নিজস্ব প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় খাবারের সাথে চেতনা নাশক ঔষধ মিশিয়ে দুটি ব্যবসায়ী পরিবারের সদস্যদের অচেতন করে এক পরিবারের সব কিছু লুট করেছে দূর্বৃত্তরা। এতে মন্টু নামের একজনের অবস্থার অবনতি হলে তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে আনোয়ারা জাহাঙ্গীর ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, গত সোমবার দিবাগত রাতে উপজেলার সোনাহাট স্থলবন্দরের আমদানি রপ্তানি কারক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম এবং গত বুধবার বিকেলে সোনাহাট বাজারের ব্যবসায়ী মজিবর রহমান মন্টুর বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।এ ঘটনায় এলাকাবাসী ও সোনাহাট স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।তারা উভয়েই সোনাহাট ইউনিয়নের বানুরকুটি গ্রামের বাসিন্দা।
ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম জানান, সোমবার রাতে শ্বশুর বাড়ির মেহমানসহ রাতের খাবার খেয়ে বাসার সকলে ঘুমিয়ে পড়ি। পরদিন (মঙ্গলবার) সকাল আটটার দিকে ঘুম ভাঙ্গে। ওঠে দেখি বাসার মেইন গেট ও ঘরের দরজা ভাঙা। মধ্যরাতে কে বা কাহারা গেট ও ঘরের দরজা মেশিন দিয়ে কেটে ঘরে প্রবেশ করে নগদ সাড়ে তিন লক্ষ টাকা ও আমার স্ত্রীর স্বর্ণের যাবতীয় গহনাসহ মূল্যবান জিনিস লুট করে নিয়ে যায়। চেতনা নাশকের ক্রিয়ায় মেহমানসহ আমরা বাড়ির সকলে ঘুমে এতোই অচেতন ছিলাম যে দরজা ও গ্রিল কাটার কোন শব্দ শুনতে পাইনি।
এ বিষয়ে ভূরুঙ্গামারী থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছি।অপরদিকে মন্টুর পরিবার জানায়, বুধবার তাদের ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানের হালখাতা ছিলো। হালখাতায় আগত মেহমানদের জন্য খিচুড়ি খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। পরে বিকেলে বাড়ির সকলে খিচুড়ি খেয়ে মন্টু নিজে তার স্ত্রী, সন্তান, বোন, ভাগনিসহ পরিবারের ৮ জন সদস্য অচেতন অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়ে। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ আবু সাজ্জাদ মোহাম্মদ সায়েম জানান, ঘুমন্ত অবস্থায় রোগীকে হাসপাতালে আনা হয়। ধারণা করা হচ্ছে ঘুমের ঔষধ কিছু খাবারের সাথে মিশিয়ে খাওয়ানো হয়েছিল। আমি রোগীর সাথে কথা বলেছি। এখন তিনি শঙ্কা মুক্ত আছেন।এদিকে ভূরুঙ্গামারী থানার ওসি রুহুল আমিন বলেন, এ বিষয়ে শফিকুল ইসলামের একটি লিখিতঅভিযোগ পেয়েছি এবং মন্টুর পরিবারকে থানায় আসতে বলেছি। আমাদের তদন্ত টিম মাঠে কাজ করছে। তদন্ত রিপোর্ট পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশ তৎপর রয়েছে খুব শীঘ্রই দুর্বৃত্তরা ধরা পরবে।
-ফাহাদ মোল্লা
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply