আরবের সাথে মিল রেখে শরীয়তপুরের ছয় উপজেলার অন্তত ৩০ গ্রামে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ঈদুল আজহা উদযাপন করেছেন। রবিবার (১৬ জুন) সকাল সাড়ে ৯টায় ও সকাল ১০টায় জেলার প্রধান ও বড় জামায়াত অনুষ্ঠিত হয় নড়িয়া উপজেলার সুরেশ্বর দরবার শরীফ মাঠে। নামাজ শেষে হজরত জান শরীফ আল সুরেশ্বরী (রা.) অনুসারীরা ভুনা খিচুড়ি, সেমাইসহ মিষ্টি জাতীয় খাবার খেয়ে ঈদ উদযাপন করেছেন। তবে তারা কোনো পশু কোরবানি করেননি।
সুরেশ্বর দরবার শরীফ সূত্রে জানাযায়, আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে ঈদুল আজহা উদযাপিত হচ্ছে। তাই তাদের সঙ্গে মিল রেখে শরীয়তপুরে অন্তত ৩০ হাজার মুসলমান সুরেশ্বরী অনুসারীরা ঈদুল আজহা উদযাপন করেছেন।
সুরেশ্বর দরবার শরীফের গদীনিশীন পীর সৈয়দ তৌহিদুল হোসাইন শাহীন নূরী বলেন, ঈদুল আজহা, ঈদুল ফিতরসহ সব ধর্মীয় উৎসব আরবের সঙ্গে মিল রেখে আমরা পালন করে থাকি। নিজের ভেতর যে পশুত্ব থাকে, সেই পশুকে কোরবানি করাই মনে করি কোরবানি। বায়াতের মাধ্যমে আমরা পীরের হুকুম পালন করে থাকি। আমরা নিজেকে সমর্পন করে থাকি, পীরের নির্দেশ মোতাবেক চলাফেরা করে থাকি। আমরা রোজা নামাজ পরি। আমরা মনে করি পশু কোরবানি প্রকৃত কোরবানি নয়। নিজের ভেতর যে পশুত্ব থাকে, সেই পশুকে কোরবানিই আমাদের লক্ষ্য।
সুরেশ্বর দরবার শরীফের প্রধান গদীনিশীন পীর সৈয়দ কামাল নূরী বলেন, বাবা সুরেশ্বরী একটি নিয়ম রেখে গেছেন। সেই হিসাব অনুযায়ী আরবের সঙ্গে মিলে যায়। তাই আমরা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদুল আজহা, ঈদুল ফিতরসহ সব ধর্মীয় উৎসব পালন করে থাকি।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply