ক্রেতাদের নাগালে নেই মাছ-মাংস, ডিম-সবজি কোনোকিছুই! এতে ভোক্তাদের অস্বস্তি বেড়েই চলেছে প্রতিদিন! নিত্য পণ্যের দামের চলছে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা! কমার কোনো লক্ষণ নেই! এতে মারাত্মক নাজেহাল অবস্থা সাধারণ মানুষের।
গত কয়েক সপ্তাহে কেরানীগঞ্জ ও রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে দামের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে প্রায় প্রতিটি পণ্য। যতোটা না দাম কমেছে, তার চেয়ে বেড়েছে কয়েকগুণ বেশি। যার প্রমাণ মেলে সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবির) তথ্যেও।
টিসিবির তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত এক মাসের ব্যবধানে বাজারে মোটা চালের দাম ১.৮৭ শতাংশ, ব্রয়লার মুরগি ১২.১২ শতাংশ, ফার্মের ডিম ৫.৭১ শতাংশ ও মুগ ডাল ৯.৬৮ শতাংশ বেড়েছে। অন্যান্য পণ্যের দামও আকাশ ছোঁয়া।
বর্তমান বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে মাছ-মাংস, ডাল-চাল, মসলা ও সবজি মিলিয়ে একদিনের বাজারের খরচ হিসাব করলে দেখা যায়, প্রতিকেজি মোটা চাল কিনতে ৪৮-৫০ টাকা, পাঙাশ বা তেলাপিয়া ১৮০-২৪০ টাকা, আলু ৫৫ টাকা, পেঁয়াজ ১১০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ২০০ টাকা, মরিচ (৫০০ গ্রাম) ১৬০ টাকা, মোটা মসুর ডাল ১০৫-১১০ টাকা ও তেল (খোলা) ১৬০ টাকা। এটুকু কিনলেই হাজার টাকা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, সাম্প্রতিক বন্যা-বৃষ্টি ও রাজনৈতিক পরিস্থিতির অস্থিতিশীলতায় বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম। তারা বলেন, অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে। সরকার সব সময় করপোরেটদের সঙ্গে নিয়ে ডিমের বাজার নিয়ন্ত্রণের আলোচনা করেন, এখানে প্রান্তিক খামারিদেরও মতামত নিতে হবে।
বহুজাতিক কোম্পানির ফিড ও মুরগির বাচ্চার সিন্ডিকেট ভাঙতে পারলে মুরগি ও ডিমের উৎপাদন খরচ কমে আসবে জানান ব্যবসায়ীরা, এতে বাজারে দাম কমে যাবে। প্রান্তিক খামারিরাও ন্যায্য মূল্য পাবে, ভোক্তারাও ন্যায্যমূল্যে ডিম-মুরগি কিনতে পারবেন।
অর্থনীতিবিদ ও বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, ঊর্ধ্বমুখী বাজারে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। বাজার নিয়ন্ত্রণে দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ না নিলে মানুষের কষ্ট আর বাড়বে। বাজারে লাগামহীন নিত্যপণ্যের দাম। এতে ব্যয় বাড়ছে সাধারণ মানুষের। ঊর্ধ্বমুখী এ দামে সংসার চালাতেও হিমশিম খেতে হচ্ছে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তদের।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply