স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্যরে নির্দেশে জেলা প্রশাসন এই উদ্যোগে, যশোর অবশেষে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে ফিরছে সৌন্দর্য।
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ আনোয়ার হোসেন যশোর থেকে।
যশোর অবশেষে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে ফিরছে সৌন্দর্য। স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্যর এর নির্দেশে জেলা প্রশাসন এই উদ্যোগ নিয়েছে। আজ শনিবার সকাল ১০টার মধ্যে ম্যুরালের আশপাশে থাকা সকল ব্যানার, প্যানা ও ফেস্টুন উচ্ছেদ করা হবে। সরিয়ে ফেলা হবে দুইপাশের দুটি তোরণও।গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল পরিদর্শনকালে প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য এ নির্দেশনা দেন যশোর জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খানকে। ওইসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পৌর মেয়র হায়দার গণি খান পলাশ, স্থানীয় সরকার বিভাগ যশোরের উপপরিচালক হুসাইন শওকত, ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ক সার্কেল বেলাল হুসাইন প্রমুখ। মন্ত্রীর উপস্থিতিতে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু প্যানা ও ফেস্টুন নামিয়ে ফেলা হয়।
শোকের মাস আগস্টকে ঘিরে যশোর প্যানা টাঙানো শুরু করণে কিছু নেতারা। কিন্তু শহরের বকুলতলায় অবস্থিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালকে ঘিরে প্যানা ফেস্টুন এমনভাবে টাঙানো হয় যাতে ঢেকে যায় জাতির জনকের প্রতিকৃতি।
সৌন্দর্যহানি ঘটে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালের। যাকে শ্রদ্ধা জানানোর জন্যে এই ম্যুরাল সেই হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আড়ালে চলে যান নেতাকর্মীদের অসুস্থ প্রতিযোগিতায়। একেবারে অচেনা থেকে শুরু করে জেলা পর্যায়ের শীর্ষ নেতাদের বিশাল বিশাল প্যানা ব্যানার কর্মীরা ঝুলিয়ে দেয় । বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালের সামনে পেছনে। যা দৃষ্টিকটু হয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ মুজিবভক্তদের। শুরু হয় সমালোচনা। বিষয়টি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত সংবাদ এ। ইতিবাচকভাবে নেয় মুজিবভক্তরা। তারা দাবি তোলেন প্যানা ফেস্টুন ব্যানার অপসারণের। বিষয়টি গুরুত্বের সাথে পর্যবেক্ষণে দেখেন।
বিষয়টি স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্যরে দৃষ্টিতেও যায়। তিনি গতকালই বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালের সৌন্দর্য ফেরানোর সিদ্ধান্ত নেন। সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসক সহ প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তাদের নিয়ে ম্যুরালে যান তিনি। সেখানে দাঁড়িয়ে থেকে বেশকিছু প্যানা ফেস্টুন ব্যানার নামিয়ে দেন। জেলা প্রশাসক কে নির্দেশ দেন আজ শনিবার সকাল ১০ টার পর সব প্যানা ফেস্টুন ব্যানার অপসারণ করার। নির্দেশ দেন বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালের দুই পাশে নির্মিত সু উচ্চ দুটি তোরণ অপসারণেরও।
বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালের আশপাশের প্যানা ফেস্টুন ব্যানার সরিয়ে ফেলার খবরে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা ভিড় করেন সেখানে। অনেকেই জানার চেষ্টা করেন রাস্তার পাশে স্থাপিত প্যানা ফেস্টুন ব্যানার সরানো লাগবে কিনা। অনেক প্যানায় সাবেক এবং বর্তমান নেতাদের ছবি ছিল বঙ্গবন্ধুর ছবির চেয়ে বড় বড়। যা ছিল অবমাননাকর। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,‘প্যানা- ফেস্টুনে ব্যানার এ বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ঢেকে যাচ্ছিল। সে কারণে সেগুলো সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আজ শনিবার সকাল ১০ টার পর অপসারণ করা হচ্ছে ।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply