মোঃ শাহিন আলম পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি।
পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার চর-গরবদী ফেরীঘাট সংলগ্ন বসতবাড়ি করার সময় ওই বসতবাড়ির লোকজনের চলাচলে রাস্তার জন্য জমি সাব-কবলা দেয়ার কথা বলে গ্রহিতার কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে দাতা স্টাম্পের মাধ্যমে লিখিত দিয়ে উধাও হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।গ্রহিতা চলাচলের জন্য রাস্তা করার প্রস্তুতি নিলেও দাতার ওয়ারিসগণ কবরস্থানের কথা বলে যাওয়া-আসার পথবন্ধ করে দেয়াল নির্মাণ করে নিয়েছে,এতে অবরুদ্ধ হয়ে পরেছে বসতবাড়ির লোকজন। চরম দূর্ভোগ ভোগান্তির পরে কোন রকম চলাচলের রাস্তা করলে চরম হয়রানির ও আক্রমণের শিকার হচ্ছে ওই নিরিহ পরিবারটি।
হয়রানির শিকার পরিবারটি জানান, চর-গরবদী ফেরীঘাট সংলগ্ন মাদ্রাসা ও মসজিদের পশ্চিম দক্ষিণ পাশে মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন হাওলাদারের কাছ থেকে স্থানীয় মাপের ১০ শতাংশ জমি ক্রয় করে আমার মেয়ে ও জামাইয়ের জন্য একটি বাড়ি করার সিদ্ধান্ত নেই।
বাড়ির করার আগে রাস্তার প্রয়োজন তাই রুস্তম হাওলাদার ও তার বড় ভাই আব্দুল হক হাওলাদারের সাথে পরামর্শ করি।পরামর্শ করলে তারা উভয় ভাই আমাকে রাস্তার জন্য জমি দিবে বলে তাদের কথামতো বাড়ির কাজ শুরু করি।
ওই সময় তাদের ওই জমির পূর্ব মাথায় বিশাল গর্ত ডোবা ছিল। তা তাদের কথামতো বালু দিয়ে ভরাট করি। গত ১৫|০৫|২০১৯ ইং তারিখে ওই রুস্তুম অসুস্থ হয়ে পড়ায় চিকিৎসার জন্য আমার কাছে টাকা চাইলে আমি সরল মনে স্টাম্পের মাধ্যমে বায়না চুক্তি করে মোট ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা দেই।
এরপর আমি দলিল করে দেয়ার কথা বললে হঠাৎ রুস্তুম আত্মগোপন করে। এদিকে আমার বাড়ির কাজ শেষ পর্যায় এমন সময় রুস্তমের বড় ভাইয়ের ছেলে দুলাল পাকা ওয়াল করে আমার বাড়ি অবরুদ্ধভাবে বন্ধ করে দিলে স্থানীয় লোকজনকে এবিষয় অবগতপূর্বক থানায় জানালে থানা পুলিশ ওই পক্ষকে ও স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বারসহ গন্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে নিয়ে ঘটনাস্থলে এসে আমার রাস্তা বের করে দিয়ে চলে যায় কিন্তু পরেরদিন ২য় পক্ষ মহিলাদেরকে সাথে নিয়ে এসে ওই রাস্তা বন্ধ করে দেয়।যদিও থানা পুলিশ ও স্থানীয়দের দেখানো মতে আমার বাড়ি বরাবর সমান সামনে দিয়ে মোটামুটি চলাচলের জন্য কোনও রকম রাস্তা করেছি।এনিয়ে ওই দাতা রুস্তম আলী হাওলাদার তার ভাই ও ছেলেদের নিয়ে আমার ব্যাপারে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি সহ কুৎসা রটাচ্ছে। আমি আমার পরিবারকে নিয়ে যাতে বায়না চুক্তি মতে জমির সাব-কবলা রেজিষ্ট্রি দলিল পাই এবং হয়রানি থেকে মুক্তি পাই সেজন্য প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা করছি।
(১২ মার্চ-২০২১) সরেজমিনে আসলে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়।এব্যাপারে অভিযুক্ত রুস্তুম আলী হাওলাদারের কাছে জানার জন্য তার মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও ফোন রিসিভ করেমনি।
এবিষয়ে হানিফ হাওলাদারের অভিযোগ আমলে নিয়ে দুপক্ষের সমন্বয়ে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে রাস্তা করার জন্য দেখিয়ে দিয়ে যাওয়া দুমকির থানার এসআই জাফর জানান, দুপক্ষকে নিয়ে এটাতো আমিই বের করে দিয়ে আসলাম। এটা নিয়ে সাংবাদিকেরা লেখালেখিতে বিভিন্ন হয়রানি হচ্ছে। তবেঁ ভুক্তভোগীরা এই বিষয়টার একটা সুষ্ঠু সমাধান দবী করছে।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply