মোঃ শাহিন আলম, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীতে গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় জেলা মাদক নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর কতৃক মাদক উদ্বার অভিযান কালে মাকসুদুল্লাহ মাকসুদ (৫২)নামের এক যুবকের রহস্য জনক মৃত্যু হয়েছে।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদক নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের এ.এস.আই জসিম উদ্দিন কনস্টবল তারেখ শাহারিয়ার, ওয়ারলেস অপারেটর মামুন পটুয়াখালী পৌরসভার ০৬ নং ওয়ার্ডের চরপারাস্থ স্ব-নির্ভর রোডে মৃত্যু মাকসুদ ইয়াবা বিক্রি করছে জানতে পারে এবং মাদক উদ্বার করার লক্ষে তারা অভিযান পরিচালনা করে এবং মাকসুদকে গ্রেফতার করে। প্রত্যক্ষদসি এবং স্থানীয়রা জানায়, তারা মাকসুদ তল্লাশী করে কোন মাদক না পেলেও বাক-বিতন্ডতার এক পর্যায়ে মাকসুদকে
মারধর করে এবং ঘটনা স্থলেই তার মৃত্যু হয়। মাদক নিয়ন্ত্রন এর এ.এস.আই
জসিম উদ্দিন বলেন অভিযান কালে তার কাছে কোন মাদক পাওয়া যায়নি। তবে
বাক-বিতন্ডতার এক পর্যায়ে সে অসুস্থ হয়ে পরলে স্থানীয়দের সহযোগিতায়
পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
হাসপাতালের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত ডাক্তার নুরুনাহার স্মৃতি সাংবাদিকদের বলেন সন্ধ্যা ০৭ টা ১০ মিনিটের সময় নিয়ে আসা হয় কিন্ত তার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। মাকসুদের মৃত্যু সম্র্পকে জানতে চাইলে মাকসুদের স্ত্রী খাদিজা বেগম এবং ছোট ভাই আহম্মদ উল্লাহ এবং তার স্ত্রী রিনা আক্তার সাংবাদিকদের বলেন, আমরা ঘটনা স্থানে গেলে স্থানীয়রা আমাদের জানায় মাদক নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের লোকজন মাকসুদকে শারীরিক ভাবে নিযার্তন করলে ঘটনা স্থানে তার মৃত্যু হয়। আমার এর সুষ্ঠু তদান্ত এবং বিচার চাই।
জেলা মাদক নিয়ন্ত্রর অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের
বলেন, ময়না তদন্তরের রিপোর্ট না পেলে আসল সত্য জানা জাবে না। মৃত্যুর ঘটনায় অভিযান পরিচালনাকারীরা দোষী সাবস্ত হলে বিভাগীয় এবং আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা আক্তার মোর্শেদ এবং তদন্ত অফিসার হুমায়ন কবির
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। স্থানীয়রা বলেছেন তাকে শারীরিক ভাবে নির্যাতন
করা হয়েছে নির্যাতনের কারনে তার মৃত্যু হয়েছে কিনা তা ময়না তদন্তরের
রিপোর্ট ছাড়া বলা যাবে না। রিপোর্ট পেলে দোষী সাবস্তদের বিরুদ্ধে
আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত লাশ ময়না তদন্তরের
জন্য পটুয়াখালী মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply