নিজস্ব প্রতিনিধিঃ যশোর। যশোরের শার্শা থানা বিএনপি দুই গ্রুপে সংঘর্ষের্ ঘটনায় গত শুক্র বার রাতেই পুলিশ বাদী হয়ে শার্শা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আটক করা হয়েছে বিএনপির চার জন নেতাকে।গত কাল শনিবার সকালে আটকদের আদালতে প্রেরণ করা হয়।
শার্শা উপজেলার নাভারণ বাজার ব্যবসায়ী ছুরিকাঘাতে মফিজুর রহমান (৪৮) নামে এক ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে কয়েক দফায় ১০ থেকে ১২টি বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার রাত ৯টা ৩০মিঃদিকে নাভারণ স্বর্ণ পট্টিতে মফিজুর রহমান ব্যক্তিগত কাজে যান। এ সময় একই গ্রামের মাদক ব্যবসায়ী ও বিএনপির তৃপ্তি গ্রুপের কর্মী মন্টু, রবি ও মাছুম সহ চার-পাঁচজন পূর্ব শত্রুতার জেরে হাসান জহির গ্রুপের মফিজুর রহমানের ওপর ধারালো ছুরি নিয়ে হামলা চালিয়ে গুরুতর জখম করে।
আটক হলেন উপজেলা বিএনপির সাবেক স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক ও আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আশরাফুল আলম ওরফে বেড়ে বাবু, উপজেলা বিএনপির সদস্য ও কায়বা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম, দক্ষিণ বুরুজবাগান গ্রামের হামজের আলীর ছেলে তরিকুল ও একই এলাকার মশিয়ার রহমানের ছেলে মনিরুল।
গত শুক্রবার রাতে নাভারণের স্বর্ণপট্টিতে দলীয় প্রতিপক্ষের ধারাল অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হন মফিজুর রহমান (৪৮) নামে বিএনপির এক কর্মী। আহত মফিজুরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দেখতে আসলে বিএনপি নেতা আব্দুল হাইকে (৫৬) পিটিয়ে আহত করে দলের বিক্ষুব্ধ কর্মীরা। পরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে গভীর রাত পর্যন্ত দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া চলে। এসময় মুহুর্মুহু বোমা বিষ্ফোরণে এলাকাবাসী আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। পরে শার্শা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন।
এলাকাবাসী জানায়, শার্শা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসান জহির ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক মফিকুল হাসান তৃপ্তির সমর্থকদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। তারই রেশ ধরে গত শুক্রবার রাতে নাভারণ বাজার স্বর্ণ পট্টিতে তৃপ্তি গ্রুপের সমর্থকরা হাসান জহির গ্রুপের সমর্থক মফিজুর কে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত যখম করে। তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে আসলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে যশোর সদর ২৫০ জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
শার্শা থানার ওসি মামুন খান জানায়, বোমাবাজির খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে এবং রাতেই ২৬ জনের নাম উল্লেখ সহ আরও অজ্ঞাত ২০/২৫ জনের নামে একটি মামলা হয়েছে। পুলিশ এই ঘটনায় চার জনকে আটক করে।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply