সংগঠনের সভাপতি এস এম মনিরুল ইসলাম মনি ও সাধারণ সম্পাদক এফ এম শাহীন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
‘জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ এবং উহার অঙ্গ সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির’কে শুধু রাজনৈতিকভাবে নিষিদ্ধ করলেই চলবে না- তাদের সকল আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে বাজেয়াপ্ত করে সেই সম্পদ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা করতে হবে। জামায়াত-শিবিরের জঙ্গি কার্যক্রম বন্ধ করতে হলে তাদের সব সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানও নিষিদ্ধ জরুরি। জামায়াত-শিবিরের নেতৃবৃন্দ যেন একই আদর্শে নতুন করে কোনো রাজনৈতিক দল গঠন করতে না পারে- সেইদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
স্পর্শকাতর ইস্যুতে রাজনীতি করা ভালো- কিন্তু সেটা অতি দীর্ঘ হয়ে গেলে জানমাল ও রাষ্ট্রীয় সম্পদের এমন ক্ষতি দণ্ড হিসেবে মেনে নিয়ে জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করতে হচ্ছে। অথচ এই জঙ্গি রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করার নিকটঅতীতে সবচেয়ে মোক্ষম সময় ছিল শাহবাগ গণজাগরণ আন্দোলন। বলাচলে, সেইসময় প্রায় পুরো জাতিই জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের বিষয়ে সোচ্চার ছিলেন।
দীর্ঘসময় পরে হলেও মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরাজিত শক্তির রাজনৈতিক সংগঠন ‘জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ এবং উহার অঙ্গ সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির’কে নিষিদ্ধ করায় সরকারকে পুনরায় অভিনন্দন জানাই।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply