নিজস্ব প্রতিনিধিঃ অবৈধ ভাবে প্রকাশিত ঢাকার পত্রিকা দৈনিক ইয়াদ ও অবৈধ সম্পাদক তোফাজ্জল এবং অপসাংবাদিক নাসরিনের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নিতে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপারকে নির্দেশনা দিয়েছে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট। সাজাপ্রাপ্ত আসামী লম্পট তোফাজ্জল ও তার রক্ষিতা নাসরিনের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ পূর্বক নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে প্রতিবেদন প্রেরণের নির্দেশনাটি জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের পক্ষে সিনিয়র সহকারী কমিশনার আরাফাত মোহাম্মদ নোমান স্বাক্ষর করেন। অভিযোগের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনাটি গত ১৫ নভেম্বর জারী হয়।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ জয়নাল আবেদীনের ছেলে নাদিম হোসেন অপসাংবাদিকতার বিরুদ্ধে সাজাপ্রাপ্ত আসামী তোফাজ্জল ও তার রক্ষিতা নাসরিনের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নিতে সুদুর প্রবাস দুবাই থেকে নারায়ণগঞ্জ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। লিখিত অভিযোগে বলা হয় অসৎ উদ্দেশ্য ও চাঁদা আদায়ের জন্য নাদিমের পরিবারের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র করে মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করে মান সম্মান ক্ষুন্ন করেছে। আজেবাজে এবং অশ্লীল শব্দ ব্যবহার করে উল্টা পাল্টা শিরোনাম দিয়ে ভুয়া সংবাদ প্রচার করে সমাজে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে। ঢাকা শান্তি নগরের চামেলিবাগ এর দৈনিক ইয়াদ পত্রিকাটি নারায়ণগঞ্জ এসএম মালেহ রোড, টানবাজার থেকে নারীখেকো তোফাজ্জল হোসেন অবৈধ ভাবে পত্রিকাটির ভুয়া সম্পাদনা করে মানুষের চরিত্র হনন করছে। তোফাজ্জল ও তার অন্যতম সহযোগী নাসরিন আক্তারের অবৈধ সম্পর্ক আছে বলে সারা নারায়ণগঞ্জেই জানে। তাদের অসামাজিক কার্যকলাপ সহ অবৈধ কর্মকান্ড এখন টক অব দ্যা টাউন। লিখিত অভিযোগে বলা হয় বিভিন্ন বিশিষ্ট জনকে টার্গেট করে ব্ল্যাকমেইলিংয়ের মাধ্যমে চাঁদাবাজি করে আসছে তোফাজ্জল ও নাসরিন। অথচ এই তোফাজ্জলের নারী কেলেঙ্কারিসহ একাধিক বিয়ে করা এবং স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াত ইসলামীর সাথে জড়িত। চাঁদাবাজিসহ মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের জন্য যৌথবাহিনী তোফাজ্জলকে আটক করে চাঁদাবাজির মামলা দিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করেছিল। ঐ মামলায় তোফাজ্জলের জেল হয়েছিল। নাদিম ও তার স্ত্রী মিতা প্রধান দুবাইয়ে সুখে-শান্তিতে বসবাস করলেও বিভিন্ন মাধ্যমে মোটা অংকের টাকা চাঁদা আদায়ের জন্য হুমকী ধামকী দেয়। এছাড়াও তোফাজ্জল ও নাসরিনের ফেসবুক আইডিতে অপপ্রচার চালায়। এতে করে সম্মানহানীর পাশাপাশি নাদিমের বৈধ ও বিবাহিত স্ত্রী মিতা প্রধানকে নিয়ে আজেবাজে মন্তব্য এবং ভিত্তিহীন তথ্য উপস্থাপন করে একজন নারীকে যেভাবে অসম্মান করা হয়েছে তা অত্যন্ত নিন্দনীয় ও জঘন্য কাজ। সাংবাদিকতার নামে অপসাংবাদিকতা করছে তারা। উল্লেখিত লিখিত অভিযোগটি সুদুর প্রবাস থেকে নারায়ণগঞ্জ জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের ই-মেইলে প্রেরণ করলে গত ১৫ নভেম্বর জুডিশিয়াল মুন্সিখানা শাখা থেকে ১১৮৯ স্মারকে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপারকে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এবং জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে প্রতিবেদন প্রেরণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের পক্ষে সিনিয়র সহকারী কমিশনার।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply