নিজস্ব প্রতিবেদনঃ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের নিয়ে সংগঠনের আড়ালে চলছে বাণিজ্যের ধান্দা। সম্প্রতি বেশকিছু সংগঠন মুক্তিযোদ্ধা কোটাকে ইস্যু করে আন্দোলন সংগ্রামের নামে শান্তিপূর্ণ রাষ্ট্রে অস্থিতিশীল পরিবেশের পায়তারা করে চলেছে। আর তাদের এই আন্দোলন সংগ্রামকে সমর্থন দিয়েযাচ্ছে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি বিএনপি জামাত।
সম্প্রতি দুরন্ত সত্যের সন্ধানে-দুসস এর অনুসন্ধানে উঠে আসে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির হীন চরিত্র বাস্তবায়নের নীল নকশা। স্বাধীনতা বিরোধীরা কৌশলে নামে বেনামে গড়েওঠা মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের সংগঠনগুলোকে অর্থ ও জনশক্তি দিয়ে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। নিরীহ মুক্তিযোদ্ধা সংস্তানদের অর্থ এবং কোটার লোভ দেখিয়ে রাস্তায় নামিয়ে বর্তমান স্বাধীনতার পক্ষের সরকার এবং রাষ্ট্রকে অস্থিতিতিশীল পরিবেশে ফালানোর পায়তারা করে যাচ্ছে।
অনুসন্ধানে উঠে আসে, সম্প্রতি জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল-জামুকা থেকে শুধুমাত্র নামের ছাড়পত্র নেওয়া “বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ” নামে হঠাৎ গজিয়ে ওঠা একটি ভুঁইফোড় সংগঠনের নাম। সংগঠনটির চেয়ারম্যান ও মহাসচিব সম্পর্কে খোঁজ নিলে জানা যায়, সোলায়মান মিয়া, পিতা- বীরমুক্তিযোদ্ধা লোকমান হোসেন, কাদের সিদ্দিকীর কাদেরিয়া বাহিনীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। বর্তমান সেই কাদের সিদ্দিকীর স্বাধীনতার স্বপক্ষের অবস্থান সম্পর্কে সকলেরই জানা।
সোলায়মান মিয়ার গ্রামের বাড়িতে খোঁজ নিতে গিয়ে লোকমুখে জানাজায়, তার নিজ গ্রামের মানুষ তাকে একজন চিট বাটপার ধান্দাবাজ হিসেবে জানে! এছাড়া স্থানীয় তৃণমূলের আওয়ামীলীগাররা সোলায়মান মিয়া এবং তার পরিবার বিএনপি জামাত ঘরানার সমর্থক ও পৃষ্ঠপোষক বলে মত প্রকাশ করেন! সোলায়মান মিয়াকে তার নিজ এলাকার গুটিকয়েক লোকজন ছাড়া বেশিরভাগ লোকই চিনেনা।
অনুসন্ধানে উঠে আসে সোলায়মান মিয়া নৌবাহিনীর চতুর্থ শ্রেণীর একজন সিভিলিয়ান কর্মচারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। কর্মক্ষেত্রে তার বিভিন্ন অনিয়ম, অপরাধ ও দুর্নীতির কারণে বরখাস্ত হন। কর্মক্ষেত্রথেকে বরখাস্ত হওয়ার পরে ধুরন্ধর সোলায়মান মিয়া শুরুকরেন তার নতুন ধান্দা বাণিজ্যের মিশন। জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল-জামুকা থেকে “বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ” নামে একটি ভুঁইফোড় সংগঠনের শুধুমাত্র নামের ছাড়পত্র নিয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন মিটিং সিটিনংসহ কমিটি বাণিজ্যের ধান্দা। স্বাধীনতা বিরোধী বিএনপি জামাতের অদৃশ্য ইশারায় মুক্তিযোদ্ধা কোটাকে ইস্যু করে নিরীহ সাধারণ মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের আন্দোলন সংগ্রামের উস্কানি দিয়ে বর্তমান সরকারকে ব্যাকায়দায় ফেলার নীল নকশা এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।
শফিকুল ইসলাম বাবু, উল্লেখিত সংগঠনটির মহাসচিব। তার সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে জানাজায়, সিলেটে তার নিজ এলাকায় ব্যাপক সমালোচিত একজন ধান্দাবাজ হিসেবে পরিচিত। আমাদের প্রতিনিধির মাধ্যমে স্থানীয়দের লোকমুখে শুনাযায়, বাবু একজন বিএনপি জামাত মতাদর্শের লোক হিসেবে এলাকায় পরিচিত। এছাড়া শফিকুল ইসলাম বাবুর মাধ্যমে সিলেট অঞ্চলে অনেকে অ-মুক্তিযোদ্ধাকে মুক্তিযোদ্ধা বানানোর অভিযোগ রয়েছে। এলাকায় মানুষের সঙ্গে বিভিন্ন প্রতারণা করার কারণে এলাকাছাড়া বলে অনেকেই মন্তব্য করেন।
উল্লেখিত নামসর্বস্ব সংগঠনটির সঙ্গে সম্পৃক্ত এমন অনেকেই অভিযোগ করেন, সংগঠনটির চেয়্যারম্যান ও মহাসচিবের যোগসাজসে টাকার বিনিময়ে কমিটি প্রদান ও পদ পদবীর বাণিজ্য করে থাকেন। এছাড়া আন্দোলন সংগ্রামের ডাকদিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটিসহ অন্যান্য কমিটি থেকে টাকা উত্তোলন করেন, সেই টাকা সঠিক ভাবে খরচ না করে নিজেদের ব্যক্তিগত জীবিকা নির্বাহ করেন।
সংগঠনটির সঙ্গে কাজকরে প্রতারণার স্বীকার হয়েছেন এমন কয়েকজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান অভিযোগ করে বলেন, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ (কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল) নামের প্রতারণামূল স্বার্থে সৃষ্ট সংগঠটির কার্য্যক্রম এখনই বন্ধ না করা হলে, এই সংগঠনটির ঘাড়ে পা রেখে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি বিএনপি জামাত জোট বড় কোন ইস্যু সৃষ্টি করে ফেলবে। ফলে জাতিরজনকের সুযোগ্য উত্তরসূরি বিশ্বনেতা শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশের উন্নয়ন কার্য্যক্রম ব্যাহতহবে। সংগঠনটির সঙ্গে কাজকরে সময় এবং আর্থিক প্রতারণার স্বীকার হয়েছেন বলে অনেকেই অভিযোগ তোলেন।
প্রতারণার স্বীকার ভুক্তভোগী বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের দাবি, সংগঠনটির বিষয়ে দুদক সহ প্রশাসনের অন্যান্য গোয়েন্দা দপ্তরের বিশেষ নজরদারিতে আনাহোক। মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মতো স্পর্শ কাতর বিষয়কে পুঁজিকরে যেন কোন অপশক্তি বানিজ্য নাকরে মর্মে উল্লেখিত সংগঠনের উদৃতি দিয়ে এমনটাই মন্তব্য করেন প্রতারণার স্বীকার ভুক্তভোগী বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের।
চলবে,
আরো ডকুমেন্টারি বিস্তারিত প্রতিবেদন আসছে।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply