মোঃ শাহিন আলম পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ গত এক যুগেরও বেশি সময় ধরে কোন সংস্কার না হওয়ায় ভয়াবহ আকার নিয়েছে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড মকুমা হাওলাদার বাড়ী জামে মসজিদ সংলগ্ন আয়রন ব্রীজটি। যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় কোন দুর্ঘটনা। বারবার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলেও সে দিকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজর নেই বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
ওই গ্রামের অধিকাংশ মানুষের একমাত্র আসা-যাওয়ার পথ এই ব্রিজটি। প্রতিদিন ভাঙ্গা লক্কর-ঝক্কর এই ব্রীজের উপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করে অসংখ্য পথচারি। জানা যায়, এ ব্রিজ দিয়ে পারাপারের সময় পড়ে গিয়ে অনেক মানুষ আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে একাধিকবার। বর্তমানে ব্রিজটি মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে। ব্রিজটি দ্রুত সংস্কার না করা হলে ঘটতে পারে যেকোনো সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনা। ভুক্তভোগীরা দ্রুত ব্রীজটি সংস্কারের দাবী জানিয়েছেন।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়,অত্যন্ত নড়বড়ে অবস্থা ব্রীজটির। পারগুলোর বেশির ভাগই ভেঙে গেছে। লোহার অ্যাঙ্গেলগুলো মরিচায় ধরে নষ্ট হয়ে গেছে। মানুষ চলাচলের জন্য ব্রীজটি অনুপযোগী। এলাকাবাসী ব্রীজটির ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন। বিশেষ করে বৃদ্ধ ও শিশুদের এই ব্রীজ দিয়ে পারাপারে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এ ব্রীজ দিয়ে অটোবাইক, মোটরসাইকেল, রিকশা-ভ্যান ও অন্যান্য যানবাহন চলাচলে সম্পূর্ণরূপে অনুপযোগী হয়ে পরেছে।
স্থানীয়রা জানান, আতংকের সাথে ভাঙ্গাচুরা এই ব্রীজ দিয়ে প্রতিদিন শত শত মানুষ পারাপার করে। এলাকার কৃষকদের উৎপাদিত বিভিন্ন কৃষিপণ্যসহ অন্যান্য সামগ্রী নিয়ে পারাপার করতে খুবই সমস্যা পোহাতে হয়। জনস্বার্থে ব্রীজটি অতি জরুরি সংস্কারের প্রয়োজন।
স্থানীয় বাসিন্দা লিজেন খাঁন,শাহজাহান খাঁন ও সবুজ হাওলাদার বলেন,প্রায় এক যুগের অধিক সময় ধরে এই ব্রীজটি ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে। যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় কোন দুর্ঘটনা। এই ব্রীজের ওপর দিয়ে শঙ্কা নিয়ে পারাপার করতে হয় পথচারীদের। বারবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরে দেওয়ার পরও অদ্যাবধি কোনো সংস্কার হয়নি। সংস্কারের অভাবে ব্রীজটি এখন মরণফাঁদে পরিনত হয়েছে। ব্রীজটি অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে সংস্কার অথবা পুনর্নির্মাণের দাবি জানাই।
ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহাবুব আলম স্বপন বলেন,ব্রীজটি আমার দৃষ্টিগোচরে আছে। ওই ব্রীজ দিয়ে পারাপারে মানুষের খুবই সমস্যা হচ্ছে। ওখানে ব্রীজ নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে কাগজ পাঠানো হয়েছে। আশা করি অতি শীঘ্রই ব্রীজটি নির্মাণ করা হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ আশিকুর রহমান বলেন, সরেজমিন পরিদর্শন করে ব্রিজ সংস্কারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply