February 12, 2025, 2:36 pm

তথ্য ও সংবাদ শিরোনামঃ
যশোর গদখালীতে ১০০ কোটি টাকার ফুল বিক্রির প্রস্তুতি চলছে। অপারেশন ডেভিল হান্ট ভালুকায় আরো দুইজন গ্রেপ্তার যশোরের ভৈরব নদে তলা ফেটে সারবোঝাই জাহাজ ডুবেছে। যশোর আওয়ামীপন্থি চার শিক্ষক বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তার দুর্নীতি তদন্তে কমিটি বেনাপোল আমদানি কমলেও গত ৬ মাসে রাজস্ব আহরণ বেড়েছে ১৬ শতাংশের বেশি। বেনাপোল স্হল বন্দর দিয়ে ধর্মঘট শেষে ফল, আমদানি শুরু দামও কমছে পরানটা যে পোড়ে বইয়ের মোড়ক উন্মোচন ২ মার্চ রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের জন্য মুক্তিযোদ্ধা উপদেষ্টা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির কাছে স্মারক লিপি দিলেন হৃদয়ে পতাকা ২ মার্চ ফ্যাসিস্টদের মত অর্থনীতিকে ধ্বংস না করার আহবান যে ৩২ নম্বর থেকে গুম খুনের নির্দেশ যেতো তা ভেঙ্গে ফেলা ঠিক হয়েছে……জয়নুল আবেদিন ফারুক ময়মনসিংহে ঘরের তালা ভেঙে লুটপাট ও ভাংচুর জমি দখলের চেষ্টা, থানায় অভিযোগ। ময়মনসিংহে তালা ভেঙে বসত ঘরে লুটপাট, থানায় অভিযোগ প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে নির্বাচন চায় এনসিবি। রাষ্ট্রপতি জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত করা সংসদ নির্বাচনের দিন দুটি আলাদা ব্যালট পেপারে রাষ্ট্রপতি ও সংসদ সদস্য পদে দুটি ভোট প্রদান করা। যশোর ভেঙে ফেলা হলো শেখ মুজিবুর রহমানের দেশের সব থেকে বড় ম্যুরালটি চণ্ডীঘাটে বরাকের কুম্ভমেলা ভারতীয় বায়ুসেনা সমেত বহু গোষ্ঠীর মিলনমেলা হয়ে উঠেছিল অনন্য পিকনিক স্পট। পল্লবীতে সেনাবাহিনীর সদস্য পরিচয়ে চুক্তিতে অবৈধভাবে ফ্ল্যাট দখলের চেষ্টা, গ্রেফতার ১৩ ভালুকা সরকারি কলেজ ছাত্র দলের স্মারক লিপি প্রদান। ভালুকায় যুবদলের বিক্ষোভ মিছিল ময়মনসিংহে কৃষকদলের প্রস্তুতি সভা। আওয়ামী দুঃশাসনে ক্ষতিগ্রস্থ প্রবাসী পরিবার’২৪” (নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি) বেনাপোল স্থল বন্দর দিয়ে ভারতীয় ফল আমদানি বন্ধ। বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হওয়ায় রাজীবকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান পশ্চিম আইলপাড়ার তরুণ প্রজন্ম। মাওলানা আবদুস সাত্তার একজন প্রাজ্ঞ শিক্ষাবিদ চিন্তাবিদ ও সমাজ সেবক ছিলেন ……মাওলানা ইয়াসিন আরাফাত ভালুকায় লিফলেট বিতরণ করার সময় ছাত্রলীগ কর্মী আটক। চাঁপাইনবাবগঞ্জের রোকনপুর সীমান্ত থেকে ৪ বাংলাদেশীকে আটক করার অভিযোগ। টঙ্গীবাড়ী অনলাইন প্রেসকাবের কমিটি গঠন সভাপতি বিপ্লব সম্পাদক আপন। জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবির আবারো আলোচনায় ….. হামদুল্লাহ আল মেহেদী যুবদল নেতা তৌহিদুল ইসলাম এর মৃত্যুর কারণ জাতির সামনে ৭২ ঘন্টার মধ্যে প্রকাশ করতে হবে: মঞ্জুর হোসেন ঈসা ঘন কুয়াশায় সাড়ে দশ ঘন্টা বন্ধ থাকার পর ফেরি চলা শুরু দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে

বাঙালিকে ধর্মের আফিম খাইয়ে দূর্বল ও ধ্বংস করা হয়েছে তারই ধারাবাহিকতায় বারবার বাংলাকে টুকরো করা হয়েছে।

বাঙালিকে ধর্মের আফিম খাইয়ে দূর্বল ও ধ্বংস করা হয়েছে তারই ধারাবাহিকতায় বারবার বাংলাকে টুকরো করা হয়েছে।

মানস বন্দ্যোপাধ্যায়, ভারত প্রতিনিধিঃ অতীতের ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায় অবিভক্ত ভারতের অর্ধেক জুড়েই ছিল বাঙালির বিস্তীর্ণ ভূমি। আজকের দুই বাংলা, বিহার,আসাম, ওড়িশা, ত্রিপুরা বাংলার অন্তর্ভুক্ত ছিল। বাঙালির প্রগতি, বুদ্ধিমত্তার পরিচয় পেয়ে প্রথম ব্রিটিশ শাসক বাঙালির বিরুদ্ধে চক্রান্ত শুরু করে।১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ চক্রান্ত ভারতীয় জাতীয়তাবাদীদের তীব্র বিরোধিতার সম্মুখীন হওয়া সত্ত্বেও, ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসাবে  চিহ্নিত। ব্রিটিশ ভারতের ভাইসরয় লর্ড কার্জন বিস্তীর্ণ প্রদেশে শাসন ব্যবস্থার উন্নতির একটি উপায় হিসেবে বিভাজনের প্রস্তাব করেছিলেন। ১৭৬৫  সাল থেকে বাংলা, বিহার এবং উড়িষ্যা একটি ঐক্যবদ্ধ অঞ্চল ছিল, কিন্তু ১৯০০ সাল নাগাদ এর আয়তন নিয়ন্ত্রণের অযোগ্য হয়ে পড়ে।

বঙ্গভঙ্গের পটভূমি
বাংলা, প্রদেশের মধ্যে বর্তমান পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ওড়িশা, বাংলাদেশ এবং আসাম অন্তর্ভুক্ত ছিল। এই বিশাল বাংলা ১৭৬৫ সাল থেকে ব্রিটিশ শাসনের অধীনে ছিল।প্রদেশটি তার বৃহৎ আকার এবং দ্রুত বর্ধমান জনসংখ্যার কারণে প্রশাসনের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে ওঠে।বাংলার পূর্বাঞ্চলের গ্রামীণ এলাকাগুলি শিল্প, শিক্ষা এবং কর্মসংস্থানের দিক থেকে অবহেলিত ছিল। কিন্তু বেশির ভাগ উন্নয়ন ছিল কলকাতাকে কেন্দ্র করে।লর্ড কার্জন ভারতে আসার আগেই প্রশাসনিক সুবিধার জন্য প্রদেশটিকে বিভক্ত করার ধারণাটি বিদ্যমান ছিল। ১৮৭৪  সালে আসামকে পৃথক করা হয়েছিল।প্রাথমিকভাবে, কার্জন একটি সম্পূর্ণ প্রশাসনিক ব্যবস্থা হিসাবে বিভাজনের প্রস্তাব করেছিলেন কিন্তু পরে এটিকে ক্রমবর্ধমান জাতীয়তাবাদকে দুর্বল করার একটি রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসাবে দেখেছিলেন।তার প্রস্তাবিত বিভাজনের ফলে দুটি প্রদেশ হবে: বাংলা (পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা এবং বিহার সহ) এবং দ্বিতীয়টি পূর্ববঙ্গ ও আসাম।বাংলা কেন্দ্রীয় প্রদেশের কাছে পাঁচটি হিন্দি-ভাষী রাজ্য হারাবে কিন্তু একই অঞ্চল থেকে ওড়িয়া-ভাষী রাজ্যগুলি পাবে।পূর্ব বাংলায় পার্বত্য ত্রিপুরা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী এবং ঢাকা বিভাগ থাকবে যার রাজধানী হবে ঢাকা।বাংলায় হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ থাকবে, আর পূর্ব বাংলা এবং আসামে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ থাকবে। কলকাতা থাকবে  বাংলার রাজধানী। পূর্ব বাংলার রাজধানী হবে ঢাকা। লর্ড কার্জনের ফর্মুলা অনুযায়ী গায়ের জোরে বাংলাকে প্রথম দু টুকরো করা হলো।

বঙ্গভঙ্গের কারণ

১৯০৫  সালে, ভারতে ব্রিটিশ প্রশাসক লর্ড কার্জন ১৬  অক্টোবর বঙ্গভঙ্গ কার্যকর করেন। এই বিভাজনের পিছনে মূল উদ্দেশ্য ছিল বাঙালির নেতৃত্বে ক্রমবর্ধমান অশান্তির ফলে বাঙালিকে দুর্বল করা। যদিও প্রাথমিকভাবে বলা হয়েছে প্রশাসনিক শাসন ব্যবস্থার সুবিধার কথা।  বাংলা, একটি উল্লেখযোগ্য জনসংখ্যার একটি বিশাল প্রদেশ হওয়ায়, পূর্বাঞ্চলে আরও সুগম ও দক্ষ শাসন কাঠামো প্রতিষ্ঠার জন্য বিভক্ত করা হয়েছিল।এই বিভাজনের ফলে তীব্র বিক্ষোভের সূচনা হয়।বাংলা বিভাগ সমগ্র অঞ্চলে উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক অস্থিরতা ও বিরোধিতার সম্মুখীন হয়েছিল।বাঙালিরা বিভক্তিকে তাদের দেশের অপমান হিসেবে দেখে এবং বাংলার পুনর্মিলনের আহ্বান জানায়।ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস, সেই সময়ের একটি বিশিষ্ট রাজনৈতিক সংগঠন, জাতিগত ভিত্তিতে বিভাজনের নিন্দা করেছিল।প্রদেশের পশ্চিমাঞ্চলের সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙালিরা এই পরিবর্তনের বিরোধিতা করেছিল কারণ এটি তাদের প্রদেশের মধ্যে একটি ভাষাগত সংখ্যালঘুতে পরিণত হবে।অনেক বাঙালি মুসলমান দেশভাগকে সমর্থন করেছিলেন , কারণ তারা বিশ্বাস করেছিলেন যে এটি নতুন প্রদেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে তাদের শিক্ষাগত, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক স্বার্থকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।ঢাকায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য লর্ড কার্জনের প্রতিশ্রুতি মুসলমানদের জন্য তাদের শিক্ষা ও জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের একটি সুযোগ হিসেবে দেখা হয়েছিল।বঙ্গভঙ্গকে ব্রিটিশ সরকার তাদের “ভাগ করো এবং শাসন করো”  অর্থাৎ ” Divide  and Rule” কৌশল বাস্তবায়নের জন্য নিযুক্ত একটি কৌশল হিসাবে গ্রহণ করেছিল, যা বাঙালি এবং জাতীয়তাবাদীদের মধ্যে দেশপ্রেমিক অনুভূতিকে দুর্বল করে দিয়েছিল। তারপর থেকেই বাঙালিকে বিভিন্ন জাতি গোষ্ঠী এক স্থান থেকে ভিন্ন স্থানে ধাক্কা দিতে দিতে দুর্বল ও আরো বিভাজনের দিকে ঠেলে নিয়ে গেছে। শুধু আসাম,বিহার, ত্রিপুরা ওড়িশাই নয়, এর বাইরেও ছোট্ট অবিভক্ত বাংলাকে ব্রিটিশের পদ লেহানকারী  জওহারলাল নেহরু, কায়েদি আজম জিন্নাহ ও গান্ধী ধারালো ধর্মের করাত দিয়ে দুটুকরো করলেন। বাঙালির মেরুদন্ডকে ভেঙে দেওয়া হলো। বাঙালির পরিচয় আর বাঙালি হিসাবে রইলো না। বাঙালি হিন্দু,বাঙালি মুসলমান। রাম এবং রহিমের মধ্যে লড়াই। বিদ্রোহী কবি নজরুল ইসলাম এবং বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মধ্যে যেন একটা প্রাচীর ঘেরা হলো। ছোট বেলায় যে চাচার কোলে বসে আম খেয়েছি, যে চাচা আমাদের বাড়িতে এসে ঢেঁকি শাক, লাউ শাক দিয়ে গেছেন। অঙ্গনে বসে দৈ চিড়া খেয়ে গেছেন,সেই মুসলিম চাচা ও হিন্দু ভাতিজার সম্পর্কে ফাটল ধরেছে। গ্রামের হাটখোলার অদূরে বিকালের স্তব্ধ পরিবেশকে প্রাঞ্জল করে যখন আজানের শব্দ কানে আসতো, তখন মসজিদের আসে পাশে রোহন, আসিফের সঙ্গে আমরা ঘুরতাম। আমাদের চা বাগানের দুর্গা ও কালী মূর্তি তৈরি করতেন রহমত আলী চাচা। পুজোয় আসতেন পরিবার নিয়ে।কেউ আপত্তি তোলেনি। কিন্তু ক্রমশ একশ্রেনীর ব্রাহ্মণ ও মোল্লারা ধর্মের অপব্যাখ্যা করে এমন নেশাগ্রস্ত করে দিলেন,যার জন্য আজো ফেলে আসা নিজের মাটির জন্য চোখ ফেলা হিন্দু বাঙালিকে শুনতে হচ্ছে, জমি গেছে,ভিটে গেছে,  বিভক্ত বাঙালি হিন্দুর পুরোহিতের গলা কাটা হচ্ছে। মহিলাদের গনিমতের মাল করা হচ্ছে। মন্দির পুড়ছে,মূর্তি ভাঙচুর হচ্ছে। তাই মনে হচ্ছে বাঙালি শুধু দু টুকরোই হয়নি, নিজেরাও একদিন ইতিহাস হয়ে যাবে।দুই বাংলা যদি ভাগ না হতো তাহলে জনসংখ্যার এবং আয়তনের বিচারে ভারতে বাংলার লোকসভা আসনের সংখ্যা ১০০ হয়ে যেতো। বর্তমানে উত্তর প্রদেশের আসন সংখ্যা ৮০ টি। তাই ভারতীয় রাজনীতিতে উত্তর প্রদেশের আসল চাবিকাঠি। এটা অবিভক্ত ভারত হলে বাঙালি ভারতে প্রধান মন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী হতেন। আর সেটিকে চিরকালের জন্য রুখে দিতে  উত্তর প্রদেশের জওহরলাল নেহরু বাঙালিকে কেটেছিলেন। হায়রে বাঙালি সেই চক্রান্ত ধরতে পারে নি ধর্মের কালো চশমা পড়ায়। ঠিক পাকিস্তানও একই ফর্মুলা অনুযায়ী কাজ করেছিল। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে পাকিস্তানের সংসদে সংখ্যা গরিষ্ঠ সদস্য নির্বাচনে জয়ী হওয়া সত্বেও শাসন ক্ষমতা তুলে দেয় নি। নির্মম অত্যাচার করে ইসলামকে কলুষিত করেছে। বাঙালি তবুও জাগবে না। হিন্দু ,মুসলীম বাঙালির পরিচয়ে স্বত্বা ও আসল অস্তিত্ব হারাতে চলেছে।

আমাদের প্রকাশিত তথ্য ও সংবাদ আপনার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)

Design by Raytahost.com