বাংলাদেশে থাকা মার্কিন দূত পিটার হাস বাংলাদেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার কাজি হাবিবুল আওয়ালের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন। তিনি আশা প্রকাশ করেছিলেন যাতে সবপক্ষ আলোচনায় বসে টেনশন কমানোর ব্যবস্থা করেন। বিষয়টি নিয়ে কড়া জবাব দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশে থাকা মার্কিন রাষ্ট্রদূত সম্প্রতি আবেদন করেছিলেন যাতে সবপক্ষ আলোচনায় বসে শান্তিপূর্ণ ভোটের পথ তৈরি করেন। তবে এবার তা নিয়ে মুখ খুললেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, বাইডেন (মার্কিন প্রেসিডেন্ট) কি মিস্টার ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনায় বসেন? যদি বাইডেন ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনায় বসেন তবে আমিও আলোচনায় বসব। এক সাংবাদিক বৈঠকে তিনি একথা জানিয়েছেন।
বাংলাদেশে থাকা মার্কিন দূত পিটার হাস বাংলাদেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার কাজি হাবিবুল আওয়ালের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন। তিনি আশা প্রকাশ করেছিলেন যাতে সবপক্ষ আলোচনায় বসে টেনশন কমানোর ব্যবস্থা করেন। অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোটের ব্যাপারে তিনি কথা করেছিলেন।
এরমধ্যেই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছিলেন বাংলাদেশের মানুষ চান না যে কোনও হত্যাকারীর সঙ্গে আলোচনায় বসতে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছিলেন, হত্যাকারীর সঙ্গে কোনো আলোচনার ব্যাপার নেই। এটা বাংলাদেশ। বাংলাদেশের মানুষ হত্যাকারীদের সঙ্গে কোনও আলোচনা চান না। নির্বাচন হবে। আর সেই ভোট যথা সময়েই হবে।
প্রধানমন্ত্রী বিএনপিকে কার্যত কাঠগড়ায় তুলেছেন। তাঁর মতে, বিএনপি জাতীয় নির্বাচনের আগে অস্থির পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করছে। তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, আসলে বিএনপি ভোট হোক এটা চায় না। ওরা চাইছে একাট অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি করতে। তাঁর মতে, বিএনপি একটা জঙ্গি দল। জঙ্গি দল হিসাবেই তাদের উপযুক্ত শিক্ষা দিতে হবে।
তবে শেখ হাসিনার বক্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি সাফ জানিয়েছেন, যেদিন ট্রাম্প আর বাইডেনের মধ্যে ডায়ালগ হবে সেদিন আমি ডায়লগ করবো বিএনপির সঙ্গে।
প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, নির্বাচন যথাসময়েই হবে। কে চোখ রাঙাল, কে চোখ বাঁকাল আমরা তার পরোয়া করি না। কারণ অনেক সংগ্রাম করে, আন্দোলন করেই আমরা বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছি। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, আওয়ামি লিগ সরকার থাকলে যে দেশের উন্নতি হয় সেটা আপনারা নিশ্চয়ই বিশ্বাস করেন। তাঁর প্রশ্ন খুনীদের সঙ্গে কীসের ডায়ালগ?
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply