৭ মার্চের ভাষণ দিয়ে, তোমাকে নিয়ে গেল অন্তরালে;
তোমার ঐ তর্জনীতে বাংলার দামাল ছেলেরা;
মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিল!
কত মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হলো, পাক হানাদার বাহিনী স্যারেন্ডার করলো।
ইন্দিরা গান্ধীর কুটনৈতিক সফলতায় দেশে আসলেন বঙ্গবন্ধু,
দায়িত্ব নিলেন দেশ পরিচালনার।
নিঝুম রাতে প্রিয়তমা রেনুর পাশে বসে মুক্তিযুদ্ধের অন্তরালের ইতিহাস শুনতেন,
আর ভাবতে থাকেন দেশের জন্য কি কি করতে হবে।
সেই থেকেই জাতির পিতার উন্নয়নের ভাবনা শুরু হল।
কিন্তু হঠাৎ; জামায়াত রাজাকার আলবদর দেশ বিরোধী অপশক্তি কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে দেশটাকে নিয়ে যেতে চাইল দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে!
এতেও ভীত হয়নি বীর বাঙ্গালী।
জাতির পিতা সমৃদ্ধির ডাক দিলেন, কৃষি ও শিল্প উৎপাদনে উজ্জিবিত করেছিলেন।
তখনই সাম্রাজ্যবাদীদের সাথে আঁতাত করে পাকিস্তান বাংলার বখেযাওয়া সামরিক জওয়ানদের লোভে ফেলে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার নীলনকশা প্রনয়ন করে!
বিষয়টি দেশী বিদেশী গোয়েন্দা সংস্থা জাতির পিতাকে সতর্ক করে!
কিন্তু, বিশাল মনের অধিকারী বঙ্গবন্ধু সেসবের কিছুই পাত্তা দেননি।
তিনি ছিলেন ভালোবাসার মহা সমুদ্র,
বলতেন, এটা হতে পারে না! ওরা আমার সন্তান। আর সন্তান কখনো পিতাকে হত্যা করতে পারে না।
অতঃপর, সেই বিভীষিকাময় নির্মম ১৫ আগষ্ট কাল রাত্রী! নিথর রক্তাক্ত ১৯ টি লাশ।
দেশ পিছিয়ে গেল দির্ঘ ২৬ বছর!
বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা দেশে আসলেন। হাল ধরলেন জাতির জনকের হাতে গড়া সংগঠন আওয়ামীলীগের।
এরপর, সামরিক স্বৈরশাসকদের পরাজিত করে দেশ গঠনের প্রত্যায়ে বাংলার শাসনভার গ্রহণ করলেন।
তাইতো আজ আমার বাংলা বিশ্বের বিশ্বয়।
উন্নয়নের রোল মডেলে।
পদ্মা সেতু, মেট্রো রেল, নদীর তলদেশে ট্যানেল, উড়াল সড়ক, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ আরো কতো উন্নয়ন!
এখন, সেই জান্তাদের আক্ষেপ! ওদের দেশের জনতা বলে, আমাদের বাংলাদেশ বানিয়ে দাও!
আমি অপেক্ষায় আছি, সেই দিনের।
জামায়াত, বিএনপিসহ সকল পরাজিত শক্তি সমস্বরে বলবে,
বঙ্গবন্ধু জাতির পিতা,
জয় বাংলা।
মোহাম্মদ শাহিদুজ্জামান পলাশ
সাংবাদিক, কবি ও লেখক।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply