নিজস্ব প্রতিনিধিঃ আনোয়ার হোসেন। যশোর থেকে
বেনাপোল স্থলবন্দর থেকে মিথ্যা ঘোষণায় আমদানি করা ২৬ কেজি ভায়াগ্রার একটি চালান আটক করেছে কাস্টমস সদস্যরা। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কারও বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
বেনাপোল কাস্টমস হাউজের অতিরিক্ত কমিশনার ড. নেয়ামুল ইসলাম জানান, কাস্টমস হাউজে প্রাথমিক পরীক্ষায় ভায়াগ্রা সনাক্ত হয়েছে। আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জানা যায়, এক ধরনের দুর্নীতিবাজ চোরাচালান ব্যবসায়ী সেজে দীর্ঘদিন ধরে বেনাপোল স্হস বন্দর দিয়ে বৈধ পথে মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে ভায়াগ্রারা পাচার করে আসছে। এর আগে ২০১৯ সালে বেনাপোল স্হল বন্দরে সাড়ে ১২ কোটি টাকা মূল্যের আড়াই মেট্রিক টন ভায়াগ্রা আটক হয় কাস্টমস। তবে আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা দুর্বল হওয়ায় বৈধ পথে থামেনি ভায়াগ্রা আমদানি।
গত কাল বুধবার (২৩ জুন) দুপুরে বেনাপোল স্হলবন্দরের সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদার ভায়াগ্রারা চালান আটকের তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, কাস্টমস এ সংক্রান্ত একটি চিঠি তাদের দিয়ে পণ্য চালানটি নিজেদের জিম্মায় নিয়েছেন। পরবর্তী ব্যবস্থা তারা গ্রহণ করবেন।
এর আগে গত ২০ জুন বিকালে বেনাপোল বন্দরের ৪২ নম্বর পণ্যগার থেকে ভায়াগ্রা চালানটি জব্দ করে কাস্টমস সদস্যরা। কাস্টমসের ল্যাবে পরীক্ষা শেষে প্রাথমিক পরীক্ষায় ভায়াগ্রা নিশ্চিত হয় কাস্টমস সদস্যরা।
মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে ভায়াগ্রা আমদানি করেন যশোরের মামনি এন্টারপ্রাইজ। পণ্যটি বন্দর থেকে ছাড় করানোর চেষ্টা করছিলেন বেনাপোলের সি এন্ড এফ এজেন্ট আমিন ইমপোর্টস এন্ড এক্সপোর্টস।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের উপ-কমিশনার অনুপম চাকমা জানান, গত ৩১ মে আমদানিকারক মটরপার্টস এন্ড আদার্স ঘোষণায় ভারত থেকে ৩০১ প্যাকেজ পণ্য আমদানি করে বেনাপোল স্হল বন্দরে ৪২ নম্বর পণ্যগারে রাখেন। পরবর্তীতে পরীক্ষায় দেখা যায়, ৩০১ প্যাকেজের মধ্যে ১১৪ নম্বর প্যাকেজে পাউডার জাতীয় পণ্য ২৬ কেজি রয়েছে। পরে সেটি কাস্টমস হাউজের রাসায়নিক পরীক্ষাগারে নমুনা পরীক্ষা করে ভায়াগ্রারা শনাক্ত হয়। আমদানিকৃত পণ্যটি যেহেতু আমদানি নিষিদ্ধ সেহেতু জনস্বার্থে নিরাপত্তার জন্য ৪২ নম্বর পণ্যগার থেকে বন্দরের অনুমতি নিয়ে কাস্টমসের হেফাজতে রাখা হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান কাস্টমসের এই কর্মকর্তা।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply