নিজস্ব প্রতিনিধিঃ যশোর সেনানিবাসে শুরু হয়েছে দুই সপ্তাহ ব্যাপী বাংলাদেশ-ভারত যৌথ প্রশিক্ষণ সম্প্রীতি।
গত সোমবার সকাল ১০টায় যশোর সেনানিবাসের ওসমানী স্টেডিয়ামে প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও যশোর সেনানিবাসের এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল মোহাম্মদ নুরুল আনোয়ার।বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দীর্ঘ সহযোগিতার ইতিহাস রয়েছে। এ যৌথ প্রশিক্ষণ দুই দেশের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক সামরিক সহযোগিতা ও উন্নয়নের প্রচেষ্টা। ২০১০ সাল থেকে এ প্রশিক্ষণটি উভয় দেশ আয়োজন করে আসছে। এ যৌথ প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য ভারত ও বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে বিদ্যমান ইতিবাচক সম্পর্ক কে সুদৃঢ় করা। অনুশীলনটি কমান্ড পোস্ট এক্সারসাইজ, ফিল্ড ট্রেনিং এক্সারসাইজ এর সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত হবে। এর মাধ্যমে দুই দেশের সেনারা তাদের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে পারবেন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের প্রত্যক্ষ তত্ত্ববধানে আগামী ১৬ জুন পর্যন্ত কমান্ড পোস্ট এক্সারসাইজ ও ফিল্ড ট্রেনিং এক্সারসাইজ অনুষ্ঠিত হবে। যৌথ প্রশিক্ষণ এবং এক্সারসাইজ সম্প্রীতি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভারতীয় দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ব্রিগেডিয়ার রুপেশ শেহগাল। তিনি বলেন, ভারত বাংলাদেশের সম্পর্ক রয়েছে পারস্পরিক বিশ্বাস শ্রদ্ধা ও পারস্পরিক প্রতিশ্রুতির উপর। এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে সন্ত্রাস দমন মানবিক সহায়তা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং জাতিসংঘের অধীনে বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা সহায়তা সহ অন্যান্য কার্যক্রম সমূহ ইতিবাচক প্রসার ঘটবে।
এ যৌথ শ্রশিক্ষণে উভয় দেশ হতে কমান্ডিং অফিসার, জুনিয়র কমান্ডিং অফিসারসহ বিভিন্ন পদবির সেনা সদস্যরা অংশ নিচ্ছেন।
ঢাকায় অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশন থেকে গত সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, এই মহড়ার কেন্দ্রবিন্দু হলো সন্ত্রাসবাদবিরোধী, বিচ্ছিন্নতাবিরোধী কার্যক্রম, মানবিক সহায়তা কার্যক্রম, দুর্যোগকালীন ত্রাণ কার্যক্রম এবং জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রম। বাংলাদেশ ও ভারতে পর্যায়ক্রমে এই মহড়ার আয়োজন করা হয়ে থাকে।
এবার মহড়ার ১০ম পর্ব চলছে। এতে অংশ নিতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ১৭০ সৈন্যের একটি কনটিনজেন্ট গত ৪ জুন যশোর পৌঁছায়। এই মহড়া চলাকালে দুই দেশের সেনাবাহিনী যৌথভাবে শহর ও গ্রামাঞ্চলে সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রম পরিচালনা পদ্ধতি প্রদর্শন করবেন।
পাশাপাশি এই প্রদর্শনীতে উদ্ধার কার্যক্রম, মানবিক সহায়তা কার্যক্রমের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন এবং এলাকা অনুযায়ী দুর্যোগকালীন ত্রাণ কার্যক্রমের মতো বিষয়গুলোর ওপর জোর দেওয়া হবে।
এই যৌথ সামরিক অনুশীলন এই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতাবস্থা বজায় রাখার জন্য উভয় বাহিনীকে নিজেদের সর্বোত্তম অনুশীলনের অভিজ্ঞতা পরস্পরের সঙ্গে ভাগ করার সুযোগ করে দেবে।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply