মানস বন্দ্যোপাধ্যায় ভারতঃ একেবারে সত্যি কথা। আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়াতে একটি গ্রাম রয়েছে তার প্রতিটি পরিবারের বাড়ির বাইরে রয়েছে বিশাল হ্যাঙার বা গ্যারেজ। তাতে সকলেরই বিমান রাখা থাকে।গ্রামের এই সব পরিবারের মধ্যেই রয়েছেন একজন করে দক্ষ পাইলট।
দৈনন্দিন যাতায়াতের ক্ষেত্রে আমরা সাধারণত সাইকেল, বাইক কিংবা গাড়ি সহ অন্যান্য পরিবহণ মাধ্যমের ওপর নির্ভর করি। কিন্তু,আমেরিকার এই গ্রামের মানুষের জীবন যাপন সকলের চোখ কপালে তুলে দেবে। কারণ, ওই গ্রামে যাতায়াতের ক্ষেত্রে সকলেই বিমানের ওপর নির্ভরশীল। শুধু তাই নয়, ওই শহরের প্রতিটি ঘরে রয়েছে বিমানও। যার ফলে সেখানকার বাসিন্দারা অফিসে যাওয়াই হোক কিংবা বাইরে খেতে যাওয়া, প্রতিটি ক্ষেত্রেই বিমানে চেপে যাতায়াত করেন।
প্রতিটি বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে থাকে বিমান: আমেরিকার এই গ্রামটি ক্যালিফোর্নিয়ায় । যেখানে দেখা যায় প্রতিটি বাড়ির সামনে একটি বিমান দাঁড়িয়ে রয়েছে। মূলত, আমরা যেভাবে গাড়ির ব্যবহার করি সেখানকার বাসিন্দারা ঠিক সেভাবেই বিমানকে যাতায়াতের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করেন। ইতিমধ্যেই এই গ্রাম সম্পর্কিত একাধিক ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। তারপরেই এই গ্রামটি উঠে আসে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। রাস্তাগুলিও রানওয়ের মতো: উল্লেখযোগ্য, ক্যালিফোর্নিয়ার এই অনন্য গ্রামের নাম হল ক্যামেরন এয়ার পার্ক। এটিকে গ্রাম বলা হলেও সুযোগ-সুবিধার দিক থেকে ক্যামেরন এয়ার পার্ক শহরগুলিকেও হার মানিয়েছে। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ওই গ্রামের রাস্তাগুলিও অনেক চওড়া করে তৈরি করা হয়েছে। যাতে বিমান ওড়ার সময় সেগুলি রানওয়ে হিসেবে ব্যবহার করা যায়। শুধু তাই নয়, ওই এই গ্রামের প্রতিটি বাড়ির বাইরে গ্যারেজের মতো হ্যাঙ্গার (বিমান পার্কের জায়গা) রয়েছে। যেখানে সেখানকার বাসিন্দারা তাঁদের বিমান পার্ক করে রাখেন।
এদিকে মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে জানা গিয়েছে, সেখানে বসবাসকারী বেশিরভাগ মানুষই পাইলট। যার ফলে তাঁরা নিজেরাই তাঁদের বিমান চালান। মূলত, সেটি একটি ফ্লাইং কমিউনিট। শনিবার সকালে সেখানে সবাই একত্র হন এবং স্থানীয় বিমানবন্দরে চলে যান।
বিভিন্ন অবসরপ্রাপ্ত পাইলটরা এখানে থাকেন: শুধু তাই নয়, এই প্রসঙ্গে মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে আরও জানা গিয়েছে, আমেরিকায় এমন ৬১০ টি এয়ার পার্ক রয়েছে। যেখানে প্রতিটি বাড়িতে প্লেন রয়েছে। এই রেসিডেন্সিয়াল এয়ার পার্কগুলি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নির্মিত এয়ারফিল্ড থেকে তৈরি। অবসরপ্রাপ্ত পাইলটরা এখানে থাকেন। জানিয়ে রাখি যে, ১৯৪৬ সালে আমেরিকায় মোট ৪ লক্ষ পাইলট ছিলেন। যাঁরা এই এয়ার পার্কগুলিতে থাকতে শুরু করেন। ১৯৬৩ সালে নির্মিত ক্যামেরন পার্কে মোট ১২৪ টি বাড়ি রয়েছে। এমনকি, সেখানে রাস্তার নামও বিমানের নামে রাখা হয়েছে এবং রাস্তার চিহ্নগুলিকেও “এয়ারক্রাফট ফ্রেন্ডলি” হিসেবে করা হয়েছে।আমাদের এখানে এমন কিছু রাজ্য রয়েছে, যেখানে গ্রাম তো দূরের কথা শহর গুলির রাস্তাঘাট ও নরকের মতো। যেখানে গাড়ি কেন হাতিও ঠিক মতো চলতে পারেনা।তবুও আমরা নাকি খুবই উন্নত দেশ।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply