এম, সোহাইল চৌধরী, কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি : কক্সবাজারের বিভিন্ন উপজেলায় অসহায় ভূমিহীন-অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বসতঘর নির্মাণেকাজ আরম্ভ করছে বাংলাদেশ সরকার। ইতোপূর্বে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর দেশের বিভিন্ন উপজেলায় অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ঘরের নির্মাণকাজ শেষ করে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের কাছে হস্তান্তরও করেছে। পর্যায়ক্রমে ৬৪ উপজেলার প্রতিটি উপজেলায় লাল-সবুজের ‘ রঙ্গে রাঙ্গানো বীর নিবাসের’ কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের (এলজিইডি) সূত্র জানায়, সরকার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে ‘ভূমিহীন ও অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বাসন্থান নির্মাণ’ প্রকল্পের কাজ শুরু করে। এসব ঘরের নাম দেয়া হয় ‘বীর নিবাস’ তালিকাভূক্ত গরিব মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের কাছে লাল-সবুজ ঘরগুলো বুঝিয়ে দেয় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। এই ১০০টি ঘর নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ৯ কোটি ২৭ লাখ ৬১ হাজার ১১৭ টাকা।
এলজিইডি সূত্র আরও জানায়, প্রতিটি বাসস্থানে ২টি শয়ন কক্ষ, ১টি বসার কক্ষ, ১টি রান্নাঘর ও ১টি বারান্দা আছে, যা ৫০০ বর্গফুট। এছাড়া বাসগৃহের বাইরের দিকে রান্নাঘর সংলগ্ন ১টি পাকা উঠান, টিউবওয়েল, টয়লেট, লাইভস্টক-শেড এবং একটি পোলট্রি-শেড থাকছে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের এলজিইডি চট্টগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ শাহ আলমগীর বলেন, ভূমিহীন ও অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি এটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার। এর মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখা বীর সৈনিকদের মধ্যে যারা অবহেলিত ও মানবেতর জীবনযাপন করছিলেন তাদের সামাজিকভাবে পুনর্বাসিত করা হয়েছে। এতে তাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটেছে।
এদিকে ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ ইং তারিখে স্মারক নম্বর- ০৫.২০.২২০০.২২২৪.০৬.০২.৩৬.২০২১-৬৯৪
কক্সবাজার সদর উপজেলা অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের আবাসন ব্যবস্থা কমিটির সভায় সিদ্ধান্তের আলোকে তদন্ত প্রতিবেদন প্রেরণের জন্য
১, সহকারী কমিশনার (ভূমি), কক্সবাজার সদর,
২, উপজেলা শিক্ষা অফিসার, কক্সবাজার সদর, কক্সবাজার
৩, শাখা ব্যবস্থাপক, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক, কক্সবাজার সদর কক্সবাজার।
এর নিকট হতে পৃথক পৃথকভাবে প্রতিবেদন চাওয়ার সিদ্ধান্ত হয় এবং প্রতিবেদনে নিম্নোক্ত বিষয়সমূহ আবশ্যিকভাবে উল্লেখ করতে হবে বলে নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
১. আবেদনকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা /পরিবারের নাম
২. পিতার নাম
৩. আবেদনকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা ঠিকানা
৪. বীর মুক্তিযোদ্ধার সাথে আবেদনকারীর সম্পর্ক
৫. আবেদনকারী ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের পেশা
৬. আর্থিক স্বচ্ছলতার বিবরণ/ পরিবারের মাসিক আয়
৭. বর্তমান ঘরের ছবি।
৮. জমির পরিমাণ, দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ।
৯. আবেদনকারী ঘর পাওয়ার যোগ্য কিনা?
কক্সবাজার সদর উপজেলা অসহায় ও অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের আবাসন কমিটি ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২১িং তারিখে কার্যবিবরণী সিদ্ধান্তের আলোকে কক্সবাজার সদর উপজেলার আওতায় বীরনিভাসের জন্য ভ অসহায় -অস্বচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবার থেকে আবেদনকারী আপাতত ২৬ জনের নামের তালিকা মতে কার্যবিবরণী কপি সংযুক্ত অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের নিকট হতে প্রাপ্ত আবেদনের বিষয়ে সরোজমিনে তদন্ত প্রতিবেদন প্রেরণ করার জন্য দায়িত্ব প্রদান করে
০৯ সেপটেম্বর ২০২১ তারিখে কক্সবাজার সদর উপজেলা ইউএনও স্বাক্ষরিত চিঠিতে
স্মারক নাম্বর–০৫.২০.২২০০.২২২৪.০৬.০২.৩৬.২০২১–৬৭০
আবাসন প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কমিটি সহ নিম্নে উল্লেখিত বিভিন্ন দপ্তরে অবগতির জন্য অনুলিপি প্রেরণ করেন।
১.সহকারী কমিশনার (ভূমি) কক্সবাজার সদর, কক্সবাজার।
২.উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা, কক্সবাজার সদর, কক্সবাজার।
৩.উপজেলা প্রকৌশলী, কক্সবাজার সদর, কক্সবাজার
৪.উপজেলা শিক্ষা, কক্সবাজার সদর, কক্সবাজার
৫.শাখা ব্যবস্থাপক,পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক,কক্সবাজার সদর কক্সবাজার
৬.কমান্ডার, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, সদর উপজেলা কমান্ড, কক্সবাজার।
তদন্তকারী কমিটির কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন বিত্তবানরা বিভিন্ন ভুয়া তথ্য দিয়ে আবেদন করলেও প্রথম ধাপে বীর নিবাস পাওয়ার যোগ্য অসহায় অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা পরিবার।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply