আনোয়ার হোসেন, ভালুকা প্রতিনিধি ঃময়মনসিংহের ভালুকায় একটি ফাজিল মাদরাসার মাঠ দিয়ে সরকারী পাকা রাস্তা থাকায় বোর্ড পরীক্ষা চলাকালিন সময়ে দু’পাশে গেইট বন্ধ করে দেয়ায় চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে ওই রাস্তা দিয়ে চলাচলরত শতশত যানবাহন ও পৌরএলাকার কয়েকটি মহল্লার বাসিন্দাসহ বিভিন্ন গ্রামের লোকজন। এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভূক্তভোগী এলাকাবাসি।
খোঁজ নিয়ে স্থানীয় ভূক্তভোগী পথচারী ও যানবাহনে চলাচলরত যাত্রীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ভালুকা পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ড পূর্বভালুকা ফাজিল মাদরাসার প্রতিষ্ঠাকালিন সময় থেকে মাঠ দিয়ে সরকারী পাকা রাস্তা নির্মাণ করা হয়।
ভালুকা-গফরগাঁও সড়ক থেকে বের হয়ে সরকারী ওই সংযোগ সড়কটি ভালুকা-মেদিলা সড়কে গিয়ে মিশেছে। আর প্রতিদিন এই সড়কটি দিয়ে শতশত যানবাহন চলাচল করে থাকে। এদিকে মাদরাসাটিতে বর্তমানে দাখিল, আলিম ও ফাজিল পরীক্ষা কেন্দ্র (১) হিসেবে ব্যবহার করার কারণে পরীক্ষা চলাকালিন সময়ে বছরের প্রায় অর্ধেক সময়ই রাস্তাটির দু’পাশে লোহার গেইট দিয়ে বন্ধ রাখা হয়। বিকল্প সড়ক না থাকায় চরম দূর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে পৌরএলাকার বেশ কয়েকটি মহল্লার বাসিন্দা, এমনকি মেদিলা, আশকা, বিরুনীয়া, খারুয়ালী, পনাশাইলসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামের শিক্ষার্থী, চাকরীজিবী, শিল্প শ্রমিক ও চলাচলরত যানবাহনের যাত্রীদের। ফলে বাধ্য হয়ে ভূক্তভোগী পথচারীরা বিভিন্ন লোকের বাড়ির উঠান ব্যবহার করে বা প্রায় চার কিলোমিটার ঘুরে থানামোড় হয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। পথচারীদের দীর্ঘদিনের এ সমস্যার সমাধান চেয়ে স্থানীয়রা সংসদ সদস্য কাজিম উদ্দিন আহমেদ ধনু ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: এরশাদুল আহমেদ বরাবার অর্ধশতাধিক ভূক্তভোগীর স্বাক্ষরিত লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা মাওলানা ওয়ালিউল ইসলাম জানান, মাদরাসার মাঠ দিয়ে সরকারী রাস্তা থাকায় কয়েক এলাকার বাসিন্দাদের দূর্ভোগ দীর্ঘদিনের। বর্তমানে বেশ কয়েকটি পরীক্ষার কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার হওয়ায় রাস্তাটি দু’পাশে লোহার গেইট বন্ধ রাখা হয়। এতে চরম দূর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে পৌরএলাকার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের লোকজনসহ কয়েক এলাকার বাসিন্দাদের। তিনি বলেন, গেইট বন্ধ থাকায় একজন মুমুর্ষূ রোগীকে হাসপাতালে নিতে গেলেও অনেক বিরম্বনার শিকার হতে হয়। বিকল্প রাস্তা তৈরী করে পথচারীদের চলাচলের এই দীর্ঘদিনের সমস্যার স্থায়ী সমাধানের দাবি জানান ভূক্তভোগীরা।
ওই সড়কে চলাচলকারী অটোযাত্রী হারুন মিয়া জানান, বিভিন্ন পরীক্ষা চলাকালিন সময়ে দু’পাশের গেইট বন্ধ থাকায় বছরের প্রায় অর্ধেক সময় চার কিলোমিটার ঘূরে বা বিভিন্ন লোকজনের বাড়ির উঠান দিয়ে তাদের চলাচল করতে হয়। অটোচালক ইব্রাহীম জানান, সরকারী এই সড়কটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত এই রাস্তা দিয়ে যানবাহন চলাচল করে। পরীক্ষা চলাকালিন সময়ে দুই পাশের গেইট বন্ধ রাখার কারণে যাত্রীদের নিয়ে থানামোড় হয়ে প্রায় চার কিলোমিটার ঘূরে চলাচল করতে হচ্ছে।
ভালুকা পৌরমেয়র ডা. একেএম মেজবাহ উদ্দিন কাইয়ূম জানান, এলাকাবাসির সাথে কথা বলে মাদরাসার পিছন দিয়ে বিকল্প রাস্তা তৈরীর জন্য ইতোমধ্যেই মাটি ফেলার কাজ চলছে। আশা করি কিছুদিনের মধ্যেই স্থানীয়দের দীর্ঘদিনের ওই সমস্যার সমাধান হবে।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply