নিজস্ব প্রতিনিধিঃ আনোয়ার হোসেন। যশোর চৌগাছায় থানায় বলাৎকারে ব্যর্থ হয়ে মিরাজ হোসেন চয়ন নাম (১৫) নবম শ্রেণির ছাত্রকে হত্যা করা হয়েছে। মরদেহ উদ্ধারএবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করেছেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)যশোর।
এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনার ১ দিন পর গত সোমবার (১৩ জুন) সকাল এ মাধবপুর ধোনার খাল কপোতাক্ষ নদীর পাড় থেকে বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করেন পুলিশ। ঘটনায় নিহতের বাবা সবুজ হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে চৌগাছা থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পান পিবিআই যশোর এসআই শরীফ এনামুল হক । পরে অভিযান চালিয়ে তিনি রাজু কে গ্রেপ্তার করেন। ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পিবিআইয়ের তদন্তে উঠে আসে ঘটনার রহস্যজট।
একই সঙ্গে হত্যাকারী রাজু হোসেন কে গ্রেপ্তার ও হত্যায় ব্যবহৃত গামছা ও মাইক্রোবাস উদ্ধার করা হয়েছে।গতকাল বুধবার (১৫ জুন) পিবিআই যশোর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়। গ্রেপ্তার রাজু হেসেন কে যশোরের চৌগাছার বহিলাপোতা গ্রামের মৃত ইসমাইল হোসেন মন্ডলের ছেলে।
পিবি আই জানায়, গত মঙ্গলবার (১৪ জুন) দুপুর আড়াইটার দিকে চৌগাছা পৌরসভার সামনে বটতলা মোড় থেকে রাজু কে গ্রেপ্তার করা হয়।গতকাল বুধবার তাকে যশোর আদালতে সোপর্দ করাহলে রাজু হত্যার ঘটনা স্বীকার করেন জবানবন্দি দেন। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সালমান আহমেদ শুভ জবানবন্দী গ্রহণ শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়।পিবিআই জানায়, নিহত চয়ন নবম শ্রেণিতে লেখাপড়ার পাশাপাশি রাজু হোসেনের কাছে মাইক্রোবাস চালানো শিখছিলো। গত ১২ জুন রাত ৮টায় রাজু হোসেন চয়নকে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে যায়। পরে দুইজন মাইক্রোবাসে বসে মোবাইল ফোনে ভিডিও দেখতে থাকেন। একপর্যায়ে রাত ২টার দিকে রাজু চয়নকে বলাৎকারের প্রস্তাব দেয়। রাজি না হলে জোরপূর্বক চেষ্টা করেন রাজু। চয়ন বাধা দিয়ে ধস্তাধস্তি করেন মাইক্রোবাস থেকে বের হয়ে যায়। এরপর রাজু হোসেন এমনটি আর হবে না বলে ফের চয়নকে গাড়ির ভেতরে ডেকে নিয়ে যায়। কিন্তু কিছু সময় পর ফের একই কাজ করে রাজু। মিরাজ আবারো বাধা দেয়। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে মিরাজের গলায় গামছা পেঁচিয়ে ধরে রাজু এবং শ্বাসরোধ করে চয়নকে হত্যা করেন। এরপর চয়নের মরদেহ বস্তাবন্দি করে রাজু নদীতে ফেলে দেন।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply