নিজস্ব প্রতিনিধিঃ যশোর থেকে।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনিস্টিটিউট এর আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রটি এখন অনিয়মের আখড়ায় পরিনত হয়েছে। ২৭ হেক্টর জমির সুবিশাল এরিয়া নিয়ে যশোর সদর উপজেলার খয়েরতলা এলাকায় আঞ্চলিক গবেষণা কেন্দ্রটি অবস্থিত।
যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলায় জন্মস্থান হওয়ার সুবাধে এলাকার দাপট ও সরকারদলীয় মন্ত্রী আমলাদের সাথে সখ্যতা থাকায় আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রটি একেবারে জিম্মি করে ফেলেছেন। সরেজমিনে ব্যাপক খোঁজ-খবর নিলে দেখা যায় কেন্দ্রটির একের পর এক মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ( সি এস ও) ছয় মাস ও বছরশেষে বদলী হলেও ইসাকুল ইসলাম যোগদানের পর হতে টানা ১৫ বছরের ও অধীক সময় রয়ে গেছেন যশোর অফিসেই।
স্থানীয় ও রাজনৈতিক ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের ভয়-ভিতী প্রদান বা অধীনস্ত কর্মকর্তা, কর্মচারীদের মারধর, গালমন্দ, হুমকি-ধামকী সহ খারাপ আচরন তার নিত্ত দিনের কাজ। যশোরে চাকুরীরত অবস্থায় ২০১৩ সালে কেন্দ্রটির প্রাক্তন মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোঃ আবিদ হোসেন কে ফিল্ম স্টাইলে চেয়ার থেকে লাথি মেরে ফেলে দেন ঐ বিতর্কিত কর্মকর্তা ইসাকুল ইসলাম। এ ঘটনায় যোদানের ৩ মাসের মাথায় আবিদ হাসান বদলী নিয়ে অন্যত্র চলে যান। নানা অভিযোগে ইসাকুল ইসলাম একবার সাতক্ষীরা জেলায় বদলী হলেও উপরের খুঁটির জোরে ৬মাসের মধ্যেই আবার যশোরেই ফিরে আসেন। জের হিসাবে অফিস পরিচালনায় অফিস প্রধান কে বাধাগ্রস্থ করাসহ কেন্দ্রটিতে এাসের রাজত্ব কায়েম করেন তিনি। নিজ স্ত্রী লাইলা খাতুনের নামে বীজের লাইসেন্স করেছেন ঐ বিতর্কিত কর্মকর্তা বলে জানাগেছে।
শুধুমাত্র গবেষণা কাজে ফার্মের জমি ব্যাবহারের কথা থাকলেও নিয়ম ভেঙ্গে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যাতীত আনুমানিক ৪০ বিঘা সরকারি জমিতে ব্যাক্তিগত উদ্দ্যেগে করা হচ্ছে ধান চাষ। আর এর নেপথ্যে রয়েছেন প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোঃ ইসাকুল ইসলাম।
অনিয়ম করে কো অপারেটিভ সোসাইটির নামে গবেষণা কেন্দ্রের জমিতে কথিত ধান চাষ ও নিয়মিত অফিস না করেও সরকারী সুবিধা নিয়ে ব্যাক্তিগত ব্যবসা পরিচালনা করে তিনি কোটিপতি বনেছেন। গবেষনা কাজে ভূয়া-বিল ভাউচার বানিয়ে সরকারী টাকা তস্রুফ করছেন তিনি,সঠিক তদন্তে যাহার সত্যতা বেরিয়ে আসবে বলে জানা যায়।
তিনি নিজ এলাকায় ব্যাক্তিগত ভাবে বীজের গুদাম তৈরী করে চাকরীর সাথে ব্যবসাও পরিচলনা করছেন। সরকারী গাড়ি ও গবেষণা কেন্দ্রের যন্ত্রপাতি অবৈধ্য ভাবে ব্যাক্তিগত গুদামে ব্যাবহার করে থাকেন ঐ কর্মকর্তা। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় এই কর্মকর্তার অনিয়ম নিয়ে খবর প্রকাশ হলেও কোন অজানা শক্তিতে তার বিরুদ্ধে তদন্তসহ কার্যকরী ব্যাবস্থা নেওয়া হয়না আজও তা সবার অজানাই রয়েছে।
এ বিষয়ে যশোর আঞ্চলিক কেন্দ্রের অফিস প্রধানের সাথে যোগাযোগের চেষ্ঠা চালিয়ে সাক্ষাৎ না মেলায় বিবৃতী জানা সম্ভব হয়নী।
অভিযোগ বিষয়ে যশোর আঞ্চলিক অফিসের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ইসাকুল ইসলাম জানান,তার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ মিথ্যা। এখানে অনিয়ম দূর্নীতির কোন সুযোগ নেই কারন তার উপর আরো সিনিয়ার অফিসার আছে।
নিয়ম ভেঙ্গে সরকারী একটি গুরুত্বপুর্ন প্রতিষ্ঠানের জমিতে ব্যাক্তিগত উদ্যেগে ধান চাষ এবং তা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা না করার ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। অনতিবিলম্বে আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র,যশোর অফিসের নানা অনিয়মের তদন্তপূর্বক যথাযথ ব্যাবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন এলাকার সচেতন মহল।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply