আনোয়ার হোসেন নিজস্বপ্রতিনিধিঃযশোর থেকে।
যশোরের মনিরামপুরের তৃতীয় লিঙ্গের পলি ওরফে মঙ্গলী খাতুনকে হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন তার প্রেমিক রমজান আলী বাবু। রোববার তাকে আদালতে নিলে তিনি হত্যার কথা স্বীকার করেন। পরে তাকে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার দালাল। বাবু মণিরামপুর উপজেলার কামালপুর গ্রামের আলী আহমদের ছেলে।
বাবু জানিয়েছেন, নিহত পলি ওরফে মঙ্গলী খাতুন ও তার বাড়ি একই এলাকায়। তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায় তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয়। মঙ্গলী সব সময় তাকে কাছে পেতে চায়তো। এতে রাজি না হলে তার উপর চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। ফলে মঙ্গলীকে খুন করার জন্য পরিকল্পনা করা হয়। ঘটনার দিন গত ২৭ জুন বিকেলে তার বাড়িতে এসেছিল মঙ্গলী। পরে বাসায় চলে যায়। রাতে তাকে আবার বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায় মঙ্গলী। ঘুম ভেঙ্গে গেলে বাবুকে কাচে না পেয়ে মঙ্গলী তাকে আবার ডাক দেন। আবার পাশে এসে শুয়ে পড়েন বাবু। সুযোগ বুঝে মঙ্গলীকে গলা কেটে হত্যা করে ঘর থেকে টাকা, স্বর্ণের এবং রূপার অলংকার নিয়ে পালিয়ে চলে যায়। পরেরদিনে খবর পেয়ে মঙ্গলীর ভাই মিজানুর রহমান সহ পরিবারের অন্যরা গিয়ে দেখেন সে মৃত অবস্থায় পড়ে আছে।
বাবু বলেছেন, বন্ধু থেকে প্রেমিকা এবং ঘনিষ্ট সম্পর্ক ছিন্ন করতে না পেরে পরিকল্পনা মোতাবেক হত্যা করা হয় তৃতীয় লিঙ্গের পলি ওরফে মঙ্গলী খাতুনকে। এসময় মঙ্গলীর বাড়ি থেকে চুরি করা স্বর্ণালংকার ও মোবাইল ফোনসেট উদ্ধার করা হয়েছে। গত ২৯ জুন বিকেলে যশোরের মুড়লী এলাকা থেকে গ্রেফতারের পরদিন হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দিও দিয়েছেন বাবু। এদিকে, বাবুর দেয়া তথ্যমতে তার বাড়ি থেকে মঙ্গলীর ব্যবহৃত স্বর্ণ ও রূপার অলংকার এবং টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply