নিজস্ব প্রতিনিধিঃ আনোয়ার হোসেন। যশোর থেকে
যশোরের শার্শা উপজেলা বাপি করোনা সংক্রমণের হার না কমায় আরো সাত দিনের জন্য কঠোর লকডাউন দেয়ার ঘোষনা করেছে করোনা প্রতিরোধ কমিটি। সভাটি অনুষ্ঠিত হয় গতকাল মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায়।
আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ২৩ জূন থেকে শার্শা উপজেলা সহ-বেনাপোল ১৬টি স্পটে পুলিশি চেকপোষ্ট বসানো হবে। এ থানার মানুষ অন্য থানায় বা এক ইউনিয়নের মানুষ অন্য ইউনিয়নে যেতে পারবে না। কোন প্রকার যাত্রি পরিবহনসহ রিকশা ভ্যান পর্যন্ত সড়কে চলতে পারবে না। মানুষের চলাচলে কঠোর বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। প্রয়োজনে শাস্তিসহ জেল-জরিমানা করা হবে।
এ সময় করোনা প্রতিরোধ কমিটির আহবায়ক উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক মঞ্জু বলেন, নিজে বাঁচতে ও প্রতিবেশিদের বাঁচাতে আপনার ভূমিকা রাখতে হবে। যদি সামনে কোরবানির ঈদ করতে চান তবে সরকারের বিধিনিষেধ মেনে ঘরে অবস্থান করুন। যদি এর ব্যত্যয় ঘটে তবে প্রয়োজনে কঠোরতা শার্শাবাসি দেখবেন। প্রয়োজন হলে শার্শায় কার্ফু জারি করে মানুষ বাচাঁতে আরো কঠোর হবো। তবুও শার্শার একটি মানুষকে করোনায় মরতে দিতে চায়না।
এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর আলিফ রেজা, নাভারন ক সার্কেলের এএসপি জুয়েল ইমরান, যশোর জেলা পরিষদের সদস্য অধ্যক্ষ ইব্রাহিম খলিল, সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাসরা শারমিন মিথি, শার্শা থানা ইনচার্য বদরুল আলম খান, বেনাপোল পোর্ট থানা ইনচার্য মামুন খান, ইউপি চেয়ারম্যান সোহারাব হোসেন, আবুল কালাম আজাদ, মিজানুর রহমান, আনোয়ারা খাতুন, হাসান ফিরোজ আহমেদ টিঙ্কু, হাজি ইলিয়াছ কবির বকুল, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ ইউসুফ আলী।
একই সাথে সিএনজি, রিক্সা, ভ্যান, অটো রিক্সা- ভ্যান, মোটরসাইকেল, থ্রি হুইলারসহ সকল যান চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে, রোগী ও জরুরী পরিবহন সেবা চালু থাকবে। মসজিদে প্রতি নামাজের ওয়াক্তে ইমাম, মোয়াজ্জিন ও খাদেমসহ ৫জন ও জুম্মার নামাজে ২০ জন মুসল্লীর বেশি অংশ নিতে পারবেন না। এছাড়া মাস্ক পরিধান ও বাইরে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞাসহ অন্যান্য সকল নির্দেশনা বলবত থাকবে। ২২ জুন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তমিজুল ইসলাম খান স্বাক্ষরিত এক গণ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর আলিফ রেজা।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply