বাঘাইছড়ি রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি:
রাঙামাটি জেলার সর্ববৃহৎ বাঘাইছড়ি উপজেলার সদর থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে খেদারমারা ইউনিয়নে অন্যতম ব্যণিজ্যকেন্দ্র দুরছড়ি বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়েছে ৯ টিসহ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ২০ টি দোকান, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় দেড় কোটি টাকা।
সোমবার আনুমানিক রাত ৯:০০ ঘটিকায় একটি কামারের দোকান থেকে এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়, পরে মুহুর্তের মধ্যেই আগুন চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে,খবর পেয়ে ব্যবসায়ী, এলাকাবাসী, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ প্রানান্ত চেষ্টার এক ঘন্টারও অধিক সময়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত স্থান পরিদর্শনে যান, বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সাগরিকা চাকমা এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের বাঘাইছড়ি উপজেলা শাখা’র নেতৃবৃন্দ। সরজমিনে দেখা যায়, সরকারি টেলিটক টাওয়ারের প্রায় ত্রিশ লক্ষাধিক টাকার একটি জেনারেটর পুড়ে একেবারে অকাজো হয়ে গেছে।
দুরছড়ি বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি মদন মল্লিকের দাবি, অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানের মধ্য মুদি দোকান,কাপড়ের দোকান, কামারের দোকান, কীটনাশক ও ঔষধের ফার্মেসীর মতো গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছিল, প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হয়েছে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান প্রায় দেড় কোটি টাকা।
বাজার পরিচালনা কমিটির সম্পাদক আলী আজম সুমন বলেন, এতো বৃহৎ উপজেলাতে ফায়ারসার্ভিস না থাকা দুঃখজনক, তাই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে অনেকটা বিলম্ব হয়েছে।
খেদারমারা ইউনিয়নের ৪ নং ইউপি সদস্য মনির হোসেন জানান, দুরছড়ির সড়ক পথে একমাত্র যোগাযোগ ব্যবস্তার বাজারের পাশের ব্রীজ’টি গাড়ী চলাচলের অনোউপযোগী, তাই ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি দিঘিনালা থেকে আসলেও বাজারে ঢুকতে পারেনা, তাই আমাদের দাবি একমাত্র ব্রীজ’টি যেন নতুন করে বড় আকারে বানানো হয়।
উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুম বলেন, বিষয়টি খুবই দুঃখ জনক, পরিদর্শন করে ধারণা করছি দেড় কোটি টাকার মতো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সরকারি ভাবে সহযোগিতা জন্য আলোচনা করছি।
উল্লেখ্যঃ- ২০১৬ সনের ২০ অক্টোবর একই বাজারের দোকান ও বসতবাড়ি সহ প্রায় তিন শতাধিক ঘর পুড়ে গিয়েছিল।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply