বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে কয়লা চুরির ঘটনায় সাবেক ৭ এমডিসহ ২৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। মঙ্গলবার দিনাজপুর জেলা ও দায়রা জজ আজিজ আহমদ ভুঞা আদালতে দাখিল করা চার্জশিট আমলে নিয়ে এ পরোয়ানা জারি করেন।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) দিনাজপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলা পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছেন পাবলিক প্রসিকিউটর এম. আমিনুর রহমান। তিনি জানান, চাঞ্চল্যকর মামলাটির অভিযোগপত্র গ্রহণ বিষয়ে শুনানি শেষে বিচারক পরোয়ানা জারির আদেশ দেন। মামলার অভিযোগপত্রে আসামি রয়েছেন বড়পুকুরিয়ার সাবেক ৭ এমডিসহ ২৩ কর্মকর্তা। আগামী ধার্য তারিখের মধ্যে আসামিদের গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করার জন্য পুলিশকে আদেশ প্রদান করা হয়।
সূত্র জানায়, আলোচিত মামলায় পরোয়ানাভূক্ত আসামিরা হলেন – বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি প্রকল্পের সাবেক এমডি মো. মাহবুবুর রহমান, মো. আব্দুল আজিজ খান, প্রকৌশলী খুরশিদ আলম, প্রকৌশলী কামরুজ্জামান, মো. আনিসুজ্জামান, প্রকৌশলী এসএম নুরুল আওরঙ্গজেব ও প্রকৌশলী হাবিব উদ্দীন আহমেদ। এছাড়া রয়েছেন সাবেক জিএম শরিফুল আলম, মো. আবুল কাশেম প্রধানিয়া, আবু তাহের মো. নুরুজ্জামান চৌধুরী, ব্যবস্থাপক মাসুদুর রহমান হাওলাদার, মো. আরিফুর রহমান ও সৈয়দ ইমাম হাসান, উপ-ব্যবস্থাপক মো. খলিলুর রহমান, মো. মোর্শেদুজ্জামান, মো. হাবিবুর রহমান, মো. জাহিদুর রহমান, সহকারী ব্যবস্থাপক সতেন্ত্র নাথ বর্মন, মো. মনিরুজ্জামান, কোল হ্যান্ডেলিং ম্যানেজমেন্টের ব্যবস্থাপক মো. সোহেবুর রহমান, উপ-মহাব্যবস্থাপক একেএম খাদেমুল ইসলাম, ব্যবস্থাপক অশোক কুমার হাওলাদার ও উপ-মহাব্যবস্থাপক মো.জোবায়ের আলী।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০০৬ সালের জানুয়ারি মাস থেকে ২০১৮ সালের ১৯ জুলাই পর্যন্ত ১ লাখ ৪৩ হাজার ৭২৭ দশমিক ৯২ মেট্রিক টন কয়লা চুরি হয় বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে। যার আনুমানিক মূল্য ২৪৩ কোটি ২৮ লাখ ৮২ হাজার ৫০১ টাকা ৮৪ পয়সা।
দিনাজপুর পুলিশের কোর্ট পরিদর্শক মো. আব্দুল মজিদ জানান, মামলা দায়েরের পর থেকে আসামিদের কেউ জামিনের জন্য আদালতে আবেদন করেননি।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply