টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ বঙ্গবন্ধুর জন্ম বার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসে টাঙ্গাইলে শিশুমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ মেলায় ক্রেতা ও বিক্রেতা ছিল শিশুরাই। ওরাই আবার ছিলো অতিথি মঞ্চেও। এমনই এক মেলার আয়োজনে শিশু মেলায় একাধিক স্টলে বিভিন্ন পিঠা, মাটির তৈরি বিভিন্ন খেলনা সামগ্রী নিয়ে বসে ছিল শিশুরা।
মেলার স্টলে সাজানো খাবার সামগ্রী বিনামূল্যে আবার অন্য শিশুরাই সংগ্রহ করছে। শিশুরা সেজে ছিল নিত্যনতুন রঙিন শাড়িসহ রং-বেরঙের পোশাকে। মেলাকে কেন্দ্র করে নাচ-গানও ছিল।
শিশু মেলায় জিলাপি, আকড়ি, চিনি সাজ, কদমা, চিতই পিঠা, ভাপা পিঠা, তেলের পিঠা, কুলি পিঠা, খাজা, পোড়াবাড়ির চমচম, মাটির খেলনা, হাঁড়ি-পাতিলসহ নানা সামগ্রীর পসরা নিয়ে বসে আনন্দে দোকানদারি করে শিশুরা।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) দিনব্যাপি টাঙ্গাইল পৌর শহরের শিশুদের নিয়ে এমন ব্যতিক্রমী এক মেলার আয়োজন করেন হাতেখড়ি প্রি-প্রাইমারি স্কুল নামে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
মেলার পাশাপাশি শিশুদের বিনোদনের জন্য নাচ-গানসহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। মেলায় অতিথি হিসেবে শিশুদের পাশাপাশি অভিভাবকরাও ছিলেন।
মেলায় অংশ নেওয়া প্রকৃতি ইসলাম, মোয়াজ ও আরবি বলেন, ‘করোনায় আমাদের স্কুল বন্ধ ছিল। মা-বাবার সঙ্গে কোথাও যেতে পারিনি। করতে পারিনি আনন্দ উল্লাস। সত্যিই খুব ভাল লাগছে আমাদের। মেলা থেকে বিভিন্ন খেলনা, পিঠা কিনেছি।’
অভিভাবক সামিমা সিথি বলেন, ‘বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ব্যতিক্রমী এ আয়োজনে আমরা অভিভূত। দীর্ঘদিন বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের মন ভালো ছিল না। এমন আনন্দের প্রয়োজন ছিল। বিদ্যালয় খুলতেই এমন আয়োজন দেখে শিশুরা অনেক খুশি হয়েছে।’
হাতেখড়ি প্রি-প্রাইমারি স্কুলের চেয়ারম্যান ও সাংবাদিক নওশাদ রানা সানভী বলেন, ‘আমরা বরাবরই বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান আয়োজন করে থাকি। এবার একটু ব্যতিক্রমী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। করোনাকালে বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় শিশুরা তাদের বাসায় দীর্ঘদিন আটকে ছিল। অন্যান্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মেশার সুযোগ ছিল না।’
তিনি বলেন, ‘এ জন্য আমরা শিশুদের মাঝে তার সহপাঠীর সঙ্গে আরও বন্ধুত্বপূর্ণ ভালোবাসা সৃষ্টির লক্ষ্যে এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও শিশু দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের জন্য আমরা এই শিশুমেলার আয়োজন করেছি। তাই আজকের এই বিশেষ দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে ও শিশুদের মাঝে আনন্দ দিতে এবং গ্রামীণ ঐতিহ্য তুলে ধরতেই আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস।’
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply