November 24, 2024, 12:51 am

তথ্য ও সংবাদ শিরোনামঃ
গৃহঋণের জন্য আবাসন খাতে বিশেষ তহবিল গঠনের দাবি জানিয়েছেন অধ্যাপক ড. মু. নজরুল ইসলাম তামিজী সোনার দেশ- এটিই হবে ভবিষ্যতের বাংলাদেশ বেনাপোল পুটখালী সীমান্ত থেকে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল উদ্ধার। বেনাপোল বলফিল্ড মাঠে শহীদ জিয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্ট- ২০২৪ অনুষ্ঠিত। বেনাপোল ধান্যখোলা সীমান্তে ৩৬ কেজি গাঁজাসহ ১টি মোটরসাইকেল উদ্ধার। টঙ্গীবাড়ীতে বীজ আলু ও সার ব্যাবসায়ী দের সাথে ইউএনওর মত বিনিময় সভা। বেনাপোল দিয়ে ভারতে পাচার হওয়া ২৪ জন কিশোর ও কিশোরী দেশে ফিরেছে। আ.লীগ নেতার জবর দখলে থাকা সরকারি ১২ বিঘা জমি উদ্ধার। রাজধানীতে কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ। ১৫ বোতল ফেন্সিডিল সহ ০১ জন আসামী গ্রেফতার। যশোর পর্যটন খাতেও ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারে বাস্তবায়নে উদ্যোগ নেয়া হবে। উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বেনাপোল বন্দর দিয়ে শুল্কমুক্ত সুবিধায় ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু। বেনাপোলের শহীদ আব্দুল্লাহর কবর জিয়ারত করলেন উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিতে মহাখালীতে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ। প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে নির্বাচনের রূপরেখা না থাকায় আশাহত হয়েছে বিএনপি। ভালুকায় দ্রব্যমূল্য স্বাভাবিক রাখতে বাজার মনিটরিং ধনবাড়ী উপজেলার নব নিযুক্ত নির্বাহী অফিসারের সাথে ধনবাড়ী উপজেলা মডেল প্রেসক্লাবের সদস্যদের সৌজন্য সাক্ষাৎ। নওগাঁ পত্নীতলার ডিগ্রি চতুর্থ বর্ষের ছাত্র সুমন হোসেন কে হত্যা করে গলায় ফাঁসি দিয়ে কাঁঠাল গাছের ঝুলিয়ে রহস্য জনক মৃত্যু। শার্শায় ৪ যুগ ধরে খবরের কাগজের ফেরিওয়ালা সিরাজ আর নেই। রাজনৈতিক গুরু হিসেবে মওলানা ভাসানীকে স্বীকৃতি দিতে হবে …… অধ্যক্ষ এম শরিফুল ইসলাম বেনাপোল হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়ন ৯২৫ এর বিশেষ সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত। যশোর যৌনকর্মী প্রেমিকাকে নিয়ে দ্বন্ধে হেলপার বাপ্পি খুন। মওলানা ভাসানীকে অপমান করায় আওয়ামী লীগ বিলুপ্ত প্রায় বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে সাহিত্য ও সংস্কৃতির সংস্কার চাই – রেজাবুদ্দৌলা চৌধুরী। ভালুকায় জমি দখল ও খেতের ধান কেটে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ মওলানা ভাসানীকে স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করার দাবি …. বীর মুক্তিযোদ্ধা মোয়াজ্জেম হোসেন খান মজলিস। দেশপ্রেমিক লোকদের সঠিক প্রক্রিয়ায় যাচাই বাছাই করে নিয়োগ দিতে হবে …… অধ্যাপক ড. সায়েদা ওবায়েদ যশোর বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের কর্তৃক ৩০ বোতল ফেন্সিডিল ও ১ কেজি গাঁজা সহ ০১ জন আটক। ওষুধের দাম কমানোর আহ্বান ……এম এ আলীম সরকার গাজীপুর কোনাবাড়ীতে আবাসিক হোটেলে চলছে নারী ও মাদকের রমরমা ব্যবসা

ভারতের নতুন পার্লামেন্ট নিয়ে স্পিকারের তথ্য

ভারতের নতুন পার্লামেন্ট নিয়ে স্পিকারের তথ্য

লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার বিশেষ বক্তব্য আগামী বর্ষাকালীন অধিবেশন এখানেই শুরু

মানস বন্দ্যোপাধ্যায়, ভারতের প্রতিনিধিঃ ভারতের তথা দিল্লির পার্লামেন্টে হাউস তথা সংসদ ভবন নিয়ে অনেক মুখরোচক কাহিনী রয়েছে। দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে এই সংসদের অলিন্দে আমার অবাধ বিচরণ। গোলাকৃতি এই ভবনের এক প্রান্ত থেকে হেঁটে আবার একই জায়গায় ফিরে আসতে গেলে এক কিলোমিটারের বেশি পথ অতিক্রম করতে হয়। এটি তৈরি হয়েছিল ব্রিটিশ উপনিবেশ কালে। এটির ডিজাইন করেছিলেন ব্রিটিশ নাগরিক এডুইন লুটিয়েন এবং হার্ভার্ড বাকের। এই কারণে এই অঞ্চলকে লুটিয়েন এলাকাও বলা হয়।অসাধারণ নৈসর্গিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি এই সংসদ ভবন। তবুও প্রয়োজন হলো এর কাছেই নতুন  আরো একটি ভবন গড়ে তোলার। প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় আসার পরই শোনা যাচ্ছিল তিন বিখ্যাত জ্যোতিষী নাকি বলেছিলেন, বর্তমান সংসদ ভবনের নির্মানে  প্রচুর বাস্তু দোষ রয়েছে। এটা দেশের ও দশের জন্য মোটেও শুভ নয়। তাছাড়া দেশের বর্ধিত জনসংখ্যার ফলে সারা দেশে জন প্রতিনিধিদের সংখ্যাও বেড়ে চলেছে। সেই অনুপাতে বর্তমান সংসদের রাজ্য সভা এবং লোকসভায় আসন সাংখ্য বাড়ানোর মতো স্থানের অভাব রয়েছে। তাছাড়া সংসদ চলাকালীন দেশের রাষ্ট্রপতি , প্রধানমন্ত্রীর সংসদে আগমন ও প্রস্থানের সময় শহরের বিস্তীর্ণ এলাকার রাস্তায় নো এন্ট্রি লাগু করতে হয়। যানজট চলে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত।আম নাগরিকদের প্রচন্ড অসুবিধা ভোগ করতে হয়। কয়েক কিলোমিটার পথ ধরে হেঁটে তাদের যাতায়াত করতে হয়। পরিবহন বাস ও অন্যান্য গাড়িকে আটকে দেওয়া হয় কয়েক কিলোমিটার দূরে। এই অবস্থা থেকে রেহাই দেওয়ার জন্য অনেক ভাবনা চিন্তা করে নতুন সাংসদ ভবন তথা সেন্ট্রাল ভিস্তার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এই পরিকল্পনা কার্যকরী করার জন্য দেশের সুপ্রাচীন ইন্ডিয়া গেট থেকে সংসদ ভবন পর্যন্ত বিস্তীর্ণ এলাকার খোদাই পর্ব চলেছে। চরম হয়রানির শিকার জনগণ। তবে কাজ প্রায় অনেকটাই শেষ পর্যায়ে। বিশাল নতুন ভবনটির নির্মাণ কার্য শেষ। আগামী বর্ষাকালীন তথা মনসুন অধিবেশন বসতে চলেছে এই নতুন ভবনে ।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গত ২০২১ এর ১০ ডিসেম্বর এই নতুন সংসদ ভবন এর (সেন্ট্রাল ভিস্টা) ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেছেন।সম্প্রতি সংসদের বাজেট অধিবেশন সমাপ্ত হতেলোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা অকস্মাৎ কিছু সাংবাদিকের সঙ্গে ঘরোয়া আলোচনায় সংসদের ইতিহাস চর্চায় বসেছিলেন এবং নতুন ভবনের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে অনেক কিছু বললেন। কী বলেছেন?প্রস্তাবিত ভবনের বিশদ ঘোষণা করে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা বলেছেন, গণতন্ত্রের বিদ্যমান মন্দিরটি ১০০ বছর পূর্ণ করছে। “আমাদের দেশবাসীর জন্য গর্বের বিষয় যে নতুনটি তৈরি করা হবে আমাদের নিজস্ব  আত্মনির্ভর ভারতের উদাহরণ হিসাবে।”বিড়লা বলেছেন, বিদ্যমান সংসদ ভবনটি দেশের প্রত্নতাত্ত্বিক সম্পদ হওয়ায় এটি সংরক্ষণ করা হবে। বিড়লা আশা প্রকাশ করেছিলেন যে স্বাধীনতার ৭৫  তম বছরে নতুন ভবনে সংসদ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু সেটা করা সম্ভব হয়নি। তবে এই বছরেই এখানে অধিবেশন শুরু হচ্ছে। তিনি আরও যোগ করেন, “নতুন ভবনটি দেশের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য প্রদর্শন করবে। বিড়লা নতুন সংসদ বিল্ডিং এর ব্যয় সহ বিশদও  তথ্যও প্রকাশ করেছিলেন। নতুন সংসদ ভবন সম্পর্কে প্রকাশিত সেই বিস্তারিত বিবরণ প্রকাশ করছি।

সেন্ট্রাল ভিস্টা প্রকল্প কি?

সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্প ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের একটি উচ্চাভিলাষী প্রকল্প। প্রকল্পের মূল লক্ষ্য রাষ্ট্রপতির ভবনের মূল ফটক থেকে ইন্ডিয়া গেট পর্যন্ত প্রায় চার বর্গকিলোমিটার অঞ্চলে বেশ কয়েকটি ঐতিহাসিক ভবন পুনর্গঠনের পাশাপাশি নতুন সংসদের পুনর্গঠন করা। দীর্ঘ দিন হলো সেন্ট্রাল ভিস্তার কাজের জন্য সংসদের আসে পাশের অনেক রাস্তা যানবাহনের জন্য নিষিদ্ধ ছিল।  কিন্ত এখন  জনসাধারণের জন্য এটি খুলে দেওয়া হয়েছে কাজ সম্পন্ন হওয়ায়। তবে বেশ কিছু জায়গায় এখনো ব্যারিকেট রয়েছে।
বিদ্যমান সংসদ ভবনটি কখন নির্মিত হয়েছিল?

বিদ্যমান তথা বর্তমান সংসদ ভবন কমপ্লেক্সটি নির্মাণে ছয় বছর সময় লেগেছিল – ১৯২২ সালের ১২  ফেব্রুয়ারী ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন থেকে শুরু করে ১৯২৭ সালের ১৮ জানুয়ারীতে ভাইসরয় লর্ড ইরভিনের উদ্বোধন পর্যন্ত। তখন নির্মাণ কাজের জন্য ব্যয়  হয়েছিল ৮৩ লক্ষ রুপি।   বর্তমান সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৭১  কোটি টাকা।

ভারতের নতুন সংসদ ভবন (সেন্ট্রাল ভিস্টা)কেন দরকার?প্রথমত, বর্তমান সংসদটি ১৮২৭ সালে আইনসভা পরিষদ গঠনের জন্য নির্মিত হয়েছিল এবং দেশটিতে যে দ্বিপদীয় আইনসভা থাকার কথা ছিল তা নয়।  লোকসভা ও রাজসভায় আসনের সংখ্যা বাড়ালে বর্তমান ভবনটি আরও চাপে পড়বে।
 দ্বিতীয়ত, বর্তমান সংসদ ভবনটি একটি সাম্রাজ্যের উৎসকে বোঝায়, যেখানে ভারত একটি সফল নাগরিক-নেতৃত্বাধীন গণতন্ত্র।  সুতরাং, বর্তমান সংসদীয় বিল্ডিংটি স্বাধীন ভারতীয় নাগরিকদের আশা  আকাঙ্ক্ষার সাথে স্থানাভাবে যুক্ত  নয় এবং নতুন ভবনটি ১৩০  কোটি নাগরিক দ্বারা নির্মিত একটি প্রতিষ্ঠান হিসাবে দাঁড়িয়ে থাকবে।ভোল বদলাচ্ছে ভারতের ক্ষমতার অলিন্দের! নতুন সংসদ ভবনে কী কী বিশেষ সুবিধা থাকছে জেনে নিন:  সামনে এসেছে নয়া সংসদ ভবনের ত্রিভুজাকৃতি নকশা। যা নিয়েই শুরু হয়েছে জল্পনা-কল্পনা।৬৪,৫০০ বর্গমিটার এলাকা জুড়ে তৈরি হবে নতুন ভবন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, নতুন সংসদ ভবন নির্মাণের জন্য কেন্দ্রের তরফে বরাদ্দ হয়েছে প্রায় ৯৭১ কোটি টাকা। বরাত পেয়েছে টাটা প্রজেক্টস লিমিটেড। ৬৪,৫০০ বর্গমিটার এলাকা জুড়েই তৈরি হবে এই নতুন ভবন। যার নকশা প্রস্তুত করেছে এইচসিপি ডিজাইন প্ল্যানিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড।

বাড়ছে লোকসভা ও রাজ্যসভার আসন সংখ্যা
এদিকে ১৯২৭ সালে ব্রিটশ শাসিত ভারতের গভর্নর জেনারেল লর্ড আরউইনের হাতে তৈরি হয়েছিল ভারতের বর্তমান সংসদ ভবন। কিন্তু পরবর্তীতে সংসদ সদস্য বাড়লেও বাড়েনি আসন সংখ্যা। এমনকী পুরাতন সংসদ ভবনে লোকসভা ও রাজ্যসভার জন্য দুটি পৃথক কক্ষের কথাও ভাবেনি তদানন্তীন ব্রিটিশ সরকার। সূত্রের খবর, নবনির্মিত সংসদ ভবনে লোকসভার আসন সংখ্যা হতে চলেছে ৮৮৮, এবং রাজ্যসভার আসন সংখ্যা ৩৮৪।ভারতের ১৩০ কোটি ভারতীয়র  স্বপ্নপূরণের সাক্ষী হয়ে থাকবে এই ভবন। এমনকী ২০২২ সালের শীতকালীন  প্রথম অধিবেশনও নতুন সংসদ ভবন থেকেই হবে বলে বৃহষ্পতিবারই জোরালো ঘোষনা করেছিলন প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মোদীর সাফ বক্তব্য, ” স্বাধীনতার ৭৫ তম বর্ষপূর্তির শেষেই নতুন সংসদ ভবন পাবে ভারত। এটা শুধু ইট-পাথরের বাড়ি নয়, ভারতের ১৩০ কোটি ভারতের স্বপ্নপূরণের সাক্ষী হয়ে থাকবে এই ভবন।” কিন্তু প্রবল আগ্রহ থাকলেও সেটি সম্ভব হয় নি। তবে আগামী গ্রীষ্মকালীন অধিবেশন নতুন ভবনে অনুষ্ঠিত হবার সম্ভাবনা বেশি।

গোটা প্রকল্প বাস্তবায়িত করার জন্য কাজ করছেন প্রায় ১১ হাজার মানুষ

সূত্রের খবর, এই গোটা প্রকল্প বাস্তবায়িত করতে সরাসরি ২০০০ মানুষ এবং পরোক্ষভাবে আরও ৯০০০ মানুষ যুক্ত থাকছেন । অন্যদিকে লোকসভা ও রাজ্য সভায় আসন সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি গোটা সংসদ ভবনটিই হবে ভূমিকম্প প্রতিরোধী চারতল বিশিষ্ট। সংলগ্ন ভবনে প্রত্যেক সাংসদের আলাদা ঘর থাকবে বলেও জানা যাচ্ছে।আর কী কী বিশেষ সুবিধা থাকছে?
এমনকী প্রত্যেক সাংসদের আধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন আলাদা দফতরের পাশাপশি ‘পেপারলেস অফিসও’‌ থাকবে বলে জানা যাচ্ছে। ঘরগুলো যুক্ত থাকবে আন্ডারপাস দিয়ে। থাকবে সাংবিধান হল। যেখানে তুলে ধরা হবে ভারতের গণতন্ত্রের ইতিহাস। পাশাপাশি প্রতিটি অধিবেশন রেকর্ডিংয়ের সুব্যবস্থা থাকবে বলেও জানা যাচ্ছে। এমনকী বিভিন্ন ভাষা অনুবাদের ব্যবস্থা থাকবে বলেও খবর। পাশাপাশি ভোটদানের জন্য থাকছে বায়োমেট্রিক যন্ত্র।নতুন সংসদ ভবনের সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে, রাষ্ট্র পতি ও প্রধান মন্ত্রীকে আর সংসদ ভবন থেকে গাড়ি নিয়ে ওপরের রাস্তা জ্যাম করে ঘরে ফিরতে হবে না। একবারে নতুন ভবনের সুড়ঙ্গ পথ দিয়ে সোজা তারা রাষ্ট্রপতি ভবন এবং প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে সরাসরি পৌঁছে যাবেন আবাসে। পথে অযথা আর যানজটের ঝামেলা পোহাতে হবে না। সাংসদদের পোয়া বারো। এবারে সাংসদদের মোগল ই আজমের  স্বাচ্ছন্দ্য বিলাস বহুল জীবন শুরু:  সাংসদ দের বিলাসবহুল ফ্ল্যাট: নিন্দায় সোচ্চার বুদ্ধিজীবী ও সংগঠন 
রোম যখন জ্বলছিল, সম্রাট নিরো বীনা বাজাচ্ছিলেন বলে একটি প্রবাদ রয়েছে। সেটিকে মোদী আরো বড় রকমের প্রতিষ্ঠা দিলেন।  লোকসভার কিছু ভাগ্য শালী সাংসদ শীঘ্রই রাজকীয় আলিশান ফ্ল্যাটের অধিকারী হতে চলেছেন। প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সেই রাজমহল তথা আলিশান ফ্ল্যাটের উদ্বোধন করেছেন আগেই।কী নেই সেই ফ্ল্যাটে? চার চারটি করে বেডরুম। চোখ ধাঁধানো আভ্যন্তরীণ ডেকোরেশন। মন মজানো কালার পেন্টিং দেওয়ালে। সর্বত্র এল ই ডি লাইটের ব্যবস্থা। গঙ্গা, যমুনা, সরস্বতী এই তিন টাওয়ারের বিল্ডিং এর সবটুকুই সি সি টিভি ক্যামেরায় বন্দি। প্রতিটি বিল্ডিং এ চার চারটি করে লিফট। ৪ টি করে বেডরুম ছাড়াও রয়েছে কাজের সাহায্যকারী স্টাফদের জন্য রাজকীয় অফিস রুম। এখানেই শেষ নয়। সাংসদরা অনেকেই খেতে ভালোবাসেন। বিশাল আধুনিক কিচেনে সম্পূর্ণ অত্যাধুনিক রান্নার সরঞ্জাম রাখা থাকছে। ফ্ল্যাটে রয়েছে আধুনিক ব্যালকনি। ফুল বা গাছ লাগানোর টবের জায়গা। সাংসদরা পুজোও করতে পারবেন। পুজোর জন্য উপযুক্ত পুজোর ঘর রাখা হয়েছে।  ঘরের দেওয়ালে রয়েছে কলার পেন্টিং। সাংসদদের সুরক্ষার জন্য রাখা হয়েছে থ্রি টায়ার সুরক্ষা ব্যবস্থা। প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই আলিশান রাজমহলের উদ্বোধন করে বলেছিলেন তিনি জন প্রতিনিধিদের মানসিক প্রশস্তির কথা ভেবেই এসব করেছেন। জন প্রতিনিধি দের মনে টেনসন থাকলে সংসদে উত্তেজনা বাড়বে। এর পর থেকে তার সম্ভাবনা কম হবে বলেই মোদির ধারণা।
এদিকে এই বিলাসিতার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সংগঠন গর্জে উঠেছে। তাদের বক্তব্য সাংসদদের আগে থেকে প্রচুর সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়েছে। দেশের সর্বত্র মূল্য বৃদ্ধির ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে যখন হাহাকারের সৃষ্টি হয়েছে,তখন সাংসদরা সংসদের ক্যান্টিনে বাজারের একটি সিঙ্গারার দামে আমিষ জাতীয় খাদ্যের থালি পাচ্ছেন। আবাসনে সব কিছুই ফ্রি। ট্রেন,বিমান ভাড়া ফ্রি। রাজধানী দিল্লিতে থাকাকালীন ব্যবহারের জন্য গাড়ি,নয়তো গাড়ি ভাড়া পান। এছাড়াও রয়েছে, বিশাল অঙ্কের মাসিক বেতন, সংসদ চলাকালীন দৈনিক ভাতা। অথচ অধিকাংশ সাংসদ অধিবেশন চলাকালীন হৈ চৈ করে সভার কাজ বানচাল করতেই ব্যস্ত। দীর্ঘ দিন অচল সংসদে হাজির না থেকেও হাজিরা খাতায় সই করে দৈনিক ভাতা নিতে লজ্জা বোধ করেন না। একবার সংসদ সদস্য হবার পর সারাজীবন ধরে পেনশনও পান তারা। শিক্ষাগত যোগ্যতার কোন মানদন্ড নেই। অথচ দেশের আম জনতা মূল্য বৃদ্ধির ফলে অর্ধ ভুক্ত অথবা অভুক্ত রয়েছেন। তিলেতিলে মরতে হচ্ছে তাদের। শিক্ষা ক্ষেত্রে অরাজকতা, চাকুরী ক্ষেত্রে শঠতা চলছে ,স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে দুর্নীতি। মূল্য বৃদ্ধির তুলনায় বেতনের হার নেমে এসেছে দশ শতাংশে। ট্রেন, মেট্রো, বাস, ট্যাক্সি, অটো ভাড়ার সীমাহীন বৃদ্ধি, অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের আকাশ ছোঁয়া মূল্য বৃদ্ধি মানুষকে উন্মাদের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে। আর ঠিক এই সময় সাংসদদের বাড়তি বিলাসিতা দিয়ে সরকার আম জনতাকে চরম অপমান করে চলেছে। বিজেপিরই নেতা সুব্রামানিয়াম স্বামী এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে বলেছেন, সরকারের এই কাজ জন বিরোধী। সুবিধাভোগীদের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে বঞ্চিত জনগণের টাকায়। একে রাম রাজত্ব বলা চলে না। রামের কাছে প্রজারাই ছিলেন আসল।প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যেটা করলেন,তার সঙ্গে সম্রাট নিরোর তুলনা করা যায়। রোম শহর যখন জ্বলছিল তখন সম্রাট নিরো বীনা বাজাচ্ছিলেন।

আমাদের প্রকাশিত তথ্য ও সংবাদ আপনার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)

Design by Raytahost.com