দুসস ডেস্কঃ গত তিন বছর যাবত মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও এর সম্পদের আয় যাচ্ছে সর্বশেষ কেন্দ্রীয় কমিটির কতিপয় কর্তাব্যক্তিদের পকেটে । মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সর্বশেষ চেয়ারম্যান হেলাল মোর্শেদ খান ও তার সহযোগী এমদাদ হোসেন মতিন এর দিকে সন্দেহের তীর সাধারণ মুক্তিযোদ্ধাদের। ২০১৭ সনের ৩০ জুন ছিল মুক্তিযোদ্ধা সংসদের শেষ দিন । সাবেক মহাসচিব (প্রশাসন) এমদাদ হোসেন মতিন ২১ জুন ২০১৭ পাঁচ বছরের জন্য মুক্তিযোদ্ধা ক্রীড়া চক্রের (ওসমানী উদ্যান সংলগ্ন) দোকান ও ক্যাসিনোর স্থানগুলো প্রথম পক্ষ হিসেবে ভাড়া প্রদান দিয়েছেন। এই স্থানে ভাড়া হিসেবে দীর্ঘদিন প্রতিমাসে ভাড়া পেতেন ৩৯ লক্ষ ( ঊনচল্লিশ লক্ষ) টাকা এবং অগ্রীম হিসেবে পেয়েছেন এক কোটি টাকা । এছাড়াও এমদাদ হোসেন মতিন প্রতিদিন ক্যাসিনো থেকে পেতেন বিশ হাজার টাকা । যদিও মতিন এখন পলাতক, স্পষ্ট সীল আছে মহাসচিব প্রশাসন ও মহাসচিব মুক্তিযোদ্ধা ক্রীড়া চক্র। প্রশ্ন হলো এই চুক্তি কি মতিন সাহেবের একার পক্ষে সম্ভব হয়েছে ? সংসদের নির্বাহী আদেশ ছাড়া বা সাবেক চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল হেলাল মোর্শেদ খান ছাড়া কি সম্ভব হয়েছে ? এই চুক্তি অবশ্যই মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সর্বশেষ কমিটি দ্বারা অনুমোদিত অথবা হেলাল মোর্শেদ খান এর বিশেষ নির্বাহী আদেশে হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় সংসদ কমান্ডের কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও বছরের পর বছর গোপন চুক্তির মাধ্যমে এভাবেই কোটি কোটি হাতিয়ে নিচ্ছে হেলাল-মতিন গংরা। এই চুক্তিনামায় দেখে বোঝা যায় , দীর্ঘ তিন বছর সংসদের কার্যক্রম না থাকলেও এই চক্রের মাধ্যমে কীভাবে লুটপাটের তাণ্ডব চালেছে এখানে ! অনুসন্ধানে জানা গেছে, বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন সম্রাটের নিকট সাড়ে বারো কোটি টাকা পাওনা রয়েছে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের। সামগ্রিক বিষয় যথাযথ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সাধারণ মুক্তিযোদ্ধারা।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply