথাস্থানে নেই ! এ বিষয়ে জানতে গেলে বেরিয়ে আসে যে, নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের এমপি শামীম ওসমানের ইশারায় নির্বাহী প্রকৌশলীকে জিম্মি করে উক্ত সাইনবোর্ডটি নামিয়ে ফেলা হয়। আর এই কারণে বর্তমানে পুরো নারায়ণগঞ্জ জেলা জুড়ে জমিজমা নিয়ে উশৃঙ্খলা বিশৃঙ্খলা বিরাজ করছে। আর এই সুযোগে জেলার সকল ভূমি অফিসগুলোতে চলছে অপরাধ ও অনিয়মের ব্যাপক বাণিজ্য। পরিণামে জেলার সকল ভূমি অফিসের কর্মকর্তা থেকে শুরু করে পিওন পর্যন্ত জড়িয়ে পড়েছে ঘুষ বাণিজ্যে। এহেন অনিয়ম অরাজকতার পরিস্থিতি থেকে জেলার ভুক্তভুগী সাধারণ জমির মালিকরা পরিত্রান চান। ভুক্তভুগীদের ভাষ্য নারায়ণগঞ্জ জেলায় প্রভাবশালী ও ভূমি দস্যুদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চলমান শুদ্ধি অভিযের মাধ্যমে প্রতিহত করে আমাদের রক্ষা করুন। এবং ভূমি অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীদের লাগামহীন দুর্নী বন্ধ করুন।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply