September 8, 2024, 1:00 am

তথ্য ও সংবাদ শিরোনামঃ
জাতীয় সঙ্গীত নয়, অর্থনীতি নিয়ে ভাবনার আহবান নতুনধারার ছাত্রজনতার উপর গুলিবর্ষণকারী অয়ন ওসমানের দোসর যমজ ভাই রাজিব সজিব এখনও অধরা বেনাপোল সীমান্তে বিজিবির পৃথক অভিযানে এলএসডি ও ফেনসিডিলসহ আটক ১জন সংবাদ সম্মেলন করেছে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (বিটিএ)। বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ নূর মোহাম্মদ শেখএর ৫৩তম শাহাদাত বার্ষিকী পালিত হয়েছে। চলমান সহিংসতা, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হয়রানীমূলক অভিযোগ ও চাকুরীচ্যুত ভালুকায় ইন্টারনেট সেবার মালামাল লুট, থানায় অভিযোগ আসন্ন দুর্গা পুজায় সেনাবাহিনী মোতায়নের সিদ্ধান্তে অভিনন্দন জানিয়েছেন ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ভাসানী) সারাদেশে সংখ্যালঘুদের নির্যাতনের প্রতিবাদ ও সুরক্ষা আইন প্রণয়নের দাবিতে সনাতন অধিকার সুরক্ষা পরিষদ এর উদ্যেগে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। দুই দেশের মধ্যে পানিবণ্টনের বিষয়টি অবশ্যই আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী হতে হবে। -প্রধান উপদেষ্টা মহাভারতের চিত্রনাট্য রূপ দিয়েছিলেন উর্দু কবি রাহী মাসুম রেজা। শেখ হাসিনা সরকারের সময় রিজার্ভ শূন্যের কোটায় নেমে এসেছিল, কথাটি সত্য নয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। ভারতে বসে দেশ সম্পর্কে হাসিনার সাম্প্রতিক রাজনৈতিক বক্তব্য-বিবৃতিকে অবন্ধুসুলভ আচরণ বলে বর্ণনা করেন ড. ইউনূস। অন্তত এই সরকারের সময়ে সাবধানে চলেন, সিন্ডিকেট করার চেষ্টা করবেন না। বেনাপোল রেলপথ দিয়ে ভারত থেকে পণ্য আমদানি শুরু। যশোর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিশেষ মতবিনিময় সভা। বন্যার্তদের পুনর্বাসন ফান্ডে শিক্ষকদের ১ দিনের বেতন প্রদানের আহবান নারায়ণগঞ্জ জেলা বেফাকের বেনাপোল স্থলবন্দরের দুই উপপরিচালকে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচারে বরখাস্ত। বেনাপোল চেকপোস্টে যাত্রীদের টাকা ছিনতাই, কয়েকটি প্রতিষ্ঠান সিলগালা। বেনাপোল পাসপোর্টধারীদের সাথে প্রতারনায় অভিযুক্ত ৮ টি অবৈধ দোকানে তালা অনলাইন ক্যাসিনোর মাস্টার এজেন্ট মোরশেদ আলম লিপুর বাগানবাড়িতে অভিযান সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে যত্রতত্র মামলা দায়ের বন্ধ করার প্রস্তাব দিয়েছে সম্পাদক পরিষদ। অবৈধ অস্ত্র সংগ্রহের জন্য বুধবার রাত ১২টা থেকে যৌথ বাহিনীর অভিযান শুরু ডোনাল্ড লু চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে ঢাকায় আসছেন। সাগর-রুনি হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ন্যায়বিচার নিশ্চিতের লক্ষ্যে আমেরিকা বাংলাদেশে একটি প্রসিকিউটোরিয়াল সার্ভিস স্থাপনে সহায়তা করার চেষ্টা করছে। -যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স হেলেন লাফেভ। বেনাপোল চেকপোস্টে ৮ জন ভারত গামী পাসপোর্ট যাত্রীর টাকা ছিনতাই। যশোর ভ্রাম্যমাণ নিরাপদ খাদ্য পরীক্ষাগারের উদ্বোধন। যশোর সদর বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান। বেনাপোল স্থলবন্দরে আমদানি কম বেড়েছে রপ্তানি।

চিরায়ত বাঙালির আড্ডা

চিরায়ত বাঙালির আড্ডা

কফি হাউসের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই  কোথায় হারিয়ে গেল সোনালি বিকেলগুলো সেই, আড্ডা ও বাঙালি সমার্থক। যেখানে বাঙালি সেখানেই আড্ডা। বাঙালি আছে, আড্ডা নেই এটা হতেই পারে না ।এই আড্ডা চলছে যুগযুগ ধরে। কথা সাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (চরিত্রহীন খ্যাত), শবৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (বিদূষক খ্যাত) , দামোদর মুখোপাধ্যায় , কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও রসালো আড্ডা জমিয়ে রাখতেন। বাঙালির এই চিরাচরিত আড্ডাকেই আজকের পাতায় তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন — ঋতম্ভরা বন্দোপাধ্যায়

বাঙালি আছে, আড্ডা নেই! এটা কোনদিন ভাবাই যায় না। আড্ডার পীঠস্থান অখণ্ড বাংলা ছিল,আছে আর থাকবেও। আড্ডার সঙ্গে বাড়ি,অফিসের রক গুলির কিন্তু গভীর,ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। আর আছে ক্লাব,রেস্তোঁরা,হোটেল, বাড়ি ও পার্ক বা ময়দান। শুধু কি তাই, আড্ডা পাগল বাঙালি লঞ্চ,স্টিমার রেলেও আড্ডার আসর বসিয়ে থাকে। মাঠে,ময়দানে আড্ডায় অনেক সময় বেগুনি,ফুলুরি,মসলা মুড়ি অনবদ্য।চায়ের কাপে চুমুক চলে ঘণ্টার ব্যবধানে।

বাঙালি মাত্রই আড্ডাপ্রিয়। এই আড্ডা তুলনাহীন। পৃথিবীর কোনো দেশের, জাতির মানুষের সাথে এই আড্ডার তুলনা মেলে না। বুদ্ধদেব বসুর ভাষায়, বাঙালির আড্ডার মেজাজ নেই অন্য কোনো দেশে, কিংবা থাকলেও যথোচিত পরিবেশ নেই। অন্যান্য দেশের লোক বক্তৃতা দেয়, রসিকতা করে, তর্ক চালায়, ফূর্তি করে রাত কাটিয়ে দেয়, কিন্তু আড্ডা দেয় না। আমাদের ঋতুগুলো যেমন কবিতা জাগায়, তেমনই আড্ডাও জমায়। আমাদের চৈত্রসন্ধ্যা, বর্ষার সন্ধ্যা, শরতের জ্যোৎস্না-ঢালা রাত্রি, শীতের মধুর উজ্জ্বল সকাল- সবই আড্ডার নীরব ঘণ্টা বাজিয়ে যায়, কেউ শুনতে পায়, কেউ পায় না।
বাঙালির মতো আড্ডার মেজাজ আর কোনো জাতির মানুষের মাঝে খুঁজে পাওয়া দুস্কর

তাই এ ভূ-সংসারে এমন কোনো বাঙালি পাওয়া যাবে না যে জীবনে একবারও আড্ডা দেয়নি। বাঙালির আড্ডার ইতিহাস বেশ প্রাচীন। বাংলার বিখ্যাত ব্যক্তিদের আড্ডা নিয়ে কত মজার কাহিনী চালু রয়েছে তার কোনো ইয়ত্তা নেই। বিংশ শতাব্দীর গোড়ায় দুই বাংলায় বেশ কয়েকটি জমাট আড্ডার ঠেক ছিল। বাংলার বহু জ্ঞানী-গুণী বুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ ছিলেন সেসব আড্ডার মধ্যমণি। সেই আড্ডাগুলো ছিল প্রাণোচ্ছ্বল। দুই বাংলার এমন কয়েকটি বিস্মৃত আড্ডার স্থান নিয়ে আজকের এই নিবন্ধ।

চৌরঙ্গীর কফি হাউজ
চল্লিশের দশকে বাংলার বিশিষ্ট কবি-সাহিত্যিকদের এক জমজমাট আড্ডার আসর ছিল চৌরঙ্গীর কফি হাউজ। ১৯৪৫-৪৬ সালে এই আড্ডায় নিত্য যাতায়াত ছিল সত্যজিৎ রায়, কমলকুমার মজুমদার, চঞ্চল কুমার চট্টোপাধ্যায় ও রাধাপ্রসাদ গুপ্তের মতো ব্যক্তিদের। সত্যজিতের অনবদ্য চলচ্চিত্র ‘পথের পাঁচালি’র ভাবনাও এই আড্ডা থেকেই শুরু। রাধাপ্রসাদ গুপ্তের এক লেখা থেকে জানা যায়, চৌরঙ্গি কফি হাউজের ছোট ঘরে বিভিন্ন ধরনের, বিভিন্ন চরিত্রের ও পেশার লোকজনের সমাগম হতো। সত্যজিৎ, বংশী চন্দ্রগুপ্ত, চিদানন্দ দাশগুপ্তরা সেসব আড্ডায় ইউরোপিয়ান চলচ্চিত্র নিয়ে বিদগ্ধ আলোচনা করতেন।

রায়বাড়ির আড্ডা
কলকাতার অনেক বনেদি বাড়ি বা বিখ্যাত ব্যক্তির বাড়ির বৈঠকখানায় বেশ জমাট আড্ডা বসতো। ঐ রকমই একটি আড্ডার আসর ছিল লেক অ্যাভিনিউ, ৩ নম্বর লেক টেম্পল রোড এবং ১/১, বিশপ লেফ্রয় রোডে তিন তলার পূর্বদিকের এক ফ্ল্যাটে। রায় পরিবারের এই আড্ডা প্রায় তিন প্রজন্মের। এই আড্ডার প্রাণপুরুষ বিংশ শতাব্দীর বাংলার প্রখ্যাত শিশু সাহিত্যিক সুকুমার রায় ও তার বন্ধুদের ‘মন্ডা ক্লাব’ আজও কিংবদন্তী হয়ে আছে।

বিশপ লেফ্রয় রোডে অবস্থিত রায় বাড়িতে বসতো আড্ডার আসর।
শুধু অবান্তর কৌতুক ছড়াই নয়, এই আড্ডায় অনেক গুরুগম্ভীর আলোচনাও হতো। মন্ডা ক্লাবের একেকজন সভ্য ছিলেন নামকরা ব্যক্তিত্ব। সুকুমার রায়ের মৃত্যুতে এই আড্ডা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর সুকুমার রায়ের সুযোগ্য পুত্র সত্যজিৎ রায় আবার নতুন করে আয়োজন করেন সেই আড্ডার। রবিবার সকালে রায়বাড়ির এই আড্ডায় উপস্থিত থাকতেন বিভিন্ন পেশার মানুষজন। কমলকুমার মজুমদার, রাধাপ্রসাদ গুপ্তের মতো নামকরা লেখক ছাড়াও সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, বরুণ চন্দ, দীপঙ্কর দে, ধৃতিমান চ্যাটার্জিসহ অনেক নামকরা অভিনেতাই হাজির হতেন এই সকালের আড্ডায়। সিনেমা সংক্রান্ত আলোচনা ছাড়াও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হতো এই আড্ডায়। সত্যজিৎ রায়ের পুত্র সন্দীপ রায় এখনও এ আড্ডা নিয়মিত চালিয়ে যাচ্ছেন।

কলেজ স্ট্রিট কফি হাউজের আড্ডা
কলকাতা কলেজ স্ট্রিটের আলবার্ট হল একসময় ভারতীয় কফিবোর্ডের মালিকানাধীন ছিল। পরবর্তীকালে একে তারা কফি হাউজে রূপান্তর করেন। কবি-লেখকে সর্বদা গমগম করতো কফি হাউসের বিশাল হলঘর, তিলধারণের জায়গা থাকতো না।সত্তরের শুরুর দিকেই এই কলেজ স্ট্রিট কফি হাউজে কবি-সাহিত্যিকদের তুখোড় আড্ডা জমতো। সে সময়ে প্রতি সন্ধ্যায় কবি আর গল্প লেখকদের মিলনমেলায় কফি হাউজে দাঁড়ানোর মতো জায়গা থাকতো না। কবিদের আড্ডার মধ্যমণি হয়ে থাকতেন পার্থপ্রতিম কাঞ্জিলাল। তার সতীর্থদের মধ্যে ছিলেন নিশীথ ভড়, সমরেন্দ্র দাস, অরণি বসু, অমিতাভ গুপ্ত, তুষার চৌধুরী মতো কবিরা। আর গল্পকারদের আড্ডার প্রধান ছিলেন সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়। তার বিষয় উপস্থাপন, কথা বলার ভঙ্গি শ্রোতাদের চুম্বকের মতো টানতো।কবিদের মধ্যে আরও আসতেন শক্তি চট্টোপাধ্যায়, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় তার কৃত্তিবাস পত্রিকার কবিদের দলবল নিয়ে উপস্থিত হতেন। সত্যজিৎ রায়ের গল্পের কাহিনীকার হিসেবে, আধুনিক বাংলা কবিতার তুমুল আলোড়ন সৃষ্টিকারী ‘কৃত্তিবাস’ আন্দোলনের নেতা এবং লেখক হিসেবে তখন সুনীল কফি হাউজের মেগাস্টার হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। এছাড়া কবিতা সিংহের মতো ক্ষুরধার নারীব্যক্তিত্ব সেসব আড্ডাকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতেন।আমার বাবা যখন কলকাতার হিন্দু হোস্টেলে থাকতেন পড়াশোনার জন্য।তখন নিয়মিত কলেজ স্ট্রিটের কফি হাউসে যেতেন। খুব কাছে এই কফি হাউস। সেখানে তখন অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় নিয়মিত আসতেন। সত্যজিৎ রায়ের ছবিতে পর পর অভিনয় করে বেশ নামডাক হয়েছে। তিনি আলাদা করে বেশ বড়সর আড্ডার আসর বসিয়ে নিতেন।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের অনেক কবি, সাহিত্যিক শরণার্থী হিসেবে কলকাতায় আশ্রয় নিয়েছিলেন। আর সে সময় এই কফি হাউজ হয়ে উঠেছিল মুক্তিযুদ্ধের আর এক শিবির, অন্যরকম এক ঘাঁটি। আল মাহমুদ, বেলাল চৌধুরি, আব্দুল গাফফার চৌধুরী প্রমুখ লেখক এই কফি হাউজে সে সময় নিত্য যাতায়াত করতেন। কফি হাউজের সেই আড্ডা আজ আর আগের মতো না থাকলেও তার রেশ একেবারেই বিলীন হয়ে গেছে তা বলার উপায় নেই। এখনও কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিভিন্ন পেশার লোকদের ভিড়ে কফি হাউজ মুখরিত থাকে। কফি হাউজের আড্ডার সেই আবেগ ছড়িয়ে দিয়েছেন মান্না দে তার বিখ্যাত ‘কফি হাউজ’ গানটিতে,”কফি হাউজের সেই আড্ডাটা আজ আর নেইকোথায় হারিয়ে গেল সোনালি বিকেলগুলো সেই”।

বুধ সন্ধ্যা আড্ডা দিতে খুব ভালবাসতেন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়সহ তার সমসাময়িক সকল লেখক। সেই লক্ষ্যেই ১৯৮০ সালের দিকে সাগরময় ঘোষ, সমরেশ বসু, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের যৌথ উদ্যোগে গড়ে তোলা হয় ‘বুধ সন্ধ্যা’। কোনো নির্দিষ্ট স্থানে এই আড্ডা বসতো না। সপ্তাহে প্রতি বুধবার সন্ধ্যায় স্বনামধন্য সব সাহিত্যিক তাদের পরিচিত কারো বাড়ির বৈঠকখানায় জড়ো হয়ে ভাবের দেওয়া-নেওয়া, আলাপ-আলোচনায় মেতে উঠতেন।

এই আড্ডায় কে না ছিলেন? শঙ্খ ঘোষ, সুবোধ সরকার, মল্লিকা সেনগুপ্ত, জয় গোস্বামী, আবুল বাশার, আফসার আহমেদ, তারাপদ রায়, অতীন বন্দ্যোপাধ্যায়, মন্দাক্রান্তা সেনের মতো বিখ্যাত সাহিত্যিকরা এ আড্ডার নিয়মিত সদস্য ছিলেন। শুধু তা-ই নয়, বাংলাদেশের বেলাল চৌধুরী, রফিক আজাদ, অসীম সাহা, নির্মলেন্দু গুণ, মহাদেব সাহা, সৈয়দ আল ফারুক, তারিক সুজাতসহ বাংলাদেশের অনেক কবি-সাহিত্যিকের আনাগোনা ছিল এই আড্ডায়। এই আড্ডাকে তারা নিজেদের চিন্তা-ভাবনার আদান-প্রদানের উৎকৃষ্ট স্থান বলে মনে করতেন। এই আড্ডায় পাঠ করা হতো সদ্য লেখা কোনো কবিতা। চলতো প্রকাশিত কোনো লেখার উপর জ্ঞানগর্ভ আলোচনা। এছাড়া আড্ডায় কেউ স্বরচিত গান আবার কেউ তারা ভাল লাগা কোনো গানের কলি খালি গলায় পরিবেশন করে আড্ডাকে জমিয়ে তুলতেন।

পুরনো ঢাকার বিউটি বোর্ডিং
চল্লিশের দশকে পুরনো ঢাকার ১নং শ্রীশ উনদাস লেনে অবস্থিত বিউটি বোর্ডিংয়ের আড্ডা বেশ সুখ্যাতি লাভ করে। এই দোতলা পুরাতন বাড়ির সাথে জড়িয়ে রয়েছে বাঙালির শিল্প-সংস্কৃতির এক অনন্য ইতিহাস। ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর এই বোর্ডিংয়ের যাত্রা শুরু হয়। বাংলাদেশের প্রথিতযশা কবি, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, গায়ক, অভিনেতা, রাজনীতিবিদ, চিত্রশিল্পী, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষের এক মিলনমেলা ছিল এই বিউটি বোর্ডিং।

আমাদের প্রকাশিত তথ্য ও সংবাদ আপনার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)

Design by Raytahost.com