রাকিব হোসেন শরীয়তপুরে জেলা প্রতিনিধি।
শরীয়তপুর পৌরসভায় আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক ও শরীয়তপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সাবেক পিপি এডভোকেট হবিবুর রহমান ও তার ছোট ভাই মনীর হোসেন মুন্সী হত্যা মামলার রায়ের প্রতিবাদে পুরোদমে হরতাল পালিত হচ্ছে । শরীয়তপুর পৌরসভার সকলেই মিলে এই হরতালের ডাক দেয় বলে জানা যায়। আজ ২২ মার্চ রোজ সোমবার ভোর ৬টা থেকে শুরু করে দুপুর ১২টা পর্যন্ত পুরোদমে হরতাল পালিত হয়েছে । হরতাল চলাকালীন সময় পৌরসভার সকল বাজারের খাদ্য ও ঔষধের দোকান বাদে সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ অবস্থায় রয়েছে। রাস্তায় বিভিন্ন কিছুর উপর আগুন জ্বালিয়ে ও চেয়ার-টেবিল রেখে সর্বপ্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। একই সাথে পথচারীরা পায়ে হেটে তাদের নিদ্রিষ্ট গন্তব্যে স্থানে যাচ্ছে।
এই বিষয়ে নিহত এডভোকেট হাবিবুর রহমান এর পূত্র শরীয়তপুর পৌরসভার মেয়র এডভোকেট পারভেজ রহমান জন বলেন, আমার পিতা ও চাচাকে দিনের আলোতে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়েছে। প্রকৃত খুনীদের আড়াল করে ২০ বছর পরে এই হত্যা মামলার রায় প্রকাশ করেছে আদালত। আমরা আদালতের এই রায় মানি না। আমার পিতা ও চাচাকে যারা ভালোবসতো তারাই আজ আদালতের এই রায়ের প্রতিবাদে হরতাল ডেকেছে। দুপুর ১২টা পর্যন্ত হরতাল পালন করা হবে। পরবর্তী কর্মসূচি জানিয়ে দেয়া হবে।
উল্লেখ্য, ৫৩ জন আসামীর মধ্যে ১৩ জনের বিরুদ্ধে শরীয়তপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. শওকত হোসাইন রায় ঘোষণা করেছেন। মৃত্যু দন্ডপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন শাহিন কোতোয়াল, শহিদ কোতোয়াল, শফিক কোতোয়াল, শহিদ তালুকদার, সোলেমান সরদার ও মজিবর রহমান তালুকদার (ল্যাংড়া)। যাবজ্জীবন সাজা প্রাপ্ত আসামী সারোয়ার হোসেন বাবুল তালুকদার, ডাবলু তালুকদার, বাবুল খান ও টোকাই রশিদ। ও ২বছর সাজাপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন, মন্টু তালুকদার, মজনু তালুকদার ও আসলাম সরদার ।
২০০১ সালের ৫ অক্টোবর বিকালে নিজ বাড়িতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে এডভোকেট হাবিবুর রহমান ও মনির হোসেন মুন্সী নিহত হয়। সেই ঘটনায় ৫৩ জনকে আসামী করে ৬ অক্টোবর পালং মডেল থানায় মামলা করেন নিহত হাবিুর রহমানের স্ত্রী জিন্নাত রহমান। এই মামলায় ২০০৩ সালের ২৩ মার্চ অভিযোগ পত্র দাখিল করে পুলিশ। অভিযোগ পত্রের বিরুদ্ধে বাদী পক্ষের নারাজী আবেদন থাকায় আদালত পুনরায় তদন্তের আদেশ প্রদান করে।
পরবর্তীতে ৩০১৩ সালের ৩ অক্টোবর সম্পূরক অভিযোপত্র আদালতে দাখিল করা করা হয়। মামলার বিচার কার্য শুরু হলে বাদী পক্ষে ২৯ জন সাক্ষ্য প্রদান করে। আসামী পক্ষে সাফাই সাক্ষি প্রদান করেছেন ২৫ জন। আদালতের চাহিদা মতে ডি ডাব্লিউ মূলে আরও দুই জনের সাক্ষ্য গ্রহন করা হয়। দীর্ঘ ২০ বছর পরে ২১ মার্চ মামলার রায় ঘোষণা করেছে আদালতের বিচারক। এবং অপর দিকে
ইতোমধ্যে এই উক্ত মামলার দুইজন আসামি মৃত্যু বরণ করেছে। অপর ৩৮ জন আসামী নির্দোষ প্রমান্তি হয়ে বেকসুর খালাস লাভ করেছে।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply